মুম্বাই, ২৩ জুলাই- কেউ ক্ষমা চেয়েছেন বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে, কেউ টুইট করে, কেউ আবার খোলা চিঠি লিখেছেন কঙ্গনাকে। কিন্তু বলিউডের স্বজনপোষণ নিয়ে নিজের আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন কঙ্গনা রানাউত। আর এই যুদ্ধে তিনি সূচগ্র মেদিনী ছাড়তে নারাজ। আইফার মঞ্চে করণ জোহর, বরুণ ধাওয়ানের সঙ্গে বিতর্কের শুরুটা করেছিলেন সইফ আলি খান। তাই এবার নিজের প্রাক্তন সহকর্মীকে একহাত নিলেন নায়িকা। সইফের খোলা চিঠির জবাবে পালটা খোলা চিঠি লিখলেন কঙ্গনা। বিশাল সেই চিঠিতে কঙ্গনা জানিয়েছেন, যাঁরা এই ইন্ডাস্ট্রির মেরুদণ্ড সেই দিলীপ কুমার, কে আসিফ, বিমল রায়, সত্যজিৎ রায়ের মতো কিংবদন্তির অসামান্য অবদানকে অস্বীকার করাটা খুবই অদ্ভুত ব্যপার। এমনকী বর্তমান সময়েও এটা বারবার প্রমাণিত হয়েছে যে ব্র্যান্ডেড জামা-কাপড়, মার্জিত ভাষা, উন্নত জীবনযাপন সাফল্যের চাবিকাঠি নয়। বরং অদম্য ইচ্ছে, পরিশ্রম করার মানসিকতাই লক্ষ্যে পৌঁছানোর একমাত্র রাস্তা। এটা কোনও ব্যক্তিগত লড়াই নয়। কেবলমাত্র উন্নত চিন্তাধারার প্রকাশ মাত্র। তাই কঙ্গনার কথায়, নেপোটিজম এমন একটি জিনিস যা মানুষকে উন্নত মানসিকতার চাইতে পরিবারের উপর বেশি নির্ভরশীল করে তোলে। আবেগ ছাড়া ব্যবসা হয়তো লাভ প্রচুর দিতে পারে, কিন্তু তা সৃষ্টিশীল হতে পারে না। বিবেকানন্দ, শেক্সপিয়র, আইনস্টাইনের মতো মানুষরা কোনও ব্যক্তিবিশেষের জন্য নন। তাঁরা মানুষের প্রগতির প্রতীক। এই আদর্শকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছেশক্তি তাঁর মধ্যে রয়েছে বলে জানান কঙ্গনা। চিঠিতে তাঁর প্রশ্ন, কেমন করে কেউ মিশ্র প্রজাতির ঘোড়ার সঙ্গে শিল্পীদের তুলনা করতে পারেন? কেবলমাত্র বংশ পরম্পরায় যদি শিল্পীসত্ত্বা পাওয়া সম্ভব হত, তাহলে সইফের কথা অনুযায়ী তো তাঁকে কৃষক হতে হত। নেপোটিজমকে মানুষের দুর্বলতা বলে আখ্যা দিয়েছেন অভিনেত্রী। তাঁর মতে, যাঁরা নেপোটিজমকে স্বাভাবিক বলে মনে করেন, তাঁরা নিজেদের এই চিন্তাধারা নিয়ে নিজেদের মতো থাকতে পারেন। কিন্তু তাঁর কাছে শিল্পীর কাজ সৃষ্টিশীলতার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে নতুন আশা জাগানো। আর এর জন্য প্রয়োজন কেবল উন্নত চিন্তাধারা ও কঠোর পরিশ্রম করার মানসিকতা।
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2uMJwCK
July 23, 2017 at 08:28PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন