ইসলামাবাদ, ১৪ জুলাই- পাকিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা টেস্ট অধিনায়ক তিনি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তার নেতৃত্বেই সাদা পোশাকে দারুণ সব ফলাফল অর্জন করেছে দলটি। আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে তারা উঠেছিল এক নম্বর স্থানে। গেল মে মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে তারা প্রথমবারের মতো টেস্ট সিরিজ জয়ের কৃতিত্ব দেখিয়েছে। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে সে সিরিজ শেষে বর্ণাঢ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন মিসবাহ উল হক। অধিনায়ক ও ব্যাটসম্যান হিসেবে তার সাফল্য প্রেরণা যোগাবে ভবিষ্যৎ ক্রিকেটারদের। ক্রিকেটে অসামান্য অবদান রাখার জন্য তাই সম্প্রতি মিসবাহকে সম্মাননা দিয়েছে মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)। ক্রিকেটের আইন প্রণেতা এই সংস্থার আজীবন সদস্যপদ পেয়েছেন তিনি। সম্প্রতি লর্ডসে এমসিসি একাদশের মুখোমুখি হয় আফগানিস্তান। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে খেলা বন্ধ থাকার ফাঁকে ৪৩ বছর বয়সী মিসবাহর হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেয়া হয়। বিশ্বক্রিকেটের সেরা পুরুষ ও নারী তারকাদেরই আজীবন সদস্যপদ দেয় ক্রিকেটের আইনপ্রণেতা সংস্থা ও বিখ্যাত লর্ডস ক্রিকেট মাঠের মালিক এমসিসি। পাকিস্তানের ২২তম ক্রিকেটার হিসেবে এই সম্মাননা পেলেন মিসবাহ। ইমরান খান, মুশতাক মোহাম্মদ, হানিফ মোহাম্মদ, জাভেদ মিয়াঁদাদ, ওয়াকার ইউনিস, ওয়াসিম আকরাম ও সাকলায়েন মুশতাকরা এই তালিকায় রয়েছেন। ২০১৫ সালে সর্বশেষ পাকিস্তানি ক্রিকেটার হিসেবে এই মর্যাদাপূর্ণ সম্মাননা পেয়েছিলেন রমিজ রাজা। পাকিস্তানকে রেকর্ড ৫৬ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন ডানহাতি ব্যাটার মিসবাহ। রেকর্ড ২৬টি টেস্টে জয়ের কৃতিত্বটিও তার দখলে। ১৭ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারে ৭৫ ম্যাচে ৪৬.৬২ গড়ে ৫২২২ রান করেছেন তিনি। সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ১০টি, সঙ্গে হাফসেঞ্চুরি ৩৯টি। সূত্র: দ্য ডন
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2tPKoWd
July 14, 2017 at 08:12PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন