কলকাতা, ২৫ জুলাই- এবার রবীন্দ্র সাহিত্যের ওপর ক্ষেপেছে ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জাতীয়তাবাদ ও মানবতাবাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরির চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ করেছে সংগঠনটির শিক্ষা বিষয়ক শাখা শিক্ষা সংস্কৃতি উত্থান ন্যাস। আরএসএসের সাবেক প্রবীণ নেতা দীননাথ বাত্রার মুখে ভারতের বই থেকে রবীন্দ্র সাহিত্য বাদ দেয়ার সুপারিশ শোনার পর গতকাল সোমবার উত্তাল হয়ে ওঠে ভারতের রাজ্যসভা। ওইদিন জিরো আওয়ারে বিষয়টি সংসদে তোলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েন। তিনি বলেন, কবিগুরু দেশের সম্পদ। তিনি ভারতের জাতীয় সংগীত রচনা করেছেন। তাকেই পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ দেয়া হবে? এসব কী হচ্ছে দেশে? আমরা কবিগুরুকে নিয়ে রাজনীতি করতে চাই না। আমরা চাই এ ব্যাপারে সরকারের বিবৃতি। এই ইস্যুতে সরকারের মনোভাব কী, তা জানতে চেয়ে মঙ্গলবার সরকারকে নোটিশও দিয়েছে আরএসএস। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিশ্বকবিকে আটকে রাখার এই উদ্ভট চিন্তার বিরুদ্ধে শুধু বাংলার মানুষই নয়, গোটা দেশে প্রতিবাদের ঝড় উঠবে। আলোচনায় অংশ নিয়ে সিপিএমের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচিুর বলেন, রবীন্দ্রনাথ ও বাংলাকেই নয়, গোটা দেশকে অপমান করা হয়েছে। জাতীয় সংগীতের রচনা করেছেন কিন্তু নোবেলজয়ী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর- বলে তিনি আরএসএসকে কথাটি স্মরণ করিয়ে দেন। ভারতের ন্যাশনাল কাউন্সিল অব এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিংয়ের (এসসিইআরটি) কাছে আরএসএসের শিক্ষা শাখা বিদ্যাভারতীর সাবেক প্রধান দীননাথ বাত্রা এমন সুপারিশ করার পরই বিষয়টি আলোচনায় আসে। কলকাতার বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়- দীননাথ দাবি করেছেন, পাঠ্যপুস্তক থেকে ইংরেজি, উর্দু ও আরবি শব্দ বাদ দেয়া হোক। তার আক্রমণ থেকে অবশ্য বাদ যায়নি মকবুল ফিদা হোসেন, মির্জা গালিব থেকে মোগল আমলও। এই খবরে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন কলকাতার বিশিষ্টজনেরা। প্রখ্যাত কবি শঙ্খ ঘোষ বলেছেন, জ্ঞান যেথা মুক্ত, এমন একটা দেশ যিনি দেখতে চেয়েছিলেন, তিনি যে আরএসএসের রোষভাজন হবেন, তাতে কোনো বিস্ময় নেই। দেশজোড়া সর্বনাশের চিহ্নগুলো কেবলই প্রকট হয়ে উঠছে। এখনই প্রবল প্রতিবাদ দরকার। এমএ/ ১০:০৯/ ২৫ জুলাই



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2uxqz4z
July 26, 2017 at 04:10AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top