ওয়াশিংটন, ২৯ জুলাই- আনন্দ আর নস্টালজিয়া পরিবেশে বনভোজনে দিন পার করলেন উত্তর আমেরিকার অন্যতম সামাজিক সংগঠন বাংলাদেশ সোসাইটি অব ব্রঙ্কসের সদস্যেরা। ২৩ জুলাই নিউইয়র্কে ব্রঙ্কসের ২০০ টিফফানি স্ট্রিটের বেরেট্রো পয়েন্ট পার্কে এই জমজমাট বনভোজনের আয়োজন করা হয়। আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশ সোসাইটি অব ব্রঙ্কসের সদস্য ও তাঁদের আত্মীয়-স্বজনরা দিনভর পার্কের খোলা মাঠে খেলাধুলাসহ নানা আনন্দ-উৎসবে মেতেছিলেন। বর্ণাঢ্য এই আয়োজন পরিণত হয়েছিল প্রবাসীদের মিলনমেলায়। দুপুর ২টায় বেলুন উড়িয়ে বনভোজনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এ সময় সংগঠনের কর্মকর্তারা ছাড়াও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ সোসাইটি অব ব্রঙ্কসের সহসভাপতি ও ইভেন্ট কমিটির আহ্বায়ক তৌফিকুর রহমান ফারুকের সভাপতিত্বে এবং সহসাধারণ সম্পাদক ও ইভেন্ট কমিটির সদস্যসচিব শামীম আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন আমেরিকান-বাংলাদেশি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন ইনকের সভাপতি আবদুস শহীদ, বাংলাদেশ-আমেরিকান কমিউনিটি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট আইনজীবী মোহাম্মদ এন মজুমদার, যুক্তরাষ্ট্র শাখা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রহিম বাদশা, বাংলাদেশ সোসাইটি অব ব্রঙ্কসের সাবেক সভাপতি মো. শামীম মিয়া ও মাহবুব আলম, ফেঞ্চুগঞ্জ অর্গানাইজেশনের উপদেষ্টা আবদুর রব ধলা মিয়া, জুনেদ আহমদ চৌধুরী ও মো. রফিকুল ইসলাম, পার্কচেস্টার ব্রঙ্কস রিয়েলিটির সালেহ উদ্দিন সাল, কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট কফিল আহমদ চৌধুরী, এম এ কাইয়ুম, আভার প্রেসিডেন্ট মেহের চৌধুরী প্রমুখ। বনভোজনে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সভায় আরও বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ সোসাইটি অব ব্রঙ্কসের সভাপতি সাহেদ আহমদ, সাধারণ সম্পাদক সেবুল খান মাহবুব, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক কবি জুলি রহমান, রাজা মিয়া প্রমুখ। বনভোজনে শিশু-কিশোরদের জন্য আয়োজন করা হয় খেলাধুলার। নারী-পুরুষের জন্যও ছিল বিশেষ আয়োজন। ৫ থেকে ৭ বছর বয়সী ছেলে শিশুদের দৌড় প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে ক্রীড়া অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে প্রথম ও দ্বিতীয় হয় যথাক্রমে শাহরিয়ার ও রাকিব আলী। যৌথভাবে তৃতীয় হয় আদনান আলী ও তালহা আলী। ৮ থেকে ১২ বছর বয়সী ছেলেদের দৌড় প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয় যথাক্রমে রাহদিন, আকিল আলী ও আদিল শামীম। ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সী ছেলেদের দৌড় প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয় সাইফ আলী, আরমান ও মাশায়ের। এরপর ছিলো বড়দের দৌড় প্রতিযোগিতা। এতে কমিউনিটির বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন। এই প্রতিযোগিতায় প্রথম ও দ্বিতীয় হন ফয়ছল আহমদ, ফখরুল ইসলাম এবং যৌথভাবে তৃতীয় হন মো. শিপলু ও রশিদ আহমদ। এরপর শুরু হয় মেয়েদের দৌড় প্রতিযোগিতা। ৮ থেকে ১২ বছর বয়সী মেয়েদের দৌড় প্রতিযোগিতায় প্রথম ও দ্বিতীয় হয় যথাক্রমে সোনিয়া ও ফারিহা। যৌথভাবে তৃতীয় হয় সাদিয়া ও ফাতিহা। ১১ থেকে ১৩ বছর বয়সী মেয়েদের দৌড় প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা হলো যথাক্রমে সেতু, মিলি ও মীম। মহিলাদের বালিশ খেলা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন মিম, ফারজানা ও শানু। ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আকর্ষণীয় ইভেন্ট ছিল ফুটবল প্রতিযোগিতা। মেঘনা ও যমুনা নামের ব্যানারে দুই দল প্রতিযোগিতায় নামে। কমিউনিটির নেতৃবৃন্দও এতে অংশ নেন। এক পক্ষের গোল কিপারের দায়িত্ব পালন করেন মূলধারার রাজনীতিবিদ আ. শহীদ, অপর পক্ষে ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটি অব ব্রঙ্কসের সাবেক সভাপতি মাহবুব আলম। কমিউনিটি নেতা এন মজুমদার, জুনেদ আহমদ চৌধুরী, কফিল আহমদ চৌধুরীসহ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এতে অংশ নেন। খেলাটি অবশ্য ড্র হয়। সবশেষে আয়োজন করা হয় বনভোজনের অন্যতম আকর্ষণ র্যা ফল ড্রয়ের। এতে পুরস্কার ছিল বিভিন্ন মূল্যবান সামগ্রী। এন মজুমদারের সৌজন্যে প্রথম পুরস্কার ছিলো ৪০ ইঞ্চি টিভি, আবুল ফজলের সৌজন্যে দ্বিতীয় পুরস্কার ছিলো ল্যাপটপ ও পার্কচেস্টার ব্রঙ্কস রিয়েলিটির সৌজন্যে তৃতীয় পুরস্কার ছিলো আইপ্যাড। শেষে খেলাধুলায় অংশগ্রহণকারী এবং র্যা ফল ড্রয়ে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। বনভোজনের খাবার সরবরাহ করে ব্রঙ্কসের নতুন রেস্টুরেন্ট খলিল বিরিয়ানি হাউস। বনভোজনে অংশগ্রহণের জন্য সংগঠনের সভাপতি সাহেদ আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক সেবুল খান মাহবুব সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সংগঠনের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সবার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। এ সময় তারা বলেন, বাংলাদেশ সোসাইটি অব ব্রঙ্কস ৩১ জুলাই ব্রঙ্কসের বাংলাবাজার এলাকায় গোল্ডেন প্যালেসে বিকেল ৫টায় বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ফ্রি স্কুল সাপ্লাই বিতরণ করবে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের এ প্রজন্মের সন্তানদের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে ফ্রি স্কুল সাপ্লাই গ্রহণ করার আহ্বান জানান তাঁরা। এআর/২০:৩৩/২৯ জুলাই
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2vgRmoU
July 30, 2017 at 02:32AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন