লন্ডন, ২০ জুন- চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষে এখন ভারতীয় সমর্থক, ক্রিকেট বিশ্লেষক এবং ক্রিকেটারদের অনেকেই আফসোস করছেন ইশ বুমরাহর ওই বলটা যদি নো না হতো! রোহিত, কোহলি, ধাওয়ান যদি দ্রুত আউট না হতেন! হার্দিক পান্ডিয়া যদি রান আউট না হতেন! তাহলে হয়তো ম্যাচটাতে ভারতই জিততো। আরও কত কী! ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) হোমপেইজে ভারতীয় ক্রিকেটার হরভজন সিংয়ের লেখা একটি কলাম প্রকাশ করা হয়েছে তার লেখায়ও উঠে এসেছে এসব কথা। হরভজন সিং লিখেছেন, কেউ ভাবেনি যে আমরা সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে পাব। আমরা ছন্দে ছিলাম। আপনি যদি আগের আইসিসি টুর্নামেন্টগুলোর সঙ্গে তুলনা করেন তাহলে সত্যিই আমাদের ফাইনালে উঠতে কষ্ট করতে হয়নি। জয়ী দল হিসেবে টুর্নামেন্ট শেষ করতে পারলে ভালো হতো। তিনি আরও লিখেছেন, আমাদের বোলাররা হতাশ করেছে। এটিই বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা ভালো শুরু করতে পারিনি। রবিবারের ফাইনালের টার্নিং পয়েন্টটা ছিল শুরুতেই। সেটি ছিল বুমরাহর নো বল। কোহলির শরীরি ভাষা সব বলে দিয়েছে। ওই সময় ফখর জামানের ব্যক্তিগত রান ছিল তিন। পরে আর ফখরের সুযোগের দরকার হয়নি। তিনি লিখেছেন, এই নো বলটিই ভারতের কাছ থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়েছে। ফখর সিঙ্গেল নেয়ার চেয়ে স্পিনারদের উপর চড়াও হয়ে খেলেছে। ম্যাচটিতে স্পিনাররা রানও চেক দিতে পারেনি আবার উইকেটও নিতে পারেনি। তাছাড়া এদিন আমাদের ফিল্ডিংও আপ টু দ্য মার্ক ছিল না। হরভজনং সিং উল্লেখ করেছেন, স্কোরবোর্ডে ৩৩৮ রান দেখে ভারতের চিন্তিত হওয়ার অনেক কারণ ছিল। লক্ষ্যমাত্রা অনেক বড় ছিল। আমাদের জয়ের আশা নির্ভর করছিল টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানের উপর। কিন্তু শুরুতে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি ও শিখর ধাওয়ানকে ফিরিয়ে দিয়ে মোহাম্মদ আমির সেই আশা শেষ করে দেন। গত ১৮ জুন অনুষ্ঠিত হয় আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল ম্যাচ। এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান নির্ধারিত ৫০ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ৩৩৮ রান সংগ্রহ করে। পরে ভারত ৩০.৩ ওভারে ১৫৮ রান সংগ্রহ করে অলআউট হয়ে যায়। অর্থাৎ, ম্যাচটিতে ১৮০ রানে জিতে প্রথমবারের মতো আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জয় করে পাকিস্তান। ম্যাচটিতে পাকিস্তান ইনিংসের তৃতীয় ওভার শেষে ফখর জামানের ব্যক্তিগত রান ছিল তিন। চতুর্থ ওভারে বল করতে আসেন জ্যাসপ্রীত বুমরাহ। স্ট্রাইকে তখন ফখর জামান। প্রথম বলটি হয় ওয়াইড। দ্বিতীয় বলটিতে উইকেটরক্ষকের হাতে ধরা পড়েন ফখর জামান। প্যাভিলিয়নের পথেও রওয়ানা হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আম্পায়ার তাকে একটু থামতে বলেন। তৃতীয় আম্পায়ারের মাধ্যমে নিশ্চিত হন এটি নো বল ছিল কিনা। পরে দেখা যায় ওভারস্টেপিংয়ের কারণে বলটি নো বল ছিল। ফলে, বেঁচে যান ফখর। সেই বেঁচে যাওয়া ফখর জামান সেঞ্চুরি করে সাজঘরে ফেরেন। ইনিংসের ৩৪তম ওভারে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে রবীন্দ্র জাদেজার হাতে ধরা পড়েন তিনি। ফেরার আগে ফখর জামান ১০৬ বল খেলে করেন ১১৪ রান। এই রান করার পথে ১২টি চার ও তিনটি ছক্কা মারেন পাকিস্তানি এই ওপেনার।
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2sNsbJr
June 20, 2017 at 08:10PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন