লন্ডন, ২৩ জুলাই- স্পাউস ভিসায় স্বামী বা স্ত্রীকে যুক্তরাজ্যে নেওয়ার ক্ষেত্রে বার্ষিক আয়ের শর্ত অনেকটা শিথিল করা হয়েছে। আগামী ১০ আগস্ট থেকে নতুন নিয়ম কার্যকর হবে। গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তর (হোম অফিস) প্রকাশিত নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিশ্বাসযোগ্য কোনো তৃতীয় পক্ষের সহায়তা নিয়ে আয়ের শর্ত পূরণ করা যাবে। এর ফলে যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে বাস করা হাজার হাজার অভিবাসীর পারিবারিক সাক্ষাতের পথ সুগম হবে। আবেদন যখনই করা হোক না কেন, ১০ আগস্ট থেকে নতুন নিয়ম মেনে আবেদন বিবেচনা করা হবে। স্পাউস ভিসার আয়ের শর্ত নিয়ে করা এক মামলায় গত ফেব্রুয়ারি মাসে দেশটির সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার নিয়ম শিথিল করল। বিদ্যমান নিয়ম অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে বসবাস করা বা কোনো ব্রিটিশ নাগরিক ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাইরের দেশ থেকে বিয়ে করে সঙ্গীকে যুক্তরাজ্যে নিতে চাইলে তাঁর বার্ষিক আয় ১৮ হাজার ৬০০ পাউন্ড (প্রায় ১৯ লাখ টাকা) থাকতে হয়। আর সঙ্গীর সঙ্গে সন্তান থাকলে প্রতি সন্তানের জন্য ওই আয় আরও বাড়িয়ে দেখাতে হয়। এই আয়ের শর্ত পূরণ না করতে পারায় যুক্তরাজ্যে বসবাস করা হাজার হাজার ব্যক্তি নিজেদের পরিবার নিতে পারছিলেন না। যে কারণে তাঁদের বিচ্ছিন্ন থাকতে হচ্ছিল। বাংলাদেশিদের মধ্যেও এই আইনের ভুক্তভোগী কম নয়। আগে ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের অনেকে দেশে গিয়ে বিয়ে করলেও স্ত্রী বা স্বামীকে আনার ঝামেলা এড়াতে সেই প্রবণতা অনেকটা কমে যায়। নতুন নিয়মে বলা হয়েছে, যাঁরা আয়ের শর্ত পূরণ করতে পারছেন না, তাঁরা নিকটাত্মীয় বা কোনো তৃতীয় পক্ষের আর্থিক সহায়তা নিতে পারবেন। কমপক্ষে আড়াই বছরের জন্য ওই আর্থিক সহায়তার নিশ্চয়তা দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিদেশ থেকে যে সঙ্গী যোগ দেবেন, তাঁর জন্য কাজের অপার বা তাঁর সম্ভাব্য আয়ের বিষয়টিও বিবেচনায় নেওয়া হবে। আর যেসব দম্পতির ১৮ বছরের কম বয়সী সন্তান আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে সন্তানের মঙ্গলের বিষয়টি মাথায় নিয়ে ভিসা আবেদনে বিবেচনার কথা বলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সর্বোচ্চ ৩৩ মাসের স্পাউস ভিসা দেওয়া হয়। ৬০ মাস যুক্তরাজ্যে অবস্থানের পর স্থায়ী বাসের সুযোগ পান। কিন্তু নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যারা তৃতীয় পক্ষের সাহায্য নিয়ে আয়ের শর্ত পূরণ করবেন, তাঁদের সঙ্গীরা ১০ বছর পর স্থায়ী হওয়ার সুযোগ পাবেন। প্রতি আড়াই বছর পর তাঁদের ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করতে হবে। যুক্তরাজ্যে ২০ বছর ধরে আইন পেশায় নিয়োজিত মনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বিদ্যমান আইনের ব্যতিক্রম হিসেবে আয়ের শর্ত শিথিল করা হয়েছে। মানবাধিকার বা পারিবারিক জীবনের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, এমন পরিস্থিতিতে এই ব্যতিক্রমের সুযোগ নেওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে তৃতীয় যে পক্ষ সহায়তা করবেন, তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা ও প্রকৃত সামর্থ্য প্রমাণের বিষয়টি জরুরি। আরেক আইনজীবী তারেক চৌধুরী বলেন, তৃতীয় পক্ষের সহায়তা নিলে পাঁচ বছরের বদলে ১০ বছর পর স্থায়ী হতে হবেএমন কথা সুপ্রিম কোর্ট বলেননি। ফলে নতুন নিয়মের এ বিষয়টি আবারও আদালতে চ্যালেঞ্জ হতে পারে। এই দুজন আইনজীবী আরও বলেন, নতুন আইনে স্পাউস ভিসার আবেদনকারীদের সুযোগ বেড়েছে। কিন্তু ঢালাওভাবে নতুন আইনের ব্যতিক্রম প্রয়োগ করলে আবেদন প্রত্যাখ্যাত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। বিশ্বাসযোগ্য উপায়ে আবেদন করার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। আর/১০:১৪/২৩ জুলাই



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2undJr3
July 24, 2017 at 05:46AM
23 Jul 2017

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

:) :)) ;(( :-) =)) ;( ;-( :d :-d @-) :p :o :>) (o) [-( :-? (p) :-s (m) 8-) :-t :-b b-( :-# =p~ $-) (b) (f) x-) (k) (h) (c) cheer
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.

 
Top