ধরুন, একটি ছবির প্রস্তাব গেল কোনো অভিনেতা কিংবা অভিনেত্রীর কাছে। কোনো কারণে সেই ছবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন তিনি। কিন্তু ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর তিনি দেখলেন, সেটি সুপার হিট। তখন কেমন লাগে তাঁর? বলিউডে এমন ঘটনা অনেক। কারও অসম্মতি মাঝেমধ্যে অন্য কারও জন্য বয়ে আনে বিশাল সুযোগ। প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে পরে পস্তানোর ঘটনা অনেক। নিয়তি মেনে নিয়ে গোপনে দীর্ঘশ্বাস ছাড়া তখন আর কিছুই করার থাকে না তারকাদের। দিলওয়ালের প্রস্তাব গিয়েছিল সাইফের কাছে ১৯৯৫ সালে শাহরুখ-কাজলের দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে ছবিটি বলিউডে হুলুস্থুল ফেলে দিয়েছিল। কিন্তু এই ছবিতে শাহরুখ খানকে নিতে অনেক বেগ পেতে হয়েছিল পরিচালক আদিত্য চোপড়াকে। সাইফ আলী খান তখন ফ্লপ হিরো হিসেবেই পরিচিত। কোনো উপায় না দেখে আদিত্য কড়া নেড়েছিলেন সাইফের দুয়ারে, কিন্তু সাইফও তাঁকে ফিরিয়ে দেন। বলেন, দেখো শাহরুখকে রাজি করাতে পারো কি না। শাহরুখকে আদিত্য ঠিকই রাজি করাতে পেরেছিলেন। সুপার-ডুপার হিট এই ছবি ফিরিয়ে দেওয়ায় এখন নিশ্চয়ই ভীষণ আফসোস হয় সাইফের। কঙ্গনা রাজি হননি ডার্টি পিকচারে ডার্টি পিকচার ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব প্রথমে গিয়েছিল কঙ্গনা রনৌতের কাছে। কুইন তারকা রাজি না হওয়ায় তাতে শেষ অবধি অভিনয় করেছিলেন বিদ্যা বালান। এর পরের কাহিনি তো ইতিহাস। দক্ষিণী সিনেমার নায়িকা সিল্ক স্মিতার চরিত্রে অভিনয় করে বিদ্যা ঝড় তুললেন। ঝুলিতে ভরলেন বড় বড় সব পুরস্কার। জিতেছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও। আসলে ফ্যাশন আর ওয়ানস আপন আ টাইম ইন মুম্বাই-এর পর ডার্টি পিকচার-এ সিল্কের চরিত্রটা একই রকম মনে হয়েছিল কঙ্গনার কাছে। এ জন্যই ছবিটি করতে রাজি হননি। বিদ্যা হয়তো মনে মনে ভাবেন, ভাগ্যিস কঙ্গনা রাজি হননি! মিলখা হননি অক্ষয় দেশি বয়েজ, হাউসফুল ২ , জোকার-এর মতো কমেডি ও অ্যাকশনধর্মী ছবি নিয়ে অক্ষয় কুমার যখন ব্যস্ত, ঠিক তখনই অন্য রকম এক প্রস্তাব আসে তাঁর কাছে। ভারতের বিখ্যাত অ্যাথলেট মিলখা সিংয়ের বায়োপিকে অভিনয়ের ডাক পড়ে। কিন্তু নানা কারণে অক্ষয় মিলখা হতে রাজি হননি। অথচ নিজের চরিত্রে মিলখা সিংয়ের প্রথম পছন্দ ছিল অক্ষয়ই। ভাগ মিলখা ভাগ নামের এই ছবি না করে অক্ষয় ভুলই করেছিলেন। মিলখা চরিত্রে ফারহান আখতারে মুগ্ধ হয়েছিল সবাই। ছবিটি হিট তো হয়েছিলই, ২০১৩ সালে ছবিটি সব মিলিয়ে ৪০টিরও বেশি পুরস্কার পেয়েছিল। স্বদেশ ফিরিয়ে দিয়েছিলেন হৃতিক! হৃতিক রোশন তখন করছিলেন একের পর এক বস্তাপচা প্রেমের ছবি। আশুতোষ গোয়ারিকর তাঁর কাছে নিয়ে আসেন দারুণ এক প্রস্তাব। স্বদেশ ছবির প্রধান চরিত্রটা করতে বলেন হৃতিককে। কিন্তু লক্ষ্য ছবির জন্য হৃতিক সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। ব্যাপারটা নিশ্চয়ই এখনো পোড়ায় তাঁকে! সালমানের আক্ষেপ চাক দে ইন্ডিয়া সালমান খানকে বেশির ভাগ সময়েই হালকা চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়। চাক দে ইন্ডিয়া-তে কবির খানের চরিত্র তাঁর ক্যারিয়ারে যোগ করতে পারত অন্য মাত্রা। কিন্তু খেলা নিয়ে ছবি দর্শক গ্রহণ করবে কি না, এমন দোলাচলে প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সাল্লু। আদিত্য চোপড়ার এই ছবিও হাত ঘুরে শাহরুখ পেয়ে যান। সুপার হিট এই ছবি তো বলিউডে নতুন এক অধ্যায়ের জন্ম দেয়। চোট মুন্না ভাই হতে দেয়নি শাহরুখকে মুন্না ভাই এমবিবিএস সঞ্জয় দত্তকে দিয়েছিল নতুন ইমেজ। এই ছবির সিক্যুয়েল লাগে রাহো মুন্না ভাইও সুপার হিট। অথচ প্রথমে এই ছবির প্রস্তাব গিয়েছিল শাহরুখ খানের কাছে। তিনি যে প্রথমেই প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন, ঠিক তা নয়। প্রস্তাবটি নিয়ে ভেবেছিলেন। নির্মাতা রাজকুমার হিরানি ও বিধু বিনোদ চোপড়ার সঙ্গে অনেকগুলো বৈঠকও করেছিলেন। শাহরুখ যখন প্রায় রাজি, ঠিক তখনই তাঁর পিঠের চোটের দুর্ভাগ্য ভাগ্য খুলে দেয় সঞ্জয়ের। কাহো না পেয়ার হ্যায়তে কারিনার বদলে আমিশা ২০০০ সালে হৃতিক রোশান আর আমিশা প্যাটেলের কাহো না পেয়ার হ্যায় কী পরিমাণ ব্যবসায় করেছিল, সেটা নিশ্চয়ই সবার মনে আছে। নতুন শতকের প্রথম বছরে রাকেশ রোশানের এই ছবি ছিল রীতিমতো ক্রেজ। কিন্তু এই ছবিতে আমিশাকে প্রথমে ভাবেননি পরিচালক। কাজ করার কথা ছিল কারিনা কাপুরের। কিন্তু দারুণ সব ছবি ও চরিত্র ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে কারিনা অনন্য। ক্যারিয়ারে অনেকবারই বড় বড় সুযোগ হেলায় হারিয়েছেন তিনি। কাহো না পেয়ার হ্যায় এর বড় একটি উদাহরণ। কেবল এটিই নয়, কাল হো না হো কিংবা রামলীলা ছবিও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এসব নিয়ে আফসোসের কথা অবশ্য কখনোই স্বীকার করেন না এই অভিনেত্রী। আর/১৭:১৪/১২ আগষ্ট
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2uxwl9n
August 13, 2017 at 12:39AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন