কলকাতা, ১৪ জুলাই- গত বুধবার অ্যান্টার্কটিকায় ভেঙে পড়ল বিশাল বরফের চাঁই। লারসেন সি আইস-শেল্ফ থেকেই আলাদা হয়ে গেল বৃহদাকার সেই হিমশৈল। নাসার ভাষায় ওয়ান ট্রিলিয়ন টনের ওই বরফের আয়তন প্রায় ৫,৮০০ বর্গ কিলোমিটার। সহজ করে বললে, ভারতের রাজধানী শহর দিল্লির চারগুণ এই হিমশৈল। বেশ কয়েক বছর আগেই ফাটল ধরা পড়েছিল অ্যান্টার্কটিকার বরফ দেওয়ালে। ১২ জুলাই, ২০১৭-য় তা ভেঙে গেল বলে জানিয়েছে নাসা। নাসার ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই ছবি। নতুন বরফ চাঁইটির নাম দেওয়া হয়েছে A68। ভেঙে পড়ার আগে থেকেই সাগরজলে ভেসেছিল এ৬৮। তাই বৈজ্ঞানিকরা মনে করছেন, এই মুহূর্তে সমুদ্রপৃষ্ঠের কোনও অদলবদল হবে না। কিন্তু, লারসেন সি যদি হঠাৎ করে সরে যেতে শুরু করে এবং ধসে পড়ে, তাতে জলতল বেড়ে যাওয়া অবশ্যম্ভাবী। ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভে-র অধিকর্তা ও হিমশৈলবিদ ডেভিড ভন সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন যে, বেশ কিছু দ্বীপ ও বিভিন্ন দেশের উপকূলবর্তী অঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যদি এ৬৮ হিমশৈলটি গলতে শুরু করে। ফকল্যান্ড আইল্যান্ড, আর্জেন্টিনা, বুয়েনেস আয়রেস, উত্তর-পূর্ব ব্রাজিল ইতিমধ্যেই বিপদসীমার আওতায় রয়েছে। ফলে, এ৬৮ গলতে শুরু করলে এই জায়গাগুলির কী হবে তা না বললেও চলে। ভারতও এই বিপদসীমার আওতায় পড়ে বলে জানা গিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি রিপোর্ট থেকে। ২০১৬ সালের ওই রিপোর্ট অনুয়ায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে ভারতের উপকূলবর্তী এলাকার প্রায় চার কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। রিপোর্ট আরও বলেছে যে, মুম্বই ও কলকাতা এই তালিকার একদম শীর্ষে রয়েছে। প্রসঙ্গত, ভারতের সুন্দরবন অঞ্চল ও মাজুলি দ্বীপ অনেকটাই এখন জলের তলায় চলে গিয়েছে।
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2upXMSk
July 14, 2017 at 08:10PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন