ইউরোপ ::
মাঝরাতে একটা ফোন আসত ক্যামিলা পার্কারের কাছে। বর্তমান স্ত্রী ক্যামিলা তখন যুবরাজ চার্লসের প্রেমিকা। ফোনের ও-পারে নারীকণ্ঠ নিজের নাম বলত না। হিমশীতল গলাটা শুধু ফিসফিস করে বলত, ‘‘আমি তোমায় খুন করতে লোক পাঠিয়েছি। দেখ, তোমার বাগানেই রয়েছে। জানালা দিয়ে দেখ। কি? দেখতে পেলে?’’ এই অবধি বলেই কেটে যেত ফোনের লাইন।
মধ্যরাতে ফোনের ও-পারের সেই রহস্যময়ী নাকি আর কেউ নন, প্রিন্সেস ডায়ানা। তখন যিনি চার্লসের স্ত্রী। ‘দ্য ডাচেস : দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ বইয়ে এই রকমই বিস্ফোরক দাবি করেছেন রাজপরিবারের জীবনীকার পেনি জুনর। আগামী মাসে, ক্যামিলার ৭০ বছরের জন্মদিনে প্রকাশিত হবে সেই বই।
ডেইলি মেইলসহ বিভিন্ন পত্রিকায় বইটির উদ্ধৃতি দিয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
বইয়ে পেনি দাবি করেছেন, ডায়ানার সঙ্গে বিয়ের আগে ক্যামিলার সঙ্গে বছর দুয়েক সম্পর্ক ছিল চার্লসের। তা সত্ত্বেও ডায়ানাকে বিয়ে করেন চার্লস। ক্যামিলাও বিয়ে করেন তার সাবেক প্রেমিককে। বিয়ের আগে ক্যামিলার সঙ্গে সদ্ভাব ছিল ডায়ানার। যদিও বিয়ের পরে দূরত্ব বাড়ে দু’জনের। ডায়না-চার্লস উপস্থিত থাকতে পারেন, এমন অনুষ্ঠানগুলি এড়িয়েই চলতেন ক্যামিলা। অন্য দিকে, স্বামীর আচার-আচারণে সন্দেহ বাড়তে থাকে ডায়ানারও। সেই সময় বেশ কয়েক বার আত্মহত্যারও চেষ্টা করেছিলেন প্রিন্সেস।
নব্বইয়ের দশক থেকেই মানসিক অসুস্থতা বাড়তে থাকে ডায়ানার। সব সময়ে ভয় পেতেন, ঘনিষ্ঠ সবাই তার ক্ষতি করার চক্রান্ত করছে। এই সন্দেহ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। এমনকী সেই সময় ব্যক্তিগত সচিব প্যাট্রিক জেপসনের উপর থেকেও বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। প্যাট্রিককে তিনি এক বার লিখেছিলেন, ‘‘আমি জানি তুমি আমার সঙ্গে বেইমানি করছ।’’
১৯৯৪ সালে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমকে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে চার্লস প্রথম ক্যামিলার সঙ্গে তার শারীরিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করে নেন। এর পরই ক্যামিলার সঙ্গে বিচ্ছেদ চেয়ে আদালতে যান তার স্বামী অ্যান্ড্রু পার্কার।
এক বছর পর একটি বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার দেন ডায়ানাও। জানান, জেমস হিউইটের সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা। ডায়ানাকে ঘোড়া চালানো শেখাতেন তিনি। সেখানে চার্লসের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতির ইঙ্গিতও দেন ডায়ানা। নিজের দাম্পত্য সম্পর্কে তিনি তখন বলেছিলেন, ‘‘এই বিয়েতে দু’জন নন, তিনজন আছেন। তাই ভিড় একটু বেশিই।’’
১৯৯৬ সালে চার্লস ও ডায়না বিবাহবিচ্ছেদ হয়। কিন্তু সেই সময় আইনজীবীর পরামর্শে চার্লস জানান, ফের বিয়ে করার কোনো ইচ্ছে নেই তার। পেনি জানিয়েছেন, চার্লসের এই মন্তব্যে বেশ ক্ষুণ্ণ হয়েছিলেন ক্যামিলা। যদিও তাদের মেলামেশায় কোনো বাধা পড়েনি তাতে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য বিয়েতেই গড়িয়েছে তাদের প্রেম।
মধ্যরাতে ফোনের ও-পারের সেই রহস্যময়ী নাকি আর কেউ নন, প্রিন্সেস ডায়ানা। তখন যিনি চার্লসের স্ত্রী। ‘দ্য ডাচেস : দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ বইয়ে এই রকমই বিস্ফোরক দাবি করেছেন রাজপরিবারের জীবনীকার পেনি জুনর। আগামী মাসে, ক্যামিলার ৭০ বছরের জন্মদিনে প্রকাশিত হবে সেই বই।
ডেইলি মেইলসহ বিভিন্ন পত্রিকায় বইটির উদ্ধৃতি দিয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
বইয়ে পেনি দাবি করেছেন, ডায়ানার সঙ্গে বিয়ের আগে ক্যামিলার সঙ্গে বছর দুয়েক সম্পর্ক ছিল চার্লসের। তা সত্ত্বেও ডায়ানাকে বিয়ে করেন চার্লস। ক্যামিলাও বিয়ে করেন তার সাবেক প্রেমিককে। বিয়ের আগে ক্যামিলার সঙ্গে সদ্ভাব ছিল ডায়ানার। যদিও বিয়ের পরে দূরত্ব বাড়ে দু’জনের। ডায়না-চার্লস উপস্থিত থাকতে পারেন, এমন অনুষ্ঠানগুলি এড়িয়েই চলতেন ক্যামিলা। অন্য দিকে, স্বামীর আচার-আচারণে সন্দেহ বাড়তে থাকে ডায়ানারও। সেই সময় বেশ কয়েক বার আত্মহত্যারও চেষ্টা করেছিলেন প্রিন্সেস।
নব্বইয়ের দশক থেকেই মানসিক অসুস্থতা বাড়তে থাকে ডায়ানার। সব সময়ে ভয় পেতেন, ঘনিষ্ঠ সবাই তার ক্ষতি করার চক্রান্ত করছে। এই সন্দেহ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। এমনকী সেই সময় ব্যক্তিগত সচিব প্যাট্রিক জেপসনের উপর থেকেও বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। প্যাট্রিককে তিনি এক বার লিখেছিলেন, ‘‘আমি জানি তুমি আমার সঙ্গে বেইমানি করছ।’’
১৯৯৪ সালে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমকে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে চার্লস প্রথম ক্যামিলার সঙ্গে তার শারীরিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করে নেন। এর পরই ক্যামিলার সঙ্গে বিচ্ছেদ চেয়ে আদালতে যান তার স্বামী অ্যান্ড্রু পার্কার।
এক বছর পর একটি বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার দেন ডায়ানাও। জানান, জেমস হিউইটের সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা। ডায়ানাকে ঘোড়া চালানো শেখাতেন তিনি। সেখানে চার্লসের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতির ইঙ্গিতও দেন ডায়ানা। নিজের দাম্পত্য সম্পর্কে তিনি তখন বলেছিলেন, ‘‘এই বিয়েতে দু’জন নন, তিনজন আছেন। তাই ভিড় একটু বেশিই।’’
১৯৯৬ সালে চার্লস ও ডায়না বিবাহবিচ্ছেদ হয়। কিন্তু সেই সময় আইনজীবীর পরামর্শে চার্লস জানান, ফের বিয়ে করার কোনো ইচ্ছে নেই তার। পেনি জানিয়েছেন, চার্লসের এই মন্তব্যে বেশ ক্ষুণ্ণ হয়েছিলেন ক্যামিলা। যদিও তাদের মেলামেশায় কোনো বাধা পড়েনি তাতে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য বিয়েতেই গড়িয়েছে তাদের প্রেম।
from যুক্তরাজ্য ও ইউরোপ – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2sgWN6n
June 28, 2017 at 05:55PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন