দুবাই, ২৯ জুলাই- বাংলা গানের দুই কিংবদন্তি হাসন রাজা ও শাহ আবদুল করিমের বিখ্যাত গান নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহে সংগীতসন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার শারজাহের একটি হোটেলে আয়োজিত এই সংগীতসন্ধ্যায় সংগীত পরিবেশন করেন প্রবাসী শিল্পী জাবেদ আহম্মদ মাসুম ও ফেরদৌসী নার্গিস শম্পা। কমিউনিটির পক্ষে এ সংগীতসন্ধ্যার আয়োজন করেন হাজি শফিকুল ইসলাম। মিডিয়া পার্টনার ছিল একাত্তর টিভি ও প্রবাসের নিউজ ডটকম। উৎসব প্রিয় বাঙালি যেকোনো উৎসবেই মেতে ওঠেন। আর তা যদি হয় বাউল গান, সবাই গলা ছাড়েন একসঙ্গে। প্রবাসীরা এভাবেই মেতে উঠেছিলেন প্রাণের সুরে। নারী-পুরুষ, আবাল বৃদ্ধ বনিতা সকল বয়েসি প্রবাসী ছুটে এসেছিলেন প্রাণের টানে। মাসুম ও শম্পা হাসন রাজা ও শাহ আবদুল করিমের মৌলিক গান নিয়ে সংগীত পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন লুৎফুর রহমান ও নৃত্যশিল্পী তিশা সেন। অনুষ্ঠানে নানা মন মাতানো গান প্রবাসীরা উপভোগ করেন। আয়োজকেরা জানান নতুন প্রজন্মকে নিজের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় ঘটাতেই এ আয়োজন। আরব আমিরাতের অন্য অনুষ্ঠানের মতো এই অনুষ্ঠানও শুরু হয় কিছুটা দেরিতে। নানা প্রদেশ থেকে প্রবাসীরা আসতে দেরি হয় বলে এই বিবেচনায় এখানকার অনুষ্ঠান শুরু একটু দেরি করেন আয়োজকেরা। ঘড়ির কাটায় যখন রাত ৯টা ৪৫ মিনিট তখন মঞ্চে আসেন আয়োজক হাজি শফিকুল ইসলাম। তিনি শুভেচ্ছা জ্ঞাপনে মঞ্চে ডাকেন কমিউনিটির নেতৃস্থানীয়দের। তিনি জানান অনুষ্ঠান আয়োজনের নেপথ্য কথা। আরও বলেন, বাংলা গানের দুই কিংবদন্তি হাসন রাজা আর শাহ আবদুল করিমকে প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের সঙ্গে পরিচয় ঘটাতে এবং বাংলা গানকে ভালোবাসাতে এ আয়োজন। এরপর মঞ্চে আসেন উপস্থাপিকা তিশা সেন। তিনি ডাকেন সহযোগী উপস্থাপক লুৎফুর রহমানকে। তারা দুজন মিলে শুরু করেন গানের আসর পরিচালনা। তাঁদের আহ্বানে মঞ্চে এলেন কণ্ঠশিল্পী মাসুম ও শম্পা। সঙ্গে কলাকুশলী ছিলেন সানি, তালহা, নূর ও রফিক। জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। প্রথমে হাসন রাজার তিনটি গান পরিবেশন করেন মাসুম। নেশা লাগিল রে, মাটিরো পিঞ্জিরার মাঝে ও বাউলা কে বানাইলো রে। শুরু হয় দর্শক শ্রোতার উল্লাস। এরপর আসেন শম্পা। তিনি শাহ আবদুল করিমের তিনটি গানআইলায় না আইলায় না রে বন্ধু, কেন পিরিতি বাড়াইলারে বন্ধু, কোন মেস্তরি নাও বানাইছে..। তাঁর গান পরিবেশনার সময় দর্শকেরাও গলা ছাড়েন সম সুরে। মরুভূমির আকাশ বাতাসে তখন যেন বাংলা গানের বসন্ত বাতাস। শম্পার গানের পর আবার মঞ্চে আসেন মাসুম। তিনি করেন শাহ করিমের অন্য তিনটি গান। তারপর আবার আসেন শম্পা। তিনি করেন হাসন রাজার অন্য তিনটি গান। এমন করে একেক শিল্পী গান পরিবেশন করেন দুই কিংবদন্তির নয়টি করে গান। সবশেষে ছিল আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম। এই গানের সময় সবাই একসঙ্গে নেচে ওঠেন। এ যেন প্রাণের সঙ্গে বেঁধেছে যে সুর। সবাই এই গানটি অনেক আনন্দে পরিবেশন করেন। ঘড়ির কাটায় যখন ঠিক ১২টা আরব আমিরাতের আইন অনুযায়ী বন্ধ হয় মাইক। সাঙ্গ হয় মিলনমেলা। এআর/২০:২৮/২৯ জুলাই
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2w91ZGz
July 30, 2017 at 02:29AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন