সুরমা টাইমস ডেস্ক:পরিবারের কাছে অভিযোগ পাওয়ার পর ফরহাদ মজহারকে উদ্ধারে চেষ্টা চলছে বলে পুলিশের বক্তব্যের মধ্যে দলটির নেতা রুহুল কবির রিজভী এই সন্দেহের কথা জানান।
সোমবার বিকালে নয়া পল্টনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “প্রখ্যাত কলামনিস্ট, গবেষক, কবি এবং প্রতিথযশা বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মজহারের পরিবার সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করে যে তথ্যটুকু পেয়েছি, তা হৃদয়বিদারক, অমানবিক এবং সারা জাতির জন্য ভীতি ও শঙ্কার।
“আমরা যেটা মনে করি, সরকারের অজান্তে এই ঘটনা ঘটেনি। সরকারের কোনো এজেন্সি বা কোনো টিম এই ঘটনার সাথে জড়িত।”
ফরহাদ মজহারের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অপহরণের অভিযোগ করা হলেও কাউকে সন্দেহের কথা জানানো হয়নি।
তারা বলছে, ভোরে তুলে নেওয়ার পর ফরহাদ মজহার তার মোবাইলে থেকে ফোন করে ৩৫ লাখ টাকা না দিলে তাকে মেরে ফেলার আশঙ্কার কথা জানান।
পুলিশ বলছে, খুলনা অঞ্চলে ফরহাদ মজহারের অবস্থান শনাক্ত করেছেন তারা। উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
রিজভী বলেন, “অপহরণের ২৪ মিনিট পরে ফরহাদ মজহার সাহেবকে দিয়ে বলা হয়, আপনারা টাকা যোগাড় করেন এবং সেই টাকা দিলে পরে ছেড়ে দেওয়া হবে। একজন সাংবাদিক জানিয়েছেন, এই টাকার পরিমাণ প্রায় ৩৫ লাখ টাকা।
“এরপর পুলিশকে ঘটনা জানানো হলে তারা যে মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করেছেন, তা ট্র্যাক করার চেষ্টা করে। তারা ট্র্যাক করে দেখেছেন যে, কখনও গাড়িটি মানিকগঞ্জের দিকে আছে, আবার পরবর্তীতে বলেছেন যে মাগুরা-যশোরের দিকে আছে। বিষয়টা রহস্যজনক।”
সরকারকে সন্দেহের কারণ ব্যাখ্যা করে রিজভী বলেন, “আমরা মনে করি, এই অপহরণের উদ্দেশ্য হচ্ছে আর যাতে কেউ কলম না ধরতে পারে, আর যাতে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে না পারে, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ যে গুমরে গুমরে মরছে, এটা যেন বাঙময় হয়ে খবরে কাগজে অথবা অন্য কোথাও প্রকাশিত হতে না পারে। নিস্তব্ধ-নীরব হয়ে যায় যেন মানুষ। আর তাই পরিতৃপ্তি সহকারে এই দুঃশাসনের অধিকর্ত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী রাজত্ব করে যাবেন।
“তাকে এমনি মুক্তিপণের জন্য কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠি, অপরহরণকারী গোষ্ঠি অপহরণ করতে পারে না। সরকার তার যে লেখনী, তা যে চিন্তা, তার যে মনন, এটিকে ভয় পেয়ে অনেকদিন ধরেই মনে হয় টার্গেট করেছিল, আজকে সেই টার্গেটটা সম্পন্ন করার তারা চেষ্টা চালিয়েছে।”
ফরহাদ মজহারকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “নইলে এদেশের মানুষ ক্ষোভে প্রতিবাদে ফেটে পড়বে।”
কোন এজেন্সিকে আপনি সন্দেহ করছেন- প্রশ্ন করা হলে রিজভী বলেন, “এটা তো আমরা বলতে পারব না। এই ধরণের ঘটনাগুলো আমরা এর আগেও দেখেছি। আপনারা দেখুন এম ইলিয়াস আলী, সাইফুল ইসলাম হিরু, চৌধুরী আলমের কথাই বলুন, নেচারটা এই রকমই।
“আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাইক্রোবাসে নিয়ে যাচ্ছে, কালো গ্লাসঢাকা মাইক্রোবাসে তারা তুলে নিচ্ছে, তারা আবার অস্বীকার করছেন। তারা আবার নাটক করে দেখাচ্ছে, আমরা খোঁজ নিচ্ছি, খোঁজ করছি।”
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2sEYIN9
July 03, 2017 at 10:02PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন