ঢাকা, ১১ জুলাই- গত কয়েক মাস ধরেই হাবিব ওয়াহিদের সঙ্গে মডেল-অভিনেত্রী তানজিন তিশার প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন চলছিলো। কিন্তু সম্প্রতি হাবিব ওয়াহিদের সাবেক স্ত্রী রেহান চৌধুরী তার ডিভোর্সের জন্য সরাসরি দায়ী করেছেন তানজিন তিশাকে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। এমনকি তানজিন তিশার সঙ্গে হাবিবের লিভ টুগেদারের সম্পর্ক রয়েছে বলেও দাবি রেহানের। গত দুদিন ধরে বিষয়টি নিয়ে জোর আলোচনা চলছে মিডিয়া পাড়ায়। এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে হাবিব ও তানজিন তিশা ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তাদের বক্তব্য পরিষ্কার করেছেন। তারা দুজনই নিজেদের সম্পর্ককে একান্ত ব্যক্তিগত বলে জানিয়েছেন। তবে ডিভোর্সের কয়েক মাস পর রেহান কেন বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন? হাবিব-রেহানের ডিভোর্সের পেছনের রহস্যটাই বা কি ছিলো? এরকম প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে হাবিব ও তিশা ভক্তদের মাথায়। রেহান হাবিবের দ্বিতীয় স্ত্রী। ২০১১ সালের ১২ই অক্টোবর হাবিব ওয়াহিদের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন চট্টগ্রামের মেয়ে রেহান। পরের বছরের ১৪ই ডিসেম্বর তাদের ঘরে আসে পুত্র সন্তান আলিম। চলতি বছরের ১৯শে জানুয়ারি ডিভোর্স হয়ে যায় হাবিব-রেহানের। রেহানের কাছে প্রথম প্রশ্ন ছিলো বেশ কয়েক মাস হয়ে গেছে হাবিবের সঙ্গে আপনার ডিভোর্সের। এতদিন পর কেন এ বিষয়ে মুখ খুললেন? এতদিন চুপ থাকার কারণই বা কি? উত্তরে হাবিবের এই সাবেক স্ত্রী বলেন, বিশ্বাস করুন আমি এ বিষয়ে একদমই কথা বলতে চাইনি। কারণ আমি আমার মতো করে চলতে চেয়েছিলাম ডিভোর্সের পর থেকে। কিন্তু আমাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করেই যাচ্ছে তানজিন তিশা। বেশ কয়েকবার সে আমাকে গালি দিয়ে এসএমএস করেছে। সেই স্ক্রিনশটও আমার কাছে আছে। আমার কারণে নাকি হাবিবের সঙ্গে তার ব্রেকআপ হয়েছে। এমন অভিযোগ সে করে আসছে। কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে ডিভোর্সের পরও কেন আমাকে মানসিক যন্ত্রণায় থাকতে হবে? তিশাই বা কেন আমাকে এসএমএস করবে! এই বিষয়ে কি আপনি হাবিব ওয়াহিদের সঙ্গে কথা বলেছেন? উত্তরে রেহান বলেন, কয়েক দফা বলেছি। সে আমাকে বুঝিয়েছে তিশা নাকি মানসিক যন্ত্রণায় আছে। রেহান তুমি কিছু মনে করো না। আমি দেখছি। ব্যাস এই পর্যন্তই। কিন্তু তিশার বাজে এসএমএস দেয়া বন্ধ হয়নি। কিন্তু ডিভোর্সের জন্য আপনি তিশাকে দায়ী করছেন। বিষয়টি কি খুলে বলবেন? কান্নাজড়িত কণ্ঠে রেহান বলেন, ডিভোর্সের আগে প্রথমবারের মতো জানতে পারি ভারতের গোয়ায় তিশার সঙ্গে গিয়ে দশ দিন থেকে এসেছে হাবিব। সে সময় অনেকবার ফোন দিলেও হাবিব রিসিভ করেনি। আমার মানসিক অবস্থা তখন খুবই খারাপ। হাবিব দেশে ফেরার পর বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম। সে উত্তরে বললো হ্যাঁ আমরা একসঙ্গে গিয়েছি। তো কি হয়েছে! আল্লাহর হুকুম হয়েছে তাই আমাদের প্রেম হয়েছে। একটু কষ্টের কথা বলি। গত ডিসেম্বরের ১৪ তারিখ ছিলো আমাদের ছেলে আলিমের জন্মদিন। তখনও আমাদের ডিভোর্স হয়নি। সেদিন আমি রান্নাবান্না করে বসে আছি হাবিবের অপেক্ষায়। কিন্তু তানজিন তিশা হাবিবকে স্টুডিওতে ডাকলো। সেও নাকি রান্না করে নিয়ে এসেছে। হাবিব ঠিকই স্টুডিওতে চলে গেল। এরকমভাবেই প্রচুর অপমান হয়েছি। শেষে হাবিবই আমাকে বললো চলো আমরা ডিভোর্স করি। তুমিও স্বাধীন হও। আমরাও স্বাধীন হয়ে যাই। ডিভোর্সের পর আমি বাচ্চাটাকে নিয়ে হাফ ছেড়ে চলে আসি। কিন্তু তার পরও তিশা বাজে বাজে এসএমএস পাঠাতে থাকে। আমি নাকি হাবিবের সঙ্গে তার ব্রেকআপের জন্য দায়ী! আমাকে গালি শুনতে হয়েছে অনেক। কেন এটা হবে? এজন্যই সহ্য করতে না পেরে আমি মুখ খুললাম। দুই দিন পর পর হাবিব-তিশার ব্রেকআপ হয়। আবার তারা সিলেট কিংবা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাচ্ছে। আমি চাইলে আগেই ডিভোর্স নিতে পারতাম। কিন্তু সন্তানের দিকে তাকিয়ে আমি সহ্য করেছিলাম তখন। হাবিব ওয়াহিদও বিষয়টি নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। দেখেছেন নিশ্চয়ই? রেহান বলেন, দেখেছি। একদমই মিথ্যা কথা। সে একটা মিথ্যাবাদী। এটা আমার চেয়ে ভালো কেউ জানে না। একটা কথাই বলবো, আমার উপর মানসিক নির্যাতন বন্ধ করুন। কারণ কাদা ছোড়াছুড়ি করতে আমারও ভালো লাগে না। আমি সাধারণ ঘরের মেয়ে। সাধারণ ভাবেই বাঁচতে চাই।
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2uLNUiA
July 11, 2017 at 06:47PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন