চান্দিনায় ভূয়া সনদে সরকারি চাকুরীতে নিয়োগের অভিযোগ

বশিরুল ইসলাম ● চান্দিনা উপজেলার বাতাঘাসী ইউনিয়নের হাসিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম নৈশপ্রহরী পদে জাল সনদের মাধ্যমে সরকারি চাকুরীতে নিয়োগের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। গত ১২ জুলাই চান্দিনা উপজেলায় দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী পদে মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে ৩০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য ৩০জন প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়।  ঐ পরীক্ষায় অস্টম শ্রেণী পাশের ভূয়া সার্টিফিকেট দিয়ে হাসিম পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে আবেদন করে শরিফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি নির্বাচিত হয়েছে মর্মে জেলা প্রশাসক বরাবর গত ১৮ জুলাই একটি আবেদন পত্র জমা হয়েছে।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায, দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী পদে আবেদন আহ্বান করা হলে ৩০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে  একাধিক আবেদনপত্র জমা হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১২ জুলাই চান্দিনা উপজেলা কার্যালয়ে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী প্রার্থীদের মধ্য থেকে  ৩০জন ১ম স্থান অধিকারী প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়।  নির্বাচিত প্রার্থীদের মধ্য থেকে অভিযোগ উঠেছে হাসিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে। সে কোন স্কুলে লেখা পড়া করে নাই। তার গ্রামের  বাড়ী দাউদকান্দি। সে ছোট থেকে মামার বাড়ীতে থেকে কৃষি ও অন্যান্য কাজ করে আসছে। বর্তমানে সে ডেকোরেশনের কাজ করে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন ভালভাবে তদন্ত করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে দাবী এলাকাবাসীর।

নাজিরপুর গ্রামের আব্দুল মমিন নামে স্থানীয় এক মুরুব্বী জানান, শরিফুল ইসলাম স্থানীয় এক মেম্বারের আত্মীয়। সে লেখাপড়া করে নাই । সে মেম্বারের সহযোগীতায় কোথায় থেকে সার্টিফিকেট সংগ্রহ করেছে তা জানিনা তবে আমি তাকে ছোট থেকে দেখে আসছি সে কোন স্কুলে লেখা পড়া করে নাই । উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করবে দূরের কথা সে তো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ও লেখাপড়া  করে নাই।

এব্যাপারে চান্দিনা উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল আল মামুন জানান, আমরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী পদে প্রাথমিকভাবে প্রার্থী নির্বাচিত করেছি। যদি কাহারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ সহ সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে তাকে বাদ দিয়ে যার কাগজপত্র সঠিক পাওয়া যাবে তাকে নেওয়া হবে। তাছাড়া আমাদের উপজেলায় যে সকল বিদ্যালয় থেকে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে সে সকল বিদ্যালয় আসলে সার্টিফিকেট দিয়েছে কিনা তা যাচাই বাছাই করে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় গুলোকে প্রত্যয়ন পত্র দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম জাকারিয়া জানান, আমরা প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচিত করেছি। যদি কাহারো বিরুদ্ধে তথ্য গোপন বা সার্টিফিকেট জালিয়াতির অভিযোগ পাই এবং এর সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে ২য় জনকে নিব, যদি ২য় জনের কাগজ পত্র সঠিক পাওয়া না যায় তাহলে তৃতীয় জনকে নেব।

The post চান্দিনায় ভূয়া সনদে সরকারি চাকুরীতে নিয়োগের অভিযোগ appeared first on Comillar Barta.



from Comillar Barta http://ift.tt/2v0jv3D

July 24, 2017 at 10:51PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top