কলকাতা, ০৮ জুলাই- বসিরহাট, বাদুড়িয়ার ঘটনা নিয়ে এবার কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপির দিকেই সরাসরি আঙুল তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত হবে। দেখে নিন, নবান্ন থেকে কী কী বললেন মমতার কেন্দ্রীয় সরকারের অসহযোগী মনোভাবই এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী। কেন্দ্রের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় হস্তক্ষেপ করার প্রবণতার জন্যই কিছু বিদেশি শক্তি অশান্তিতে মদত দিচ্ছে। যাদের সঙ্গে বিজেপি দলের কেন্দ্রীয় শাখার সম্পর্ক খুব ভাল। বাংলায় বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল সীমান্ত রয়েছে। সিকিম দিয়ে চিনের বর্ডার রয়েছে। বাংলা সীমান্তকে ডিস্টার্ব করার আগে ভাবা উচিত। কালিদাস যে ডালে বসে ছিলেন, সেই গাছের ডাল কেটেছিলেন। দার্জিলিঙের ঘটনাটা পুরোপুরি প্ল্যান্টেড। সেন্ট্রাল রিজার্ভ ফোর্স কেন বলা হয়? কেন দেশের চার প্রান্তে বিএসএফ, এসএসবি, সিআরপিএফ থাকে? দার্জিলিঙে এক মাস বনধ চলার পরেও বার বার বলা সত্ত্বেও কেন সিআরপিএফ দেওয়া হল না। দার্জিলিঙে নেপাল বর্ডার আছে, বসিরহাটে বাংলাদেশ বর্ডার আছে। অসহযোগিতা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। তিন কোম্পানি করে পুরুষ এবং মহিলা এসএসবি পাঠানো হল, কিন্তু এসএসবি দিয়ে কোনও কাজ হয় না। এমনকী হাইকোর্ট নির্দেশ দেওয়ার পর ৪৮ ঘণ্টা কেটে গেলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না। বিজেপি-র লোকেরা নাকি ত্রিশূল পরিকল্পনা করেছে। একদিকে কাশ্মীর জ্বলেছে, মধ্যপ্রদেশে এতগুলো কৃষক মৃত্যু হয়ে গেল। সেখানে তো কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ফেসবুকের নামে ফেকবুক চলছে। যেই প্রতিবাদ করছে তাঁর বিরুদ্ধেই অ্যাকশন। হয় সিবিআই, নয় ইডি, নয় ইনকাম ট্যাক্স, এনআইএ লাগিয়ে দেও। যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোকে শেষ করে দিয়ে কি সুপার ইমার্জেন্সি চলছে? নোটবাতিল বিরাট দুর্নীতি, জিএসটি-ও তাই। আমি বলছি না, এটা খোদ চিদম্বরম বলছেন। জিএসটি, নোটবন্দির আগে পরে এমন ঘটনা ঘটানো হচ্ছে, যাতে এই বিষয়গুলি চাপা পড়ে যায়। এগুলি বিজেপি-র ত্রিশূল পরিকল্পনার অংশ। বাদুড়িয়া, বসিরহাটের ঘটনায় আমরা বিচারবিভাগীয় তদন্ত করব। আমরা সব খতিয়ে দেখব। কারা গুজব ছড়িয়েছে, কারা বাংলাদেশের কুমিল্লার ভিডিও ক্লিপিং বসিরহাটের বলে দেখিয়েছে। বসিরহাট, বাদুড়িয়ার সাধারণ মানুষকে আমরা ধন্যবাদ দেব যে তাঁরা এই প্ররোচনায় পা দেননি। দার্জিলিঙের মানুষের কাছে আবেদন জানাব, আপনারা আলোচনায় আসুন। আপনারা সংযত থাকুন, প্রশাসন সংযত থাকব। দিল্লির মন্ত্রীদের কথায় প্ররোচিত হব না। সিআরপিএফ সময় মতো পেলে পাহাড়ে এই ঘটনা ঘটত না। পাহাড়ের কিছু নেতার হিংসাত্মক আন্দোলনের জন্য আজ এই পরিস্থিতি। নেতারা করে খাচ্ছেন, নেপাল, সিকিম বর্ডার থেকে কিছু কিছু নেতা খাবারও নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আপনারা কি মানুষের কথা ভাববেন না? বাচ্চারা পড়াশোনা করতে পারছে না। কথা যে কোনও সময় বলা যায়। শান্তির পথে ফিরে আসুন, সরকারকে খাবার পাঠাতে দিন। কারা তৃণমূলের অফিস পুড়িয়ে দিচ্ছে? আরএসএস-এর লোকেরা। আমরা সব জানি। বিজেপি-র একটি মুসলিম সংগঠন আছে এমআইএম। এদের বিজেপি বিহারে কাজে লাগিয়েছিল। হিন্দু সংহতি আর এমআইএম আমরা বিজেপি-র এই দুটি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করেছি।



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2sATvXq
July 09, 2017 at 02:05AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top