ঢাকার বর্জ্য থেকে দৈনিক ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব : জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী

Captureঢাকা:

বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, রাজধানী ঢাকার বর্জ্য থেকে দৈনিক ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব।

আজ বুধবার জাতীয় সংসদে সাংসদ বজলুর হক হারুনের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে দৈনিক উৎপাদিত বর্জ্যের পরিমাণ প্রায় ছয় হাজার থেকে সাত হাজার মেট্রিক টন। উৎপাদিত এই বর্জ্যের মাত্র অর্ধেক পরিমাণ বর্জ্য স্তূপিকরণ এলাকা বা ডাম্পিং সাইটে পাওয়া যায়। এই পরিমাণ বর্জ্য দিয়ে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি ৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা সম্ভব।

তিনি বলেন, সুষ্ঠু পরিবেশসম্মত নগর গড়ে তোলার পাশাপাশি বিজ্ঞানভিত্তিক পরিবেশসম্মত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কিভাবে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ ও এনার্জি উৎপাদন করা যায় তা নিয়ে সরকার ইতোমধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

দেশে ৩৭টি গ্যাসকূপ খননের পরিকল্পনা
আ খ ম জাহঙ্গীর হোসেনের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে নসরুল হামিদ বলেছেন, দেশে দৈনিক প্রায় ২৭৪০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হয়। অনুসন্ধানে প্রাপ্ত গ্যাসের প্রাথমিক মজুদ প্রায় ২৭ দশমিক ১২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট এবং জানুয়ারী ২০১৭ মজুদ প্রায় ১২ দশমিক ৭৪ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। বর্তমানে দেশে ৩৭টি গ্যাসকূপ খননের পারিকল্পনা বাস্তবায়নাধীন আছে।

মন্ত্রী বলেন, জ্বালানী দক্ষতা বৃদ্ধি ও গ্যাসের অপচয় রোধের মাধ্যমে উত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করারার লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সরকার। একটি পাইলট প্রকল্পের আওতায় তিতাস গ্যাস টিএন্ডটি কোং লি. কর্তৃক মোহাম্মদপুর লালমাটিয়া এলাকায় চার হাজার ৫০০টি আবাসিক মিটার স্থাপন করা হয়েছে। এ প্রকল্পের জরিপের ফলাফল সন্তোষজনক। গ্রাহকদের দায়িত্বপূর্ণ ব্যবহারের কারণে প্রতিটি ডাবল বার্ণার চুলায় গড়ে ৩৩ ঘনমিটার গ্যাস সাশ্রয় হতে দেখা যায়।

বছরে জুতার ঘাটতি পাঁচ কোটি জোড়া
এম এ লতিফের প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, পাদুকা প্রস্তুতকারী সমিতির কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে সব ধরনের জুতার বার্ষিক চাহিদা ২৫ কোটি জোড়া। উৎপাদিত হচ্ছে ২০ কোটি জোড়া। চাহিদা ও উৎপাদনের পার্থক্য হলো পাঁচ কোটি জোড়া।

এম এ মালেকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন ৪৫টি মিল কারখানা আছে। এর মধ্যে চালু আছে ৩৬টি, নয়টি বন্ধ অবস্থায় আছে।

অপর প্রশ্নের জবাবে আমির হোসেন আমু বলেন, দেশে এখন চিনির বার্ষিক চাহিদা ১৫ লাখ মেট্রিক টন। বাংলাদশে চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের ১৫টি চিনিকলে কমবেশি এক লাখ থেকে দেড় লাখ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদিত হয়। চাহিদার অবশিষ্ট চিনি বেসরকারি সুগার রিফাইনারি কর্তৃক আমদানিকৃত র-সুগার থেকে উৎপাদিত রিফাইনড চিনি ও সাদা চিনি দিয়ে পূরণ করা হয়।



from ঢাকা – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2vd4mrK

July 12, 2017 at 10:43PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top