স্টাফরিপোর্টার: টানা বৃষ্টিতে ফের জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে সিলেট নগরী। হাঁটু উচ্চতার বেশি পানিতে তলিয়ে গেছে নগরীর অনেক সড়ক। বাসা-বাড়িতেও প্রবেশ করেছে পানি। ফলে পানিবন্দি হয়ে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন
আজ(শনিবার ১৭ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে টানা বৃষ্টিপাত। এই অতিবৃষ্টিতে পানিতে উপচে পড়ে নগরীর অনেক ছড়া ও খাল। পানি জমে যায় রাস্তায়। ফলে বিপাকে পড়েন বিভিন্ন ধরণের যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ ছিল রিকশা যাত্রীদের। রাস্তার ছোট-বড় গর্তে চাকা আটকে গিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হয় রিকশার চালক ও যাত্রীদের।
নগরীর জেলরোড, বারুতখানা, জিন্দাবাজার, মির্জাজাঙ্গাল, দাড়িয়াপাড়া, হাওয়াপাড়া, নাইওরপুল, কুমারপাড়া, টিলাগড়, পাঠানটুলা, দরগাহ মহল্লা সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম সড়কে পানি জমে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। তবে দুপুর ১টার পর বৃষ্টি থামলে কমতে থাকে রাস্তায় জমে থাকা পানি।
সড়ক ছাড়াও অতিবৃষ্টির পানি ঢুকেছে বিভিন্ন বাসা-বাড়ি ও দোকানপাটে। নগরীর বারুতখানা পয়েন্টের কয়েকটি পোশাকের দোকানে ঢুকে পড়েছে পানি।
এর আগে গত বুধবার (১৪ জুন) টানা বৃষ্টিতে সিলেট নগরীতে তৈরি হয়েছিল জলাবদ্ধতা। অতিবৃষ্টির পানি ঢুকে পড়েছিল নগরীর বিভিন্ন বাসা-বাড়ি ও বিপণিবিতানে। সেদিন নগরীর কয়েকটি এলাকা ঘুরে জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তখন তাৎক্ষণিকভাবে জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর, স্থানীয় বাসিন্দা ও সিসিকের কর্মীদের নিয়ে হাঁটু পানিতে নেমে অবস্থা পর্যবেক্ষণ ও কর্মনির্দেশনা প্রদান করেন মেয়র।
ওই সময় মেয়র বলেছিলেন, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল, ছড়া ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে গৃহিত অনেক পদক্ষেই এখনো বাস্তবায়নাধীন আছে। নিকট ভবিষ্যতে আর জলাবদ্ধতার সমস্যা থাকবে না।
এরপর শুক্রবার (১৬ জুন) সকালে দখলকৃত ছড়া উদ্ধারের লক্ষ্যে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে পে লোডার দিয়ে উপশহরস্থ হলদি ছড়ায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এসময় নগরীর যে সকল বাসিন্দা ছড়া, খাল, নালা ও ড্রেনের উপর অবৈধভাবে স্থাপনা তৈরি করে পানি প্রবাহের পথ রুদ্ধ করে রেখেছেন, তা নিজ নিজ উদ্যোগে পরিষ্কার করে দেয়ার আহবান জানান মেয়র।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2sceLoM
June 17, 2017 at 09:43PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.