ঢাকা, ২১ জুন- যাত্রা শিল্পে নিষেধাজ্ঞার কারণ বাংলাদেশের সর্বত্রই এখন যাত্রা প্রদর্শন সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। ফলে কাজ নেই দলগুলোর; এতে বন্ধ হয়ে গেছে অনেক শিল্পী, কলা কৌশলীদের রোজগার ।অথচ ওতপ্রোতভাবেই বাংলাদেশের সংস্কৃতির ঐতিহ্যের সাথে জড়িয়ে আছে যাত্রা-পালা। কী গ্রামগঞ্জের মানুষ, কী শহরের মানুষ, রাতভর পরম আগ্রহ ভরে যাত্রা-পালা উপভোগ করতো ছেলে, বুড়ো সবাই। সেই দিন এখন কোথায়! শিল্পীরা চান এবারের ঈদকে সামনে রেখে এখনই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হোক; সুযোগ দেয়া হোক যাত্রাপালা মঞ্চায়নের। ঈদের সময়টায় যাত্রা-দলগুলো দেশজুড়ে মেলাসহ নানা আয়োজনে যাত্রা প্রদর্শনের সুযোগ পেতো।জাগো বাংলাদেশ যাত্রা ফেডারেশন-এর সাধারণ সম্পাদক আরিশা অরিন জানালেন এবারের ঈদে সেটিও তারা পাচ্ছেন না। সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, টেলিভিশন মিডিয়ায় যারা কাজ করছেন তাঁরা ঈদের অনেক আগে থেকেই কাজ শুরু করেন। অথচ যাত্রা শিল্পকে নিয়ে কারো মাথাব্যাথা নেই। তিন বছর ধরে যাত্রা সম্পূর্ণ বন্ধ আছে। কোন ভাবেই মঞ্চায়ন করা যাচ্ছে না। ঈদ উপলক্ষে সে ভাবে কোন উদ্যোগ নেই। যাত্রা শিল্পে অশ্লীলতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যাত্রা-পালায় কিন্তু বিন্দুমাত্রা অশ্লীলতা নেই। তবে যাত্রা শুরুর আগে কোন কোন এলাকায় আয়োজক কমিটি যাত্রামঞ্চে অশোভন, অশালীণ নৃত্যগীতের আয়োজন করে থাকে। এক ধরনের বিকৃত রুচির মালিকরাও এমন ধরনের কাজের সাথে সম্পৃক্ত। তিনি বলেন, যাত্রার নামে অশ্লীলতা চলে স্থানীয় প্রভাবশালী, রাজনৈতিক গডফাদার আর দুর্নীতিবাজ প্রশাসনিক কর্মকর্তার কারনে। আমরা যাত্রাশিল্পীরা এসব অপকর্মের ঘোর বিরোধী। যাত্রা পালা বন্ধ থাকায় শিল্পীরা বিকল্প কি করছেন ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে সবাই মানবেতর জীবন যাপন করেছেন, আর অনেকে পেশা পরিবর্তন করেছেন। এ শিল্পের সবাই তো আর শিক্ষিত নন, বরং অনেকেই স্বশিক্ষিত। তাই অনেকে বাঁচার তাগিদে অন্য কাজ বেছে নিচ্ছেন। তিনি জানান, নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেই যে যাত্রা পালা সেই আগের অবস্থানে ফিরবে- তা কিন্তু না।এ শিল্পের একটা নীতিমালা আছে কিন্তু এর সঠিক প্রয়োগ কোথাও নেই।
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2sSBNCy
June 21, 2017 at 07:13PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন