ক্যান্সার বাড়িয়ে দিচ্ছে কেমোথেরাপি!

^BMODEL RELEASED. Cancer chemotherapy.^b Female patient receiving anticancer drugs from an intravenous drip bag. This continuously supplies the patient with a controlled amount of drugs that target cancer cells. The drugs target all rapidly dividing cells, which causes them to have a range of side effects, including hair loss. Cancer is a disease caused by the uncontrolled replication of abnormal cells, which can invade and destroy healthy tissue. The drugs in use here are ^Icytoxan^i and ^Iadriamycin^i. Photographed at Massachusetts General Hospital, USA.

সুরমা টাইমস ডেস্ক: ক্যান্সার চিকিৎসার সবচেয়ে আধুনিক পদ্ধতি কেমোথেরাপির কারণেই ক্যান্সারের কবলে পড়া কোষগুলি আরো ছড়িয়ে পড়ছে শরীরে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকদের এক গবেষণাপত্রে এমনটিই উল্লেখ করা হয়েছে।

ওই গবেষণাপত্রটির শিরোনাম ‘নিওঅ্যাডজুভ্যান্ট কেমোথেরাপি ইনডিউসেস ব্রেস্ট ক্যান্সার মেটাস্টাসিস থ্রু আ টিএমইএম-মেডিয়েটেড মেকানিজম’। গবেষণাপত্রটি ছাপা হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘সায়েন্স ট্রান্সলেশনাল মেডিসিন’ এর ৫ জুলাই সংখ্যায়। তবে এ গবেষণাপত্রটি নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন ক্যান্সর বিশেষজ্ঞরা। কেউ কেউ সমর্থন করছেন, কেউ বা বলছেন ভিন্ন কথা। ফলে, বিতর্ক চরমে পৌঁছেছে। আলোড়নও চলছে।

এ গবেষণার মূল গবেষক নিউইয়র্কের ইয়েসিভা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালবার্ট আইনস্টাইন কলেজ অফ মেডিসিনের অধ্যাপক, ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ জর্জ ক্যারিগিয়ান্নিস ইমেলে লিখেছেন, ‘শরীরে কোষগুলির একটি বিশেষ জোট (গ্রুপ) রয়েছে। যার নাম টিউমার মাইক্রো-এনভায়রনমেন্ট অফ মেটাস্টাসিস (টিএমইএম)। এরাই টিউমার কোষগুলিকে আরো বেশি করে ঢুকতে ও ছড়িয়ে পড়তে সাহায্য করছে। আমরা স্তন ক্যান্সার চিকিৎসায় কেমোথেরাপির সবচেয়ে প্রচলিত ওষুধগুলির মধ্যে দু’টি ওষুধকে নিয়ে কাজ করেছি। তাতে দেখেছি, ওই ওষুধগুলিই শরীরে টিএমইএমের সক্রিয়তাকে আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। ক্যান্সারের কোষগুলিকে রক্তে আরো দ্রুত, আরো সহজে ছড়িয়ে পড়তে সাহায্য করছে।’

স্তন ক্যান্সার চিকিৎসার ক্ষেত্রে, অস্ত্রোপচারের আগে কেমোথেরাপিতে যে ওষুধগুলি দেওয়া হয়, সেই সব ওষুধ শরীরে ক্যান্সারের কবলে পড়া কোষগুলিতে পৌঁছে কী কী কাজ করছে আর তাদের ফলাফল কী হচ্ছে, সেটাই ছিল গবেষণার মূল উদ্দেশ্য। শুধু ইঁদুরের ওপরে নয়, গবেষণাটি চালানো হয়েছিল মানুষের ওপরেও। এতে গবেষকরা দেখেছেন, কেমোথেরাপির ওষুধগুলি শরীরে ঢুকে তাদের টার্গেট ক্যান্সারের কবলে পড়া কোষগুলিতে পৌঁছে ফুলে-ফেঁপে ওঠা কোষগুলির ‘বাড়তি মেদ’ ঝরিয়ে তাদের প্রাথমিকভাবে কিছুটা হাল্কা (শ্রিঙ্ক) করে দেয়। কিন্তু সেটা খুবই অল্প সময়ের জন্য। কিন্তু যে ‘বিষ’ ঢেলে ওষুধগুলি ক্যান্সারের কোষকে প্রথমে কিছুটা নিস্তেজ করে দিচ্ছে, সেই ‘বিষ’ই পরে শরীরের গঠন ব্যবস্থার (রিপেয়ার মেকানিজম) মাধ্যমে ক্যান্সার কোষগুলি আরো দ্রুত, আরো বেশি সংখ্যায় শরীরের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়তে সাহায্য করছে।



from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2tMyZET

July 12, 2017 at 07:13PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top