নড়াইল, ৩০ জুন- ঈদের ছুটিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা এখন নড়াইলে অবস্থান করছেন। আর এ সুযোগে মাশরাফি ভক্তরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন তার বাড়িতে। প্রতিদিন হাজার হাজার ভক্তকে তুষ্ট করতে মাশরাফিসহ তার পরিবারের সদস্যরা হিমশিম খাচ্ছেন। শত কষ্ট হলেও ভক্তদের তুষ্ট করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মাশরাফিসহ তার পরিবারের সদস্যরা। তারপরও ভক্তদের একটানা সঙ্গ দেওয়ায় পরিবার ও আত্মীয় স্বজনকে সময় দেওয়া খাওয়া-দাওয়া, বিশ্রাম কোন কিছুই ঠিকমতো হচ্ছে না। মাশরাফির বাবা বলছেন, এসব কিছুই খ্যাতির বিড়ম্বনা! গত ২৫ জুন মাশরাফি বিন মর্তুজা ঈদ করতে স্ত্রী সুমনা হক সুমি, মেয়ে হোমায়রা ও ছেলে সায়েলকে নিয়ে ঢাকা হতে নড়াইলে বাড়িতে আসেন। রাতে বাড়িতে পৌঁছানোর পর পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের কিছুটা সময় দেন। পরের দিন বাড়ি সংলগ্ন কেন্দ্রীয় ঈগদাহ ময়দানে ঈদুল ফিতরের নামায আদায় করেন। নামায শেষে কোলাকুলি ও ভক্তদের সাথে কুশল বিনিময় শুরু হয়। মাশরাফির মা হামিদা বেগম বলাকা জানান, ঈদের দিন বিকাল থেকে নড়াইল জেলার ভক্তদের ভীড় শুরু হয়। ঈদের পরেরদিন যশোর, খুলনা, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়াসহ খুলনা, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুরে, কুমিল্লা, নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মাশরাফির ভক্তরা আসতে শুরু করেন। দূর-দূরান্ত থেকে আসা ভক্তরা ক্লান্ত হয়ে অনেকেই বাসায় ঘুমিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছেন। দূরের ভক্তদের পরিবারের পক্ষ থেকে সাধ্যমতো আপ্যায়নও করা হচ্ছে। মাশরাফির বাবা গোলাম মর্তুজা স্বপন জানান, নড়াইলসহ পাশ্ববর্তী জেলা থেকে মাশরাফির অসংখ্য ভক্ত আসছে। বাড়ির সামনে যেন ছোটখাটো জনসভায় পরিণত হয়েছে। মাশরাফি তাদের সঙ্গে ছবি তুলছেন, অটোগ্রাফ দিচ্ছেন আবার কুশল বিনিময় করছেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একটানা সঙ্গ দেওয়ায় মাশরাফি নিজেই ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। তারপরও দূর-দূরান্ত থেকে আসা ভক্তরা যাতে কষ্ট না পায় সেদিকে বিবেচনা করে কষ্ট মেনে নিয়ে মাশরাফি তার ভক্তদের সময় দিচ্ছেন। তিনি এটাকে খ্যাতির বিড়ম্বনা বলে আখ্যায়িত করেছেন। যশোর থেকে আসা ভক্ত সুমি ও কথা জানান, তারা মাশরাফির সাথে দেখা করতে গিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর দেখা করার সুযোগ পেয়েছেন। এতো মানুষের ভীড়ে খুবই কষ্ট হয়েছে দেখা করতে। মাশরাফির সাথে ছবি তুলতে পেরে ভীষণ খুশি তারা। মাগুরা থেকে আসা ভক্ত মনির হোসেন জানান, ক্যাপ্টেনের সাথে দেখা করতে পেরে কষ্ট সার্থক হয়েছে। ম্যাশকে যেন আল্লাহপাক সুস্থ রাখেন এবং তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আরো উচু পর্যায় নিয়ে যেতে পারে সেই প্রত্যাশা কামনা করি। ঝিনাইদহ থেকে সামিরুল ও জামিরুলসহ ২০ জন পিকআপভ্যান নিয়ে এসেছেন। তারা মাশরাফিকে ফুলের শুভেচ্ছা জানাতে পেরে সবাই খুশি। নড়াইলের কালিয়া থেকে আসা ভক্ত দীপক রায় জানান, বসকে সব সময় টেলিভিশনে দেখেছি। সরাসরি দেখতে পেলে জীবনের বড় একটা স্বপ্ন পূরণ হলো। তিনি মাশরাফির দীর্ঘায়ু কামনা করেন। পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, মাশরাফি ৩০ জুন খুলনায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যাবেন। এরপর নড়াইল ফিরে এসে ২/৩ জুলাই ঢাকায় রওয়ানা হবেন। আর/০৭:১৪/৩০ জুন



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2sslhVo
June 30, 2017 at 02:29PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top