নিজস্ব প্রতিনিধি:
রামপাশা ইউনিয়নের মেম্বার তাজ উল্লাহ হত্যার ঘটনায় মামলার দীর্ঘ ১৭ দিনেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি সিলেটের বিশ্বনাথ থানা পুলিশ।
অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার না করায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি বাদীপক্ষের অভিযোগ, মামলার প্রধান আসামি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলমগীরসহ অভিযুক্তরা এলাকাতে অবস্থান করলেও ক্ষমতাসীন দলের হওয়ায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করছেনা।
তবে, মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রফিকুল ইসলাম বলেন, ক্ষমতাসীন দলের হলেও আসামি গ্রেপ্তার প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। চেয়ারম্যান আলমগীর, প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল কাশেমকে গ্রেপ্তারে প্রতিদিনই অভিযান চালানো হচ্ছে। কিন্তু কোথাও তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
জানা গেছে, ৩ জুলাই রামপাশা ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান আলমগীর ও ইমাম উদ্দিন মেম্বারের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। মধ্যস্থতা করতে গিয়ে তাজ উল্লাহ মেম্বার আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিলেট নগরীর নর্থ-ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার একদিন পর বুধবার (৫ জুলাই) রাতে নিহতের ছেলে ওয়াসিম আহমদ থানায় একটি হত্যা মামলার লিখিত এজাহার দাখিল করেন। ৫ দিন পর ১০ জুলাই সোমবার রাতে ওই এজাহারকে হত্যা মামলা হিসেবে গণ্য করে থানা পুলিশ, (মামলা নং-৮)।
মামলায় রামপাশা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও সিলেটে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলমগীর, প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আবুল কাশেম মেম্বার এবং জমসেরপুর গ্রামের যুবলীগ নেতা গেদু মিয়াকে অভিযুক্ত করা হয়।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2u2TITk
July 28, 2017 at 01:14AM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন