নয়া দিল্লী, ০১ জুলাই- নতুন কোচ কে হবেএ নিয়ে নাকি বিরাট কোহলির কোনো বক্তব্য নেবে না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। কাল অধিনায়ক কোহলিও বলেছেন, বোর্ড যদি মতামত না চায়, তিনি বা তাঁর দলের কেউ বলবেন না কেমন কোচ তাঁদের চাই। যদিও শেষ পর্যন্ত মনে হচ্ছে, কোহলির পছন্দকেই মাথায় রেখে নতুন কোচ নিয়োগ দেবে বোর্ডের ক্রিকেট প্রশাসক কমিটি (সিএসি)। আর সে ক্ষেত্রে রবি শাস্ত্রী এগিয়ে থাকবেন সবচেয়ে বেশি। গতবার শাস্ত্রীকে টপকে সিএসি বেছে নিয়েছিল তাঁদের সাবেক সতীর্থ অনিল কুম্বলেকে। শচীন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলি আর ভিভিএস লক্ষ্মণের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির অনুরোধেই কুম্বলে শেষ সময়ে আবেদন করেছিলেন বলে জানা যায়। কুম্বলে তাঁর অধীনে একটি বাদে সব কটি সিরিজ জিতিয়ে অবিস্মরণীয় সাফল্য এনে দিয়েছিলেন; যদিও এর আগে কখনো জাতীয় দলের কোচ হিসেবে কাজ করার কোনো অভিজ্ঞতা তাঁর ছিল না। তবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে ফাঁস হয়ে যায়, ব্যক্তিত্বের সংঘাত চলছে কুম্বলে আর কোহলির মধ্যে। যার চূড়ান্ত পরিণতি হিসেবে কুম্বলে সরে যেতে বাধ্য হন। আর পুরো ব্যাপারটি যেভাবে ঘটেছে, তাতে কোহলির প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অধিনায়ক যদি কোচের ভাগ্য ঠিক করে দেন, সেটি তো ভুল বার্তা দেয়। সিএসিও এ নিয়ে কোহলির ওপর নাখোশ ছিল বলে জানা যায়। লক্ষ্মণ বা টেন্ডুলকার এখনো এ ইস্যুতে ঝেড়ে কাশেননি। তবে সৌরভ বলেছেন, কোহলি-কুম্বলে ইস্যু আরও ভালোভাবে সামলানো যেত। সৌরভই কোহলির ওপর সবচেয়ে বেশি নাখোশ বলে শোনা গিয়েছিল। তবে এখন মনে হচ্ছে, ভবিষ্যতে একই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, সেটিও মাথায় রাখছে সিএসি। সব হিসাব মিলিয়েই তাই দৌড়ে এগিয়ে আছেন শাস্ত্রী। এমনও শোনা গেছে, টেন্ডুলকারের অনুরোধে শাস্ত্রী কোচের পদে আবেদন করেন। যদিও গতবার আবেদন নাকচ হয়ে গিয়েছিল বলে এবার প্রথম দফায় নতুন করে আবেদন তিনি করেননি। আবেদনের মেয়াদ বাড়ানোর পরও প্রথম কয়েক দিন তাঁর তরফে সাড়া ছিল না। অবশেষে শাস্ত্রী আবেদন করেছেন, আর তাতে যদি টেন্ডুলকারের ভূমিকা থেকে থাকে; তাহলে তো সব হিসাব মিলেই যাচ্ছে। সিএসির সদস্য হিসেবে টেন্ডুলকার শাস্ত্রীকে এগিয়ে তো রাখবেনই। শাস্ত্রী এগিয়ে থাকছেন আরও একটা কারণে। এর আগে অন্তর্বর্তী কোচ হিসেবে টিম ডিরেক্টরের ভূমিকায় তিনি কাজ করেছেন বেশ সাফল্যের সঙ্গে। তাঁর কোচিংয়ের ধরন ঠিক কুম্বলের উল্টো। তিনি তারকাসম্পন্ন দলে অনেকটা ম্যানেজারের ভূমিকায় থাকেন। কড়া হেডমাস্টার তিনি নন। খেলোয়াড়দের চাওয়া ও পছন্দকে সব সময় প্রাধান্য দেন। ফলে এখানে ব্যক্তিত্বের সংঘাত দেখা দেওয়ার শঙ্কা কম, কুম্বলের ব্যাপারে যেটি হয়েছিল। এমনকি গত ফাইনালে হারার পর সম্পর্ক চূড়ান্ত অবনতি হবে, যার পরিণতি চাকরি থেকে অব্যাহতিএটা জেনেও কুম্বলে প্রত্যেক খেলোয়াড়কে ধরে ধরে ঝাঁজালো ভাষায় কথা বলেছিলেন। শাস্ত্রী এদিক দিয়ে অনেক নমনীয়। বোর্ডের একটি সূত্রের বরাতে টাইমস অব ইন্ডিয়া যদিও জানিয়েছে, বিদেশি কোচের ব্যাপারেও কোহলির আপত্তি নেই। তবে এর আগে অনেকবারই শাস্ত্রীর খোলামেলা প্রশংসা করা কোহলির পছন্দ কী, সেটিও অজানা নেই। শেষ পর্যন্ত সম্ভবত অধিনায়কের পছন্দ অনুযায়ীই তাই কোচ পেতে চলেছে ভারত। যদি না সিএসি বা সৌরভ এর মধ্যে অন্য রকম কিছু ভেবে থাকেন। সূত্র: জি নিউজ আর/১২:১৪/০১ জুলাই
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2tujnHQ
July 01, 2017 at 06:27AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন