ঢাকা, ০৯ আগস্ট- নিজের বক্তব্য থেকে সরে দাঁড়ালেন রাবেয়া সুলতানা রুবি। আজ ৯ আগস্ট বুধবার সকালে আরেকটি ভিডিও বার্তায় তিনি বললেন, সালমান শাহ্কে খুন করা হয়েছে, নাকি সে আত্মহত্যা করেছে, তা আমি জানি না। ওই দিন আমার মাথা ঠিক ছিল না। আমি ভীত ছিলাম, তাই বলেছি। আর তার স্বামী চীনা নাগরিক জ্যানলিন চ্যানের জড়িত থাকার ব্যাপারে বললেন, আমার স্বামীর ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহ্ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি রাবেয়া সুলতানা রুবি গত ৬ আগস্ট রোববার ইউটিউবে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। সেই ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, নব্বই দশকের সবচেয়ে সফল নায়ক সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি নিজে এতে যুক্ত না থাকলেও তার স্বামী চীনা নাগরিক জ্যানলিন চ্যান, ছোট ভাই রুমী, সালমান শাহর স্ত্রী সামিরাসহ আরও কয়েকজন এই হত্যার ঘটনায় জড়িত ছিলেন বলে উল্লেখ করেন। তবে আজকের ভিডিও বার্তায় তিনি বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, সালমান শাহ্র মৃত্যুর ব্যাপারে তিনি তেমন কিছু জানেন না। তার আগের ভিডিও বার্তাকে রং বা ভুল বলেছেন। তিনি বললেন, তখন ইমোশনাল ছিলাম। রুবি এখন আছেন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায়, তার নিজের বাসায়। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমন ওরফে সালমান শাহর রহস্যজনক মৃত্যু হয়। ১১/বি নিউ ইস্কাটন রোডের ইস্কাটন প্লাজার বাসার নিজ কক্ষে সালমান শাহকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। ওই সময় তার বাবা প্রয়াত কমরউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী একটি অপমৃত্যুর মামলা করেন। ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই সালমানের বাবা তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে, এমন অভিযোগ এনে মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে একটি অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঢাকার সিএমএম আদালত অপমৃত্যুর মামলার সঙ্গে হত্যার অভিযোগটি একসঙ্গে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন। একই বছর ৩ নভেম্বর সিআইডি ঘটনাটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে ঢাকার সিএমএম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে সালমান শাহর মৃত্যুকে অপমৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করে সিআইডি। একই বছর ২৫ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালত সিআইডি পুলিশের দাখিল করা চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেন। সিআইডির দাখিল করা প্রতিবেদনে সালমানের বাবা সন্তুষ্ট না হয়ে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে একটি রিভিশন মামলা করেন। ওই রিভিশন মামলার ওপর শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি ফের বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন। এরপর প্রায় ১২ বছর এ মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে ছিল। সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট সিএমএম বিকাশ কুমার সাহার কাছে মহানগর হাকিম ইমদাদুল হক বিচার বিভাগীয় তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদনেও সালমান শাহের মৃত্যুকে অপমৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এখন মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে ((পিবিআই) আছে। প্রয়াত সালমান শাহর স্ত্রী সামিরা স্বামীর মৃত্যুর বছর তিনেক পর আবার বিয়ে করেন। তার স্বামীর নাম মোস্তাক ওয়াইজ। শোনা যাচ্ছিল, তারা স্থায়ীভাবে থাইল্যান্ডে বসবাস করছেন। কিন্তু না, তারা ঢাকাতেই আছেন। রাজধানীর গুলশান এলাকায় গতকাল ৮ আগস্ট মঙ্গলবার কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মীর সঙ্গে মোস্তাক কথা বলেছেন। এমএ/ ১০:১৬/ ০৯ আগস্ট
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2upzKDl
August 10, 2017 at 04:17AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন