সিউল, ১৭ আগষ্ট- জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০১৭ সিউলের বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিকে অবিস্মরনীয় করে রাখা এবং আগামী প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের প্রকৃত ও গৌরবময় ইতিহাস তুলে ধরা সিউলে এ বছরের জাতীয় শোক দিবস পালনের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে রাষ্ট্রদূত মোঃ জুলফিকার রহমান ১৫ই আগস্টের সকালে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন। বিকেলে দক্ষিণ কোরিয়াপ্রবাসী সর্বস্তরের বাংলাদেশীদের অংশগ্রহনে দীর্র্ঘ চারঘন্টাব্যাপী এক অনুষ্ঠানে জাতির জনকের জীবন ও আদর্শ এবং বাঙালীদের চিন্তা ও মননে তাঁর প্রভাব, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করা, ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রাকে অব্যাহত রাখা ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত ও প্রানবন্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ১৫ই আগস্টের সকল শহীদের স্মৃতিতে নীরবতা পালন এবং তাঁদের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য দোয়া করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রদত্ত মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণীগুলো পড়ে শোনানো হয়। এ ছাড়াও বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক একটি প্রামান্যচিত্রও অনুষ্ঠানে প্রদর্শন করা হয়। প্রথাগত এবং গতানুগতিক আলোচনা অনুষ্ঠানের ধারা থেকে বেরিয়ে প্রথমবারের মত দূতাবাসে এ উপলক্ষ্যে একটি সেমিনারের আযোজন করা হয়। দক্ষিন কোরিয়ায় অধ্যাপনারত এবং উচ্চশিক্ষাগ্রহনকারী চারজন প্যানেল আলোচক বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইটির উপর অধ্যায়-ভিত্তিক বিস্তারিত ও তথ্যসমৃদ্ধ আলোচনা করেন। উপস্থিত শ্রোতাদর্শকবৃন্দও এ আলোচনায় অংশগ্রহন করেন। সেমিনারের মূল উদ্দেশ্য তথা সাধারন জনগনের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে সচেতনতা ও আরো জানার আগ্রহ সৃষ্টিতে দূতাবাসের এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগের সফলতা নি:সন্দেহে পরিস্ফুটিত হয়েছে। সিউলে জাতীয় শোকদিবস ২০১৭ পালনের আরেকটি উল্লেখ যোগ্য বিষয় ছিল রাষ্ট্রদূত মোঃ জুলফিকার রহমানের উদ্যোগে দূতাবাসে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগার- এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের উপর পাঁচশতাধিক বইয়ের এ লাইব্রেরীটি দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের জ্ঞান পিপাসা মেটাতে সক্ষম হবে বলেই আশা করা যায়। উপস্থিত প্রবাসীবৃন্দ এ মহতী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এবং মত প্রকাশ করেন যে, আমাদের যুবসমাজ ও আগামী প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে সচেতন করতে এ পাঠাগারটি সুদূর প্রসারী ভূমিকা রাখবে। এরকম একটি সুচিন্তিত কার্য্যক্রম গ্রহণের জন্য সর্ব্বস্তরের প্রবাসীবৃন্দ রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান এবং পাঠাগারটির সদ্বব্যবহারের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে সবাইকে মানবতার সেবায় ও দেশের উন্নয়নে সম্মিলিত ভাবে কাজ করার আহবান জানান। তিনি বলেন যে, ১৫ই আগস্টের শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই আমরা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি সর্ব্বোচ্চ শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারি। বঙ্গবন্ধুর নাম ব্যবহার করে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের ঘৃনিত প্রবনতার তিনি তীব্র নিন্দা জানান এবং সবাইকে বঙ্গবন্ধুকে তাঁদের হৃদয়ে ও তাঁদের জীবনে ধারনের আহবান জানান। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে শিশু-কিশোরসহ অন্যদের অংশগ্রহনে বঙ্গবন্ধু-ভিত্তিক কবিতা আবৃতির আয়োজনও করা হয়। শিশু-কিশোরদেরকে রচনা ও চিত্রাংকনের জন্য রাষ্ট্রদূত তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। আর/১০:১৪/১৭ আগষ্ট
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2wjCeqB
August 18, 2017 at 04:50AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন