বিদ্যুত বিভ্রাট থেকে মুক্তির দাবিতে হবিগঞ্জে মানববন্ধন.।

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : অসহনীয় বিদ্যুত বিভ্রাট থেকে মুক্তি ও জেলা সদরে গ্রীড সাবস্টেশন নির্মাণের দাবিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১০ জুন) বেলা ১১টায় স্থানীয় টাউন হলের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। দেড়ঘন্টা ব্যাপী অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, হবিগঞ্জ থেকে প্রতিদিন প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ হলেও জেলায় বিদ্যুতের ভোগান্তি প্রতিদিনই বাড়ছে। নানা অব্যবস্থাপনার কারণে রমজান মাসেও চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে গ্রাহকদের। তারা বলেন, হবিগঞ্জের বিদ্যুতে দেশের একটি বড় অংশ আলোকিত হলেও এখানকার মানুষ বিদ্যুতের ভেলকিবাজীতে অতিষ্ট। বিদ্যুত উন্নয়নের নামে ২৫ কোটি টাকার প্রকল্প শেষ হলেও এর কোন সুফলই পায়নি এ জেলার মানুষ। অথচ প্রায় দু’বছর জেলার বিদ্যুত উন্নয়নের নামে প্রতি শনিবার সারাদিন বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছিল। বক্তারা অবিলম্বে জেলায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবি জানান। অন্যথায় দুর্বার আন্দোলনের হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন তারা। মানববন্ধনে বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে স্মারকলিপি প্রদানের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, শাহজীবাজার থেকে প্রায় ২৮ কিলোমিটার লম্বা সোর্স লাইনের মাধ্যমে জেলা শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়ে থাকে। সামান্য কারণেই দীর্ঘদিনের জরাজীর্ণ এ লাইনে ত্রুটি দেখা দেয়। ফলে বন্ধ হয়ে যায় সরবরাহ। ভোগান্তিতে পড়েন শহরবাসী। ২০১৪ সালে সেন্ট্রাল জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন প্রজেক্ট এর আওতায় ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বিকল্প আরেকটি সোর্স লাইনসহ শহরের সকল জরাজীর্ণ তার ও খুটি পরিবর্তনের কথা ছিল। কিন্তু কাজ অসমাপ্ত রেখে প্রকল্পটি শেষ হওয়ায় কোন সুবিধাই পায়নি শহরবাসী। কেন প্রকল্পটি অসম্পূর্ণ ছিল, কারা এ ব্যর্থতার জন্য দায়ী তা চিহ্নিত করে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি।

বক্তারা বলেন, শহরের ২২ হাজার গ্রাহকের বিপরীতে যেখানে ফিডার সংখ্যা হওয়ার কথা ১৫ থেকে ২০টি, সেখানে ফিডার আছে মাত্র ৫টি। ফলে একেকটি ফিডারের আওতাধীন এলাকার যে কোন স্থানে ত্রুটি দেখা দিলেই ওই ফিডারের সকল গ্রাহকই বিদ্যুত থেকে বঞ্চিত হন। এছাড়া শহরে সুষ্ঠুভাবে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনার জন্য অন্তত আরো ৩০টি ট্রান্সফরমার প্রয়োজন। সেই সাথে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য সেন্ট্রাল জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন প্রজেক্ট এর আওতায় অটোমেটিক সার্কিট রিক্লোজার (এসিআর) স্থাপনের কথা ছিল। এটি স্থাপিত হলে ত্রুটিপূর্ণ অংশ ছাড়া বাকি জায়গার বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত থাকতো।

২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সোর্স লাইনের ভোগান্তি থেকে মুক্তির জন্য অনতিবিলম্বে জেলা সদরে গ্রীড সাবস্টেশন স্থাপনের দাবি জানান বক্তারা। সেই সাথে ফিডার সংখ্যা বৃদ্ধি, জরাজীর্ণ খুটি ও তার পরিবর্তন, প্রতিটি খুটিতে এসিআর স্থাপন, পর্যাপ্ত ট্রান্সফরমারের ব্যবস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সকল কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে হবিগঞ্জ শহরে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।

হবিগঞ্জের ভূক্তভোগী নাগরিকবৃন্দ আয়োজিত মানববন্ধনে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মো. ফজলুর রহমান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অনিরুদ্ধ কুমার ধর শান্তনু, ব্যকস সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলমগীর, অ্যাডভোকেট তাজ উদ্দিন সুফি, দেওয়ান মোস্তাক গাজী চৌধুরী, পল্লব তালুকদার, শোয়েব চৌধুরী, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, মাওলানা আব্দুল্লাহ হিল কাফি, রফিকুল হাসান চৌধুরী তুহিন, শিবলী খান, হুমায়ুন খান, নাসির উদ্দিন খান, বাপা সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল, সিদ্দিকী হারুন, ব্যাংকার সাব্বির আহমেদ মিঠু, তারেক খান, ডা. এস এস আল আমিন সুমন, প্রদীপ দাশ সাগর, শাকিল চৌধুরী, ফুজায়েল আল কাফি, অ্যাডভোকেট সৈয়দ জাদিল উদ্দিন আহমদ, প্রকৌশলী সৈয়দ ফাইয়াজ উদ্দিন আহমদ প্রমুখ। মানববন্দন পরিচালনায় ছিলেন শাহ জালাল উদ্দিন জুয়েল।



from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2rXFRym

June 10, 2017 at 10:40PM
10 Jun 2017

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

:) :)) ;(( :-) =)) ;( ;-( :d :-d @-) :p :o :>) (o) [-( :-? (p) :-s (m) 8-) :-t :-b b-( :-# =p~ $-) (b) (f) x-) (k) (h) (c) cheer
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.

 
Top