নিজস্ব প্রতিনিধি::ব্যক্তিগত কাজ না করায় টাঙ্গাইল জেলা যুবলীগের সহ সম্পাদক মোশারফ হোসেন মুছা ব্যাপক মারপিট করেছেন পত্রিকার হকার শাহ্ গাজীকে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কালিহাতীর এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে প্রকাশ্যে ঘটনাটি ঘটে। এতে চরম নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন এলাকার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
জানা যায়, ঈদুল ফিতরের আগের দিন রবিবার (২৫ জুন) যুবলীগ নেতা মুছা তার একটি ব্যক্তিগত কাজ করার জন্য হকার গাজীকে নির্দেশ দেন। কিন্তু গাজী পত্রিকা বিক্রয়ের কাজে ব্যস্ত থাকায় কাজ করতে বিলম্ব হয়। এতে যুবলীগ নেতা মোশারফ হোসেন মুছা ক্ষীপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের ধানসিড়ি হোটেলের সামনে হকার গাজীকে ব্যাপক মারধর করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। মাটিতে লুটিয়ে পড়া অবস্থায় তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি-লাথি দিয়ে আহত ও বিবস্ত্র অবস্থায় ফেলে চলে যায়। সেইসাথে গাজীকে পত্রিকা বিক্রি বন্ধ করাসহ এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড না আসার হুমকি দেয়।
এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোতালেব শিকদার ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম সরকার এক প্রতিক্রিয়া জানান, গাজী অনেক ভাল ছেলে তাকে মারধর করা মোটেও ঠিক হয়নি।
কালিহাতী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নুরুন্নবী সরকারকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় পেশাজীবী লীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি রায়হান কবির রানা জানান, হকার গাজীকে মারপিট করার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এদের মত লোকেরাই আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ বলেন, গাজী আমাদের অত্যন্ত প্রিয় একজন সংবাদসেবী। তাকে মারধর করায় আমি তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করছি। অবিলম্বে দোষী ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী জানাচ্ছি।
স্থানীয় এলেঙ্গা ও কালিহাতী প্রেসক্লাবের সংবাদকর্মীরা জানান, হকার গাজীকে মারধর করায় নিন্দা জ্ঞাপন করছি। ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
গুরুতর আহত হকার শাহ্ গাজী সংবাদ কর্মীদের কান্না বিজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমি যুবলীগ নেতার ব্যক্তিগত কাজ না করায় আমাকে ব্যাপক মারধর করেছে। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
অভিযুক্ত যুবলীগের সহ-সম্পাদক মোশারফ হোসেন মুছা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মাহবুব আলম বলেন, সংশ্লিষ্ট থানায় লিখিত অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, কালিহাতী-এলেঙ্গা অঞ্চলে এই যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ীরা জানান, যুবলীগ নেতা পরিচয়ে মোশারফ হোসেন ওরফে মুছা বিভিন্ন দোকান থেকে পণ্য ক্রয় করে টাকা না দিয়ে চলে যায়। কিন্তু ব্যবসায়ীরা তার ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাননা।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2t9geLk
July 01, 2017 at 12:49AM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন