সিউল, ২৯ জুলাই- দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে গত ২১-২৩ জুলাই ২০১৭ তারিখে সিউল বাংলা ফিল্ম ফেস্টিভাল অনুষ্ঠিত হয়ে গেল । বিদেশে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরার প্রয়াসে Discover Bangladesh through Cinema প্রতিপাদ্য নিয়ে এ ফেস্টিভাল আয়োজন করা হয় । সহযোগিতায় ছিল এম এন্ড এম ইন্টারন্যাশনাল এবং কোরিয়ান কালচার এসোসিয়েশন সহ আরও কয়েকটি কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান । তিনদিনব্যাপী অনুষ্ঠানে মোট তিনটি পূর্ণদৈর্ঘ্য এবং ছয়টি স্বল্পদৈর্ঘ্য বাংলাদেশী চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয় । ফেস্টিভালের প্রথমদিন অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, কোরিয়ার বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ, বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ, কোরিয়ার সিনেমাবোদ্ধা মানুষেরা অংশগ্রহণ করেন । তাদের আপ্যায়ন করা হয় নানা ধরণের বাংলাদেশী খাবার দিয়ে । উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোরিয়ার সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ-কোরিয়া পার্লামেন্টারী ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের চেয়ারম্যান জনাব কিম কিসন । তিনি তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশ ও কোরিয়ার সাংস্কৃতিক সাদৃশ্য তুলে ধরেন এবং চলচ্চিত্র উৎসবের সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন । রাষ্ট্রদূত জনাব মোঃ জুলফিকার রহমান ফিল্ম ফেস্টিভালের উদ্দেশ্য তুলে ধরে সবাইকে বাংলা সিনেমা উপভোগের আহবান জানান । রাষ্ট্রদূত বলেন যে, প্রচলিত ধারণার বাইরে বাংলাদেশের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরার জন্য মূলতঃ এই আয়োজন । বাংলাদেশের মানুষের মুক্তিযুদ্ধ, প্রাকৃতিক দূর্যোগের বিরুদ্ধে নিরন্তর সংগ্রাম, তাঁদের অগ্রযাত্রাএ সবই এ উৎসবের উপজীব্য । উদ্বোধনী প্রদর্শনীতে মোরশেদুল ইসলাম পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধের উপর নির্মিত চলচ্চিত্র অনিল বাগচীর একদিন প্রদর্শিত হয় । সাবলীল অভিনয়, অসাধারণ কাহিনী ও সংলাপ দর্শকরা দারুণভাবে উপভোগ করে । দর্শকদের সুবিধার জন্য দূতাবাস স্থানীয়ভাবে চলচ্চিত্রগুলোতে কোরিয়ান ও ইংরেজী সাবটাইটেল যোগ করে । প্রদর্শনী শেষে অতিথিদের উপহারস্বরূপ বাংলাদেশের বাহারী পাটপণ্য দেয়া হয় । বাকি দুদিন একে একে দেখানো হয় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র কবি স্বামীর মৃত্যুর পর আমার জবানবন্দী, এ্যাক্যুরিয়াম, একই পথে, কাঁচবৃষ্টি, দূরবীণ, কন্টেইনার এবং পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র মেঘমল্লার এবং অজ্ঞাতনামা । প্রতিটি শোতে হলভর্তি সিনেমাপ্রেমীরা এসব সিনেমা উপভোগ করে । বিশেষ করে অজ্ঞাতনামার মানবিক দিকটি দর্শকদের আবেগকে ভীষণভাবে নাড়া দেয় । কোরিয়ার যুবসমাজ তথা নতুন প্রজন্মকে এখানে দর্শক হিসেবে প্রাধান্য দেয়া হয়েছিল । প্রতিটি প্রদর্শনীতে উপচে পড়া দর্শকের উপস্থিতি এই উৎসবের সফলতা তুলে ধরে । বাংলাদেশ দূতাবাসের সকল কর্মচারী-কর্মকর্তার আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে এ বিরাট আয়োজন সম্ভব হয় । সিনেমা নির্বাচনের ক্ষেত্রেও ছিল যথেষ্ট বিচক্ষণতা ও বিবেচনার ছাপ । সবশেষে এটুকু বলাই যায়, এ ফেস্টিভালের মাধ্যমে বাংলাদেশ কোরিয়ানদের কাছে নতুনভাবে পরিচিতি পেলো । আর/০৭:১৪/২৯ জুলাই



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2tLuCZD
July 29, 2017 at 02:36PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top