ঢাকা, ১৪ জুলাই- নানা সংকট মেয়েদের ক্রিকেটে। ফাইল ছবিআমরা মেয়ে, আমাদের অনুশীলন লাগে? একবারে ম্যাচ খেলতে নেমে যাব! ফাঁকা সূচিতে কী করছেন জানতে চাইলে ক্ষোভই উগরে দিলেন বাংলাদেশ নারী দলের এক ক্রিকেটার। জানুয়ারি থেকে জুনআন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ত সূচি কাটিয়েছেন মাশরাফিরা। জাতীয় দলের বাইরের খেলোয়াড়েরাও একেবারে বসে থাকেননি, ব্যস্ত ছিলেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। এখন যেহেতু আন্তর্জাতিক কিংবা ঘরোয়া ক্রিকেট নেই, ছেলেদের দল সময় কাটাচ্ছে কন্ডিশনিং ক্যাম্প করে। কিন্তু মেয়েদের ক্রিকেটে ভিন্ন ছবি। ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কায় বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব খেলে আসার পর রুমানাদের খেলা হয়নি আর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ। যা একটু ব্যস্ত হয়েছিলেন মে মাসে অনুষ্ঠিত জাতীয় লিগ নিয়ে। এই লিগে শিরোপা জিতেছে খুলনা বিভাগ। এমনিতে মেয়েদের লিগ বা টুর্নামেন্ট ছেলেদের তুলনায় কম। যাও বা হয়, সেটিতে তাঁরা প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা কি পান? এবার জাতীয় লিগ শুরুর আগে প্রশ্ন উঠেছিল মেয়েদের ম্যাচ ফি। ৫০ ওভারের ফরম্যাটে হওয়া এই লিগে ম্যাচ ফি ঠিক করা হয়েছিল ৬০০ টাকা! চার দিনের ম্যাচ হলেও ছেলেরা জাতীয় লিগে গড়ে ম্যাচ ফি পান গড়ে ২০-২৫ হাজার টাকা। মেয়েদের টাকাটা অন্তত চার অঙ্ক ছুঁতে পারত। সংবাদমাধ্যমে এটি নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনার পর বিসিবি জানিয়েছিল, ম্যাচ ফি ১ হাজার টাকা করা হবে। কিন্তু সেটি করা হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ জাতীয় দলের এক খেলোয়াড়ের অভিযোগ, জাতীয় লিগে ম্যাচ ফি তো বাড়েইনি, কমিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রতিদিনের ভাতাও (ডিএ), জাতীয় লিগে আগে আমরা ম্যাচ ফি পেয়েছি ৫০০ টাকা, সেটি ছিল টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। এবার ৫০ ওভারের ম্যাচ হওয়ায় একটু বেড়েছে, ৬০০ টাকা। তবে ১ হাজার টাকা বাড়ানোর কথা বললেও সেটি হয়নি। আগের মৌসুমে ডিএ পেয়েছি ৮০০ টাকা। এবার এটাও ১ হাজার করার কথা বলা হয়েছিল। পরে সেটি ১০০ কমিয়ে ৭০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে! নারী দলের আরেক খেলোয়াড় জানালেন, জাতীয় লিগে চ্যাম্পিয়ন দলের প্রাইজমানিও কমানো হয়েছে এবার। আগে যেটি ছিল ১ লাখ টাকা। এবার সেটি করা হয় ৫০ হাজার টাকা। প্রতিশ্রুতি দিয়েও কেন ম্যাচ ফি বাড়ানো হয়নি, এ প্রশ্নে বিসিবির মহিলা ক্রিকেটের চেয়ারম্যান আবদুল আওয়াল চৌধুরী বললেন, আন্তর্জাতিক সিরিজ বা টুর্নামেন্টে দেওয়া হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে ওইভাবে মেয়েদের ম্যাচ ফি দেওয়া হয় না। আমরা মাত্রই ধারাটা শুরু করেছি। মেয়েদের ক্রিকেটে ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। একবার শুরু হলে পরে আরও বাড়ানো যাবে। অ্যাকাউন্টসকে বলেছি, যেন ১ হাজার করে দেয়। আমি চাই ওরা পয়সাটা পাক। তবে চ্যাম্পিয়ন দলের প্রাইজমানি নিয়ে নির্দিষ্ট কিছু বলতে পারেননি বিসিবির মহিলা ক্রিকেটের চেয়ারম্যান, জানি না আপনাকে কে বলেছে। আগের বাজেট দেখতে হবে। বাজেট কমে না। বাজেট সব সময়ই বাড়ে। মেয়েদের বাজেট এমনিতে কম। বাজেট যে বরাদ্দ থাকে প্রতিবছর সেটি ১০ শতাংশ বাড়ে। মেয়েদের ক্রিকেটে আর্থিক সমস্যা তো আছেই। সঠিক সময়ে আয়োজন করা হয় না লিগ। মাঠ-সংকটে এপ্রিলে গড়ায়নি মেয়েদের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। ১৫ জুলাই থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল এবারের লিগ। কিন্তু বর্ষা মৌসুম হওয়ায় আপত্তি তুলেছে ক্লাবগুলো। তাই আরেক দফা পেছাচ্ছে ২০১৬-১৭ মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগ। বিসিবি জানিয়েছে, লিগ শুরু হতে পারে আগামী সেপ্টেম্বরে। পঞ্জিকা অনুযায়ী ২০১৬-১৭ মৌসুম শেষ হয়েছে আরও আগে। সেপ্টেম্বরে তাহলে কোন মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগ হবে? আবদুল আওয়ালের ব্যাখ্যা, এটা ২০১৬-১৭ মৌসুম হিসেবেই ধরা হবে। আবহাওয়ার কারণে আমরা একটু পিছিয়েছি। তবে খেলোয়াড়েরা যাতে বসে না থাকে তাই ২০ জুলাই থেকে জাতীয় দলের একটা ক্যাম্প শুরু করছি। আর/১৭:১৪/১৪ জুলাই
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2tQB3xm
July 14, 2017 at 11:58PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন