মুম্বাই, ২৫ জুন- মুম্বাইয়ে প্রতিদিন শত শত তরুণ আসেন শুধু বলিউডে নাম লেখাতে। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে কেউ কেউ সেই সুযোগ পান। অনেকে আবার তারকা মা-বাবা কিংবা অন্য আত্মীয়ের জোরে খুব সহজেই বলিউডের নায়ক হতে পারেন। হিন্দি সিনেমার এমন কয়েকজন নায়ক আছেন, যাঁদের শুরুটা হয়েছিল বেশ আওয়াজ দিয়ে। কিন্তু তাঁদের খ্যাতির আলো দপ করে জ্বলেই কিছুদিনের মধ্যে নিভে গেছে। এখন আর সেই নায়কদের দেখাও মেলে না সচরাচর। বড় পর্দা থেকে হারিয়ে যাওয়া সেই নায়কদের নিয়েই এই প্রতিবেদন। ১। হারমান বাওয়েজা: প্রযোজক ও পরিচালক পাম্মি বাওয়েজা ও হ্যারি বাওয়েজার ছেলে হারমেন বাওয়েজা। ২০০৮ সালে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় এই তারকার। লাভ স্টোরি ২০৫০ নামের সেই ছবির প্রযোজকও ছিলেন তাঁর মা। আর ছবিটি পরিচালনায় ছিলেন হারমানের বাবা হ্যারি বাওয়েজা। প্রথম ছবিতেই এই নায়ক সহশিল্পী হিসেবে পেয়েছিলেন সাবেক বিশ্বসুন্দরী প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে। কিন্তু ৬০ কোটি রুপি বাজেটের সেই ছবি বক্স অফিসে ৩০ কোটি রুপিও আয় করতে পারেনি। হারমানের সুদর্শন রূপ দেখে বলিউডের অনেক নির্মাতা আশাবাদী হয়েছিলেন। আর দর্শকরা তাঁর মিল খুঁজে পেয়েছিলেন বলিউড হার্টথ্রব হৃতিক রোশনের সঙ্গে। ২০০৯ সালে হারমানের দুটি ছবি মুক্তি পায়। ভিক্টরি ও হোয়াটস ইওর রাশি? নামের ছবি দুটিও ভালো ব্যবসা করতে পারেনি। তাঁর পঞ্চম ও শেষ ছবি মুক্তি পায় ২০১৪ সালে। উল্লেখ্য, চার সাহিবজাদে নামের এই ছবিটিও তাঁদের ঘরের ছবি আর এটিও ফ্লপ। টানা পাঁচটি ছবি ফ্লপ হওয়ার পরে কেইবা আর বড় পর্দায় মুখ দেখাতে চায়? ২। ফারদিন খান: অভিনেতা ফিরোজ খানের ছেলে ফারদিন খানের শুরুটা হয়েছিল প্রেম আগান ছবি দিয়ে। ১৯৯৮ সালে এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য ফারদিন ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডে সেরা নবাগত অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছিলেন। এরপর তিনি জঙ্গল, প্যায়ার তুনে ক্যায়া কিয়া, হে বেবিসহ বেশ কিছু ভালো ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। অভিনয়ে খুব একটা পাকা ছিলেন না এই তারকা। তারকা সন্তান হওয়ার সুবাদে এক যুগের ক্যারিয়ারে ২৬টি সিনেমায় অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু ২০১০ সালের দুলহা মিল গায়া-র পর আর কোনো ছবিতে দেখা যায়নি তাঁকে। এই তারকা এখন এতটাই মুটিয়ে গেছেন যে প্রথম দেখায় অনেকে হয়তো তাঁকে চিনতেও পারবেন না। ৩। জায়েদ খান: ফারদিন খানের চাচাতো ভাই জায়েদ খানের কপালেও জুটেছিল ফ্লপ নায়ক-এর তকমা । অভিনেতা সঞ্জয় খানের ছেলে মাত্র ২৩ বছর বয়সে নায়ক হয়েছিলেন চুরা লিয়া হ্যাঁয় তুমনে ছবিতে। এই ছবির জন্য জি সিনে অ্যাওয়ার্ড ও ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডে সেরা নবীন অভিনেতার মনোনয়নও পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু খুব বেশি দূর এগোতে পারেননি জায়েদ। ফারাহ খানের ম্যায় হু না ছবিতে পার্শ্ব-অভিনেতা ছিলেন। সেখানে শাহরুখের খানের ভাইয়ের চরিত্রে ছিলেন তিনি। এই ছবিকেই তাঁর ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় ছবি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে বেশ কিছুদিন ধরে নতুন কোনো সিনেমায় দেখা যাচ্ছে না এই তারকাকে। ৪। অশমিত প্যাটেল: কাহো না প্যায়ার হ্যাঁয় খ্যাত অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেলের ভাই অশমিত প্যাটেল। ২০০৩ সালে বিক্রম ভাটের ছবি ইনতেহা দিয়ে বলিউডে প্রবেশ করেন। কিন্তু তাঁকে পরিচিতি এনে দেয় মার্ডার। যদিও এই ছবিতে তিনি ছিলেন পার্শ্ব-অভিনেতা। কিন্তু এরপর বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। বোনের মতো তিনিও খুব বেশি দিন জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পারেননি। ফলাফলস্বরূপ বলিউডকে বলতে হয়েছে বাই বাই... সূত্র: স্কুপহুপ আর/১৭:১৪/২৫ জুন
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2sa6YV7
June 25, 2017 at 11:59PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন