মুম্বাই, ০৭ জুলাই- আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। সামান্য বেতনভুক্ত কর্মচারী থেকে এখন কয়েকশো কোটি সম্পত্তির মালিক এই ব্যক্তি। ইয়ে দোস্তি হাম নেহি তোড়েঙ্গে! এমনটা বলতেই পারেন অরুণ পাণ্ডে। নামটা অনেকের কাছেই অচেনা। তবে অনেকেই জানেন না, ইনিই ধোনির ঘনিষ্ঠতম বন্ধুদের অন্যতম। শুক্রবারেই ধোনি পা দিলেন ৩৬ বছরে। ধোনির জন্মদিনেই এবার সুপারস্টারের বন্ধুত্বের সরণি দিয়ে হাঁটা যাক। এমএস ধোনি- আনটোল্ড স্টোরির সৌজন্যেই ধোনির ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের কথা এখন সকলের জানা। তবে সেখানে ধোনির আর এক বন্ধুর কথা কিছুটা উহ্যই রয়ে গিয়েছিল। সেই বন্ধুই অরুণ পাণ্ডে। যার শয়নে, স্বপনে, জাগরণে ছেয়ে রয়েছেন ধোনি। তাঁর জীবনের ত্রাতাই রাঁচির রাজপুত্র। অরুণ পাণ্ডে ধোনির মতোই ক্রিকেটে ক্যারিয়ার বানাতে চেয়েছিলেন। বারাণসীর বাসিন্দা অরুণ উত্তরপ্রদেশের হয়ে ক্রিকেট খেলতেন নব্বই দশকের শুরুতে। তবে ধোনির মতো প্রতিভা না থাকায় অচিরেই তিনি হারিয়ে যান অন্যান্য অনেক ক্রিকেটারদের মতো। তবে ক্রিকেট খেলার সূত্রেই অরুণের আলাপ হয় ধোনির সঙ্গে ১৯৯৮ সাল নাগাদ। তখনকার অচেনা, অজানা ধোনির সঙ্গে যে বন্ধুত্ব রচিত হয়েছিল, তা আজও অটুট। বন্ধু অরুণ আজও সুপারস্টার ক্রিকেটারের ঘনিষ্ঠতম বন্ধুদের একজন। ফেরা যাক অরুণের কথায়! ক্রিকেটে ব্যর্থ হয়ে অরুণ ১৯৯৪ সাল নাগাদ সটান পাড়ি দেন দিল্লিতে। সেখানে টি সিরিজের অফিসে (একটি মিউজিক কোম্পানি) অল্প বেতনের একজন সাধারণ কর্মচারী হিসেবে কাজে যোগ দেন। তবে গত দশকের মাঝামাঝি থেকে ধোনির ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা ভাগ্য খুলে দেয় অরুণের। অধিনায়ক হিসেবে ধোনি টি২০ বিশ্বকাপের প্রথম সংস্করণেই বাজিমাত করেন ২০০৭ সালে। সেই বছর থেকেই ধোনির বানিজ্যিক দর বাড়া শুরু হয়। যার বৃত্ত সম্পূর্ণ হয় ২০১১ সালে, ২৮ বছর বাদে দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জয়ে। ধোনির উত্তুঙ্গ ব্র্যান্ড ভ্যালু আগে থেকেই আঁচ করতে পেরে অরুণ পাণ্ডে নিজের ভাইঝির নামে স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট সংস্থা রীতি স্পোর্টস খুলে ফেলেন। যে রীতি স্পোর্টস পরে ধোনির খেলা সংক্রান্ত সমস্ত বিষয় দেখভাল করতে শুরু করে। শ্রীনি বিতর্কের মাঝেই রীতি স্পোর্টসের বিরুদ্ধে স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ উঠেছিল। ধোনি কিন্তু সমস্ত অভিযোগের ঝড়-ঝাপটা একাই সামাল দিয়েছেন। আস্তে আস্তে ধোনির ব্যক্তিগত ম্যানেজারও হয়ে ওঠেন অরুণ পাণ্ডে। ধোনির ব্যক্তিগত ম্যানেজার হওয়ার দৌলতে অরুণকে প্রায়শই বিভিন্ন বিজ্ঞাপণী প্রমোশনের সাংবাদিক সম্মেলনে দেখা যায়। ধোনি নিজের বায়োপিকের প্রমোশনে বিদেশেও নিয়ে গিয়েছেন অরুণকে। ১৯৯৮ সালে ক্রিকেট খেলার সূত্রে যে বন্ধুত্বের সূত্রপাত, সেই বন্ধুত্ব ২০ বছর বাদেও অটুট। সাধে কী বলে, দোস্ত হো তো ধোনি-অরুণ জ্যায়সি!
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2uyrIZd
July 08, 2017 at 02:26AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন