ঢাকা, ০৭ জুলাই- স্ত্রী ও দুই সন্তানকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখেও কোনো দৃষ্টিগ্রাহ্য পদক্ষেপ নেননি জাতীয় দলের ক্রিকেটার মোহাম্মদ শহীদ। এই অবস্থায় উপায়ন্ত না দেখে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড(বিসিবি)র দারস্থ হতে যাচ্ছেন শহীদের স্ত্রী ফারজানা আক্তার। অধিকার ফিরে পেতে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাসের কাছেও ছুটে গিয়েছিলেন ফারজানা। আওয়ামী লীগ নেতা তার মত করে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু দূরত্ব ঘোঁচাতে পারেননি। তিনিও বলেছেন, বিষয়টি খুবই অমানবিক। তিনিই বিসিবির কাছে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দিয়েছেন। শহীদের বিরুদ্ধে গত তিন বছর ধরে অত্যাচার-নির্যাতন করার অভিযোগ করেন তার স্ত্রী ফারজানা আক্তার। তার অভিযোগ, ছয় বছরের সংসার জীবনের গত কয়েক বছর দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে শহীদের অত্যাচারে। এমনকি ঈদের দুই দিন আগে বাসা থেকে সন্তান সমেত বের করে দেয়ার অভিযোগ করেছেন তিনি। ফারজানা তার ১১ মাস বয়সী মেয়ে আরোহি ও আড়াই বছর বয়সী ছেলে আরাফকে নিয়ে এখন তার বাবার বাড়ি মুন্সিগঞ্জে আছেন। ফারজানা জানান, বড় সন্তান ছেলে হওয়ায় আরাফকে অবশ্য ভালোই জানেন শহীদ।কিন্তু ছোট সন্তান আরোহিকে নিজের মেয়ে বলে মেনে নিচ্ছেন না শহীদ। ফারজানা আক্তার বলেন, এতদিন আমার বাড়ির মুরুব্বিরা বিষয়টি পারিবারিকভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু শহীদের পরিবার এই বিষয়ে কোনো ধরনের আগ্রহ দেখায়নি। বিষয়টির মীমাংসা করে দিতে আমরা মুন্সীগঞ্জ সদর আসনের এমপি মৃণাল কান্তি দাসেরও কাছেও গিয়েছি। তিনি গতকাল বুধবার আমাকে ফোনে বলেছেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড(বিসিবি)র কাছে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ জানাতে। খুব শিগগির বিসিবির কাছে এই ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ জানাব। মৃণাল কান্তি দাস বলেন, ক্রিকেটার শহীদের স্ত্রী ফারজানা আক্তার আমার কাছে এসেছিল। আমি তার অভিযোগ শুনেছি। বিষয়টি আমার কাছে বেশ অমানবিক লেগেছে। আমি তাকে পরামর্শ দিয়েছি বিসিবির কাছে সরাসরি লিখিত অভিযোগ জানানোর জন্য। ২০১১ সালের ২৪ জুন মুন্সীগঞ্জের মেয়ে ফারজানা আক্তারের সঙ্গে পারিবারিক বিয়ে হয় নারায়ণগঞ্জের ছেলে ক্রিকেটার মোহাম্মদ শহীদের সঙ্গে। সুখেই চলছিল তাদের সংসার। ২০১৫ সালে খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে অভিষেক হয় শহীদের। ধীরে ধীরে তারকাখ্যাতি পেতে শুরু করেন তিনি। শহীদের আচরণেও পরিবর্তন চলে আসে। স্ত্রী ফারজানার প্রতি আগ্রহ কমতে থাকে তার। এক পর্যায়ে একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠে শহীদের বিরুদ্ধে। ফারজানা তাতে বাধা দিলে শুরু হয় নির্যাতন। সর্বশেষ গত ২৩ জুন স্ত্রী ও দুই সন্তানকে বাড়ি থেকে বের করে দেন শহীদ। বর্তমানে ফারজানা বাবার বাড়ি মুন্সীগঞ্জে আশ্রয় নিয়েছেন। এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে মোহাম্মদ শহীদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে নাম শুনে ফোন কেটে দেন। এরপর একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2uRbIka
July 07, 2017 at 07:07PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন