সিডনি, ০৩ জুলাই- বাসযোগ্য শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় অস্ট্রেলিয়া অন্যতম। বলা হয়ে থাকে, শিল্পোন্নত দেশগুলোর তুলনায় দেশটির জায়গা-জমির দাম অনেকাংশেই বেশি। গত ১ জুন নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্য সরকার এক ঘোষণায় গত ১ জুলাই থেকে বাড়িঘর কেনার ওপর স্ট্যাম্প ডিউটি বাতিল করে দেয়। তবে এতেও দেশটিতে ক্রেতাদের আগ্রহ বাড়ছে না বাড়িঘর কেনার প্রতি। গতকাল ডোমাইন.কম.এইউ-তে এক জরিপে এমন তথ্যই বের হয়েছে। বহু বছর আগে থেকেই অস্ট্রেলিয়ার মানুষের গড় আয়ের তুলনায় দেশটির ঘরবাড়ি, জমিজমার মূল্য অনেক বেশি। অস্ট্রেলিয়ায় ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে জমির দাম তরতর করে বেড়েছিল। পরবর্তী চার বছরে এই মূল্যবৃদ্ধির হার কিছুটা মন্থর হলেও ২০০৯ সালের পর থেকে হঠাৎই আবার জমির দাম বাড়তে শুরু থাকে। হু-হু করে বাড়তে থাকা জমির দামের সঙ্গে দলিলের জন্য স্ট্যাম্প ডিউটির হারও বাড়তে থাকে সমানতালে। এর কারণ হিসেবে অনেকেই রিয়েল এস্টেটের বাণিজ্য আর বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দায়ী করেন। বিনিয়োগকারীরা আসল মূল্যে জমি কিনে এ হাত থেকে ও হাত করে দাম বাড়িয়ে দেয় কয়েকগুণ। ফলে জমির হাত বদলের পাল্লায় মূল্যবৃদ্ধি পেতে শুরু করে দেশটিতে। আর জমির দামের সঙ্গে স্ট্যাম্প ডিউটির চাপ তো রয়েছেই। অস্ট্রেলিয়ায় জমি কিনতে লাখ প্রতি ২ হাজার ডলারেরও বেশি স্ট্যাম্প ডিউটি দিতে হয়। জমির আকাশচুম্বী মূল্য আর সঙ্গে স্ট্যাম্প ডিউটিসহ আনুষঙ্গিক খরচে কুলিয়ে উঠতে না পেরে অনেকই জমি কেনার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। তবে সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার সরকার বাড়িঘর কেনার দলিলাদির ওপর স্ট্যাম্প ডিউটি বাতিল করে দেয়। তবুও কেনার বাজারে মন্দাভাব এখনো কাটিয়ে উঠতে পারছে না দেশটি। এদিকে অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসীর সংখ্যাও ক্রমেই বাড়ছে। জমির উচ্চমূল্যের কারণে স্থায়ীভাবে বসবাসরত কিংবা সদ্য নাগরিকত্ব পাওয়া অভিবাসীরাও জমি কেনায় আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। এদের মধ্যে জমির চড়া মূল্যের কারণে বাংলাদেশি অনেক তরুণ প্রবাসীও রয়েছেন, যারা দেশটিতে আবাসস্থল গড়তে পিছিয়ে যান শুধুমাত্র হু-হু করে মূল্য বৃদ্ধির কারণে। দীর্ঘদিন ধরে সিডনিতে বসবাস করছেন বাংলাদেশের চট্টগ্রামের একসময়ের তুখোড় ছাত্রনেতা ইফতেখারউদ্দীন ইফতু। সরকারের স্ট্যাম্প ডিউটি বাতিল প্রসঙ্গে বলেন, স্ট্যাম্প ডিউটি না দিলে মূল্য যতটুকু কম হয়, রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীরা বাড়িয়ে দেয় তার চেয়ে বেশি। ফলে সাধারণ ক্রেতাদের মূলত কোনো লাভই হয় না। উল্লেখ্য, গত ১ জুন ২০১৭ নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্য সরকার জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে প্রথম ক্রেতা হিসেবে ৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার পর্যন্ত নতুন এবং পুরোনো বাড়িঘর কেনার ওপর কোনো স্ট্যাম্প ডিউটি লাগবে না এবং ৮ লাখ ডলার পর্যন্ত আরও কিছু আংশিক ছাড়ের ঘোষণা দেয়। অন্যদিকে, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ওপর ৪ শতাংশ করের পরিবর্তে ৮ শতাংশ কর ধার্য করেছে। আর/১২:১৪/০৪ জুলাই



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2uiwEBl
July 04, 2017 at 06:21AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top