নিউ ইয়র্ক, ০৭ আগষ্ট- আগামী সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুক্তরাষ্ট্রে সফরকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের নেতাকর্মিদের মাঝে কোন্দল দিনদিন বেড়েই চলছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের সম্মেলন ও কমিটি গঠন নিয়ে কোন বিভক্তি ও মতবিরোধ নেই বলে নেতারা দাবি করলেও বাস্তবে তা নেই। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মিদের কোন্দল এখন ওপেন সিক্রেট। প্রধানমন্ত্রী আগামী ১৬ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক সফর করবেন। জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক নিজাম চৌধুরী নিজেদের আখের গোছাতেই বছরের বেশী ভাগ সময় বাংলাদেশে অবস্থান করে থাকেন। ফলে ব্যক্তিগত ভাবে তাঁরা দুজন লাভবান হলেও দলের সাংগঠনিক কর্মকান্ড দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়ছে। তৃণমূলের নেতাকর্মিদের মতামতের তোয়াক্কা না করে একক ব্যক্তির ইচ্ছা-অনিচ্ছার উপরই চলছে এ দলটি। আওয়ামীলীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা নিজেদের ব্যবসা-বানিজ্য, দেন-দরবার নিয়ে ব্যস্ত থাকেন বলে তৃণমূল নেতাকর্মিদের অভিযোগ। তবে নিউ ইয়র্কে আওয়ামীলীগে কর্মির চেয়ে নেতার সংখ্যাই বেশি। কমিটি নিয়ে দলটিতে রয়েছে নানা কোন্দল। পদ-পদবী নিয়েও অনেক সময় ঘটে যায় নানা ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারা বেশির ভাগ সময়েই যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে থাকায় দলটি কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এক পক্ষে নিজাম চৌধুর, সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ, লুৎফুল করিম, চন্দন দত্ত, আইরিন পারভীন, আব্দুল হাসিব মামুন, এ্যাড. শাহ বখতিয়ার, মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, জাকারিয়া চৌধুরী, আব্দুর রহিম বাদশা ও তৈয়বুর রহমান টনি এবং অপর পক্ষে রয়েছেন ড. সিদ্দিকুর রহমান, আকতার হুসেন, সৈয়দ বসারত আলী, ডা, মাসুদুর রহমান, মোহাম্মদ সোলেয়মান আলী ও ফারুক হোসেন প্রমূখ। এই পক্ষে ড.সিদ্দিকুর রহমান তার একক ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে নিজেকে ব্যাপক সমালোচিত করেছেন। তার ঠিক-বেঠিক সিন্ধান্তের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই তার উপর নেমে আসে নানা দূর্যোগ। কথায় কথায় তিনি তার অধিন্যস্ত নেতকর্মিদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সজিব ওয়াজেদ জয়ের ভয় দেখান। ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের দ্বন্দ্ব-বিভেদের কারণে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটলে এর সকল দায়-দায়িত্ব সিদ্দিকুরকেই নিতে হবে বলে অনেকেই উল্লেখ করেছেন। এছাড়া দলের এই নাজুক অবস্থার জন্য নিজাম চৌধুর, সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ গংদেরও দায়ভার নিতে হবে বলে জানান কয়েকজন পরীক্ষিত নেতা। তবে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস ছামাদ আজাদ তার পদ ধরে রাখতে সুবিধাবাদী অবস্থানে আছেন। তিনি কারো আগেও নেই, পিছেও নেই। দুই গ্রুপের সাথেই ঘনিষ্ঠতা রক্ষা করে চলছেন। আগামী সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের নতুন কমিটি না হলে দলটি বিপর্যয়ের দাড়প্রান্তে পৌঁছাবে বলে অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। একটি সুত্র জানায়, বিদ্রোহী এবং পদবঞ্চিত নেতাকর্মিদের দাবির প্রেক্ষিতেই যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের সম্মেলন নুষ্ঠিত হবে- এই বিষয়টি নিয়ে বৈঠক হয়েছে। সে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ। তিনি দেশে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন। তবে সাধারন কর্মিদের ধারনা দলে যে সকল নোংরা বিষয় নিয়ে মতভেদ চলছে তাতে অচিরেই দলটি নাজুক অবস্থায় পড়বে এতে কোন সন্দেহ নেই। প্রধানমন্ত্রী আগামী ১৬ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক সফর করবেন। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে অংশ নিতে তিনি সেখানে যাবেন। অধিবেশনে তিনি বক্তব্য রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মসূচিতেও অংশ নেবেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, নিউ ইয়র্ক সময় আগামী ১২ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টায় জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশন শুরু হবে। আর/১০:১৪/০৭ আগষ্ট
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2uzIOEW
August 08, 2017 at 05:50AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন