ব্রাসিলিয়া, ০৬ আগস্ট- লা লিগা ছেড়ে প্যারিস সেন্ট জার্মেইতেই (পিএসজি) যোগ দিলেন নেইমার। বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সব ধরনের গুঞ্জন আর জটিলতার অবসান ঘটিয়েই ব্রাজিলিয়ান এই স্ট্রাইকার নতুন করে ঠিকানা গড়েন প্যারিসে। এর ফলে ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে আলোচিত দলবদলের নায়ক বনে গেলেন নেইমার। তবে ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার যে, বর্তমান ফুটবলেরও শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় কিছুদিন আগে তার পাঁচটি ব্যাখা তুলে ধরে ট্রিবুনা.কম। প্রত্যেকেই তাকে চায় বর্তমান বিশ্ব ক্লাব ফুটবলের সবগুলো বড় দলই তাকে পেতে আগ্রহী। রেকর্ড ২২২ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে তাকে পিএসজি কিনে নেওয়ার আগেও তাকে দলে ভেড়াতে চেয়েছে বার্সেলোনার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ। স্প্যানিশ দৈনিক মার্কার সূত্র অনুযায়ী, বিভিন্ন সময়ই ব্রাজিলিয়ান আইকনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। গত বছর তো তাকে কেনার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের জায়ান্ট ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডও। কিন্তু শেষ মিনিটের সিদ্ধান্তে ন্যু ক্যাম্পেই থেকে যান সাবেক এই সান্তোস তারকা। তবে নেইমার যে আসলেই বার্সা ছাড়তে পারেন সেটা অনেকেই কিন্তু বিশ্বাস করতে পারছেন না। আদর্শ বর্তমানে এমন ফুটবলারের সংখ্যা খুবই কম যাদেরকে তার সমর্থকরা মেসি এবং রোনালদোর সঙ্গে তুলনা করেন। তবে কোন উইঙ্গার যদি নিজের সেরা পারফরম্যান্স উপহার দেয় তখনই তাকে নেইমারের সঙ্গে সাথে সাথেই তুলনা করা হয়। কিলিয়ান এমবাপ্পে এবং ইডেন হ্যাজার্ড উভয়কেই নেইমারের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। শুধু মাঠের লড়াইয়ে যে তা নয়, মাঠের বাইরেও নেইমার অনেকের আদর্শ। বয়সে এখনও তরুণ নেইমারের বয়স মাত্র ২৫। ফুটবলবোদ্ধাদের ধারণা, আরও সাত বছরেরও বেশি সময় বিশ্বের শীর্ষ পর্যায়ের ক্লাবগুলোতে প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন তিনি। এটা ভাবতেই বিষ্ময়কর মনে হয় যে, নেইমারের এখনও সেরাটা দেওয়ার সময় আসেনি। বয়সের তুলনায় লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর চেয়েও ছোট্ট নেইমার। কিন্তু পারফরম্যান্সের বিচারে তো ইতোমধ্যেই তাদের ছাপিয়ে গেছেন এই ব্রাজিলিয়ান। একটু ভেবেই দেখুন না গত তিন বছরে বার্সেলোনার জার্সিতে কী অসাধারণ পারফরম্যান্সই না উপহার দিয়েছেন তিনি! এ তো গেল ক্লাবের কথা। নেইমারের কাঁধে তো পুরো ব্রাজিল দলেরই ভার। বিশ্বাস করতে পারেন? ২৫ বছর বয়সেই ব্রাজিলের সর্বকালের চতুর্থ সর্বোচ্চ গোলদাতা। শীর্ষে থাকা কিংবদন্তি পেলের চেয়ে মাত্র ২৫ গোল পেছনে নেইমার। তবে দক্ষিণ আমেরিকার কিংবদন্তি ফুটবলারের ট্যাগ লাগাতে হলে অবশ্যই তাকে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিতব্য রাশিয়া বিশ্বকাপের শিরোপা জিততে হবে। বড় ম্যাচের নায়ক গত মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে অনুষ্ঠিত উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলর দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের কথা মনে আছে নিশ্চই? প্রথম লেগে বার্সেলোনা ৪-০ গোলে পিছিয়ে। সমর্থকরা তো আশাই ছেড়ে দিয়েছিলেন। কেননা সেই ম্যাচ জেতা তো কল্পনাও করেননি কেউ! অথচ অসম্ভবকে সম্ভব করেন নেইমার। সেই ম্যাচে নিজে দুটি গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে একটি করিয়েছেনও নেইমার। তাও মাত্র সাত মিনিটের ব্যবধানে! চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এ যাবৎ কালের ইতিহাসেই যে সবচেয়ে সেরা কামব্যাকের গল্প রচিত হয় এই ম্যাচেই! মেসি-রোনালদোর চেয়েও এগিয়ে : একটা পরিসংখ্যান বলছে, গত মৌসুমে স্প্যানিশ লা লিগায় ২৬ ম্যাচে সতীর্থদের দিয়ে নয় গোল করিয়েছেন নেইমার। ২৭ ম্যাচ থেকে মেসি সাতটি আর ২৪ ম্যাচ থেকে রোনালদো অ্যাসিস্ট করেছেন মাত্র ছয়টিতে। এতেই খুব পরিস্কার যে, মেসি-রোনালদো উভয়ের চেয়েই নিঃস্বার্থ ফুটবল খেলেন নেইমার। আরও একটি বিষয় লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন নেইমার কেন অনন্য। গত মৌসুমে নেইমার ৭৯টি সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন। যেখানে মেসির এই সংখ্যাটা ৬৩ আর রোনালদোর মাত্র ২৪। এমএ/ ০৭:১০/ ০৬ আগস্ট
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2varOXQ
August 06, 2017 at 01:12PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন