এথেন্স, ১৫ জুলাই- গণতন্ত্রের পাদপীঠ গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে শহীদ মিনার স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে গ্রিসে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস। মঙ্গলবার গ্রিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জসীম উদ্দিন এথেন্সের মেয়র জর্জিয়াস কামিনিসের সঙ্গে এক বৈঠকে এথেন্সে শহীদ মিনার স্থাপনের প্রস্তাব করেন। গ্রিসের কেন্দ্রীয় সরকার ছাড়াও বিভিন্ন স্থানীয় সরকারের সঙ্গে সম্ভাব্য সহযোগিতা প্রতিষ্ঠা এবং সম্প্রসারণে বাংলাদেশ দূতাবাসের চলমান উদ্যোগের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এথেন্সের মেয়রের সঙ্গে এই বৈঠক করেন। বৈঠককালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের চিত্র মেয়রকে অবহিত করেন। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ ও গ্রিসের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন। এছাড়া এ সম্পর্ক আরো বহুমুখী ও বেগমান করতে স্থানীয় সরকারের সম্পৃক্ততার আহ্বান জানান। ওই বৈঠকে ব্যবসা, বাণিজ্য সংস্কৃতি, পর্যটন ইত্যাদি বিষয় স্থান পায়। বৈঠকে দূতাবাসের প্রথম সচিব সুজন দেবনাথ এবং মেয়রের অভিবাসী ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা এন্টিগনি কতানিডিস উপস্থিত ছিলেন। এথেন্সের প্রাণকেন্দ্র ওমোনিয়ায়ই বেশির ভাগ প্রবাসী বাংলাদেশি বাস করে। বিশেষ করে পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান আয়োজন, ঈদের নামাজ আয়োজনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এথেন্স সিটি কর্পোরেশন সবসময়ই প্রবাসী বাংলাদেশের সহযোগিতা করে আসছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মেয়রকে ধন্যবাদ জানান। তিনি এথেন্সে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা ব্যক্ত করেন। রাষ্ট্রদূত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয়ে মেয়রকে অবহিত করেন। মেয়র জর্জিয়াস কামিনিস রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশের বিষয়ে তার ব্যক্তিগত অনুভূতি ব্যক্ত করেন। তিনি ১৯৭১ সালে জর্জ হ্যারিসনের বাংলাদেশ গানটির কথা স্মরণ করে সব সময় বাংলাদেশিদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। ২০১৩ সালে গ্রিসের মানোলাদায় সংগঠিত মর্মান্তিক ঘটনার কথাও তিনি উল্লেখ করেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেয়রকে ভাষা আন্দোলন এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে অবহিত করেন এবং বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের কথা উল্লেখ করে এথেন্সের কুমুদুরু পার্কে একটি শহীদ মিনার স্থাপনের প্রস্তাব করেন। এসময় তিনি বলেন, প্রাচীন সভ্যতার দেশ গ্রিস গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের তীর্থভূমি। এই নগরে শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠিত হলে একদিকে যেমন ভাষার প্রতি গ্রিসের মমত্ববোধ প্রকাশ পাবে অন্যদিকে পর্যটকদের জন্যও এই শহীদ মিনার একটি বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে পরিচিত হবে। শহীদ মিনারের গঠন, আকৃতি ইত্যাদি ব্যাখ্যা করে রাষ্ট্রদূত মেয়রকে শহীদ মিনারের একটি প্রতিকৃতি উপহার দেন।
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2utpeyq
July 15, 2017 at 06:27PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন