পুলিশ সদস্যের ‘অদক্ষতার কারণে’ সিদ্দিকুর চোখে আঘাত পান!

সুরমা টাইমস ডেস্ক:: শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার শেল ছুড়তে গিয়ে শাহবাগে এক পুলিশ সদস্যের ‘অদক্ষতার কারণে’ সিদ্দিকুর রহমান চোখে আঘাত পান । পুলিশের ই তদন্ত প্রতিবেদনে বেরিয়ে এসেছে এই তথ্য।

গত ২০ জুলাই পুলিশের ওই তৎপরতার সময়ই আঘাত পেয়ে চোখ হারাতে বসেছেন রাজধানীর তিতুমীর কলেজের এই ছাত্র।সরকারি খরচে এখন ভারতের চেন্নাইয়ে শংকর নেত্রালয়ে সিদ্দিকুরের চিকিৎসা চলছে।

ব্যাপক সমালোচনার মুখে সেদিনের ঘটনা এবং তাতে পুলিশের দায় খুঁজতে দুটি তদন্ত কমিটি করে ডিএমপি।

একটি কমিটি সোমবার প্রতিবেদন দিয়েছে, অন্যটির প্রতিবেদনও চূড়ান্ত।

মঙ্গলবারই সেটি দেওয়া হবে বলে এই কমিটির প্রধান ডিএমপির রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার নাবিদ কামাল শৈবাল জানিয়েছেন।

তদন্তে কী পেয়েছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ওখানে(শাহবাগে) যারা লোকাল কমান্ডার ছিলেন, তারা টিয়ারশেল ছোড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু কেউ একজন সেটি ব্যবহার করতে পারেনি। কারও গায়ে গুলি ছুড়তে তো বলা হয়নি।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন করে অধিভুক্ত ঢাকার পুরনো সাতটি কলেজের ওই শিক্ষার্থীরা সেদিন তাদের পরীক্ষার সময়সূচির দাবিতে শাহবাগে বিক্ষোভে নেমেছিলেন। তাদের সড়ক থেকে ওঠাতে চড়াও হয়েছিল পুলিশ।

তখন কাছ থেকে ছোড়া টিয়ার শেল সিদ্দিকুরের চোখে লাগে বলে আন্দোলকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ। সে অভিযোগ অস্বীকার করে ফুলের টব কিংবা ঢিল পড়ে সিদ্দিকুরের চোখ জখম হয় বলে দাবি আসে পুলিশের পক্ষ থেকে।

ব্যাপক ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া তদন্ত কমিটি করে এই ঘটনায় তার বাহিনীর কোনো সদস্যের দায় থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

আরেকটি তদন্ত কমিটির প্রধান ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অভিযান) মীর রেজাউল আলম জানান, সোমবার সকালে তারা প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।

প্রতিবেদনে কী আছে, সে বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি রেজাউল। তবে তাকে উদ্ধৃত করে গণমাধ্যমে খবর এসেছে, সেদিন দায়িত্বরত থানা পুলিশ ও দাঙ্গা দমন বিভাগের সদস্যদের কর্তব্যে অবহেলা ছিল।

এই কমিটির তদন্তে সাত পুলিশ সদস্যের দোষ পাওয়া গেছে বলে গণমাধ্যমে খবর এলেও আরেকটি তদন্ত কমিটির প্রধান নাবিদ বলেন, “সেটা সঠিক নয় বলে ধারণা করছি।”

মীর রেজাউল আলমকে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটিতে ছিলেন ডিবির ভারপ্রাপ্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ও রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার আশরাফুল আলম।

নাবিদ শৈবালকে প্রধান করে গঠিত অন্য তদন্ত কমিটিতে ছিলেন রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার আশরাফুল আলম, সহকারী কমিশনার (প্রশাসন) মো. ইকবাল।

সেদিন আহত হওয়ার পর আহত সিদ্দিকুরের চোখে প্রথম অস্ত্রোপচার হয় ঢাকার জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে। সেখানকার চিকিৎসকরা প্রথম জানিয়েছিলেন তার দুই চোখে আর আলো ফিরবে না। পরে অবশ্য চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার একটি চোখ পুরোপুরি নষ্ট হলেও অন্য চোখে কিছুটা দেখতে পান।



from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2uD1EuV

August 08, 2017 at 10:00PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top