ঢাকা, ১০ আগষ্ট- আজমেরী হক বাঁধন একজন অভিনেত্রী ও মডেল। ২০০৬ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় ২য় রানার আপ হয়ে মিডিয়াতে ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। এরপর বিজ্ঞাপন এবং টিভি নাটকে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন। ২০১০ সালে ব্যবসায়ী সনেটের সঙ্গে পরিচয় হয় বাঁধনের। পরিচয়ের তিন মাস পরেই তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ২০১০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠজনদের উপস্থিতিতে ব্যবসায়ী সনেটের সঙ্গে বাঁধন বিয়ের পিড়িঁতে বসেন। বাঁধনের সংসারে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বাঁধন বর্তমান কাজ এবং সংসার জীবন নিয়ে একান্ত আলাপ করেন এ প্রতিবেদকের সাথে। আলাপকালে তিনি মিডিয়ার পথ চলা ও মেয়ে সংসার জীবন নিয়ে কথা বলেন প্রতিবেদকের সাথে। বর্তমান কাজ নিয়ে বাঁধন বলেন, আমি এখন কোন কাজ করছি না। আমার হাতে বেশ কিছু কাজ ছিলো আমি সেগুলোতে না করে দিয়েছি। আমি এখন সংসার নিয়ে বেশি চিন্তিত। আমার মনে হয় এখন কাজ করলে আমি অনেক কিছু হারিয়ে ফেলবো। তাই কাজ থেকে দুরে রয়েছি। মেয়ে সায়রাকে নিয়ে বাঁধন বলেন, আমার মেয়ে অনেক লক্ষী। মেয়ের বয়স ৬ বছর হয়েছে। আমি আমার মেয়েকে নিয়ে অনেক চিন্তা করি। তার ভবিষৎ নিয়ে আমি অনেক ব্যস্ত। কি করে আমার মেয়ে ভালো থাকবে সেই চিন্তা করি সব সময়। আমার সংসার বলতে গেলে আমার মেয়ে। স্বামী সংসার জীবন নিয়ে প্রতিবেদককে বাঁধন বলেন, আপনারা তো জানেন বিগত দিনের কথা। নতুন করে আর কি বলবো। তবে আমি অনেক দিন সহ্য করছি। আর না। এবার আমি মুখ খুলবো। আপনাদের নিয়ে (সাংবাদিক) আমি সরাসরি আলোচনা করবো। অনেকদিন ধরে আমি বিষয়টা নিয়ে ভাবছি। আমি মেয়ের বাবা হিসেবে ওনাকে (বাঁধনের স্বামী) সম্মান দিয়েছি। শুধু মেয়ের জন্য আমি সব কিছু মুখ বুঝে সহ্য করেছি। আমার পক্ষে আর সম্ভব না। আমি খুব শ্রীঘ্রই সব কিছু জানিয়ে দিবো। বাঁধন বলেন, আমি মানসিকভাবে অনেক অসহায়। আমার জন্য এখন মেয়ের ভবিষৎ নিয়ে ভাবা ছাড়া আর কোন উপায় নাই। আমি মেয়ের বাবাকে অনেক সম্মান দিয়েছি। তাকে যেন কেউ অপমান না করে সেই দিকে খেয়াল রেখেছি। আমি আপনাদের (সাংবাদিক) ভাইদেরও বলি যে আমার স্বামীকে নিয়ে কিছু লিখবেন না। আমি যদি তার দিকে সম্মান দেখাতে পারি কিন্তু সে এটার মূল্য রাখলো না। বাঁধন বলেন, আমি কয়েক দিনের মধ্যে আপানাদের (সাংবাদিক) সবাইকে ডেকে সব বিষয়ে খুলে বলবো। আইনের কিছু বিষয় আছে যার কারণে আমি এখন বলছি না সব কিছু তবে এটাই বলবো আমি আর সহ্য করতে পারছি না। আমিও মানুষ আমার ধৈর্যের একটা সীমা আছে। আমি সময় মতো সবই জানাবো। বাঁধন আরো বলেন, আমি যখন মেয়েকে নিয়ে আলাদা হয়ে যাই তখন থেকে তার (স্বামী) আসা যাওয়া ছিলো। আমি শুধু মেয়ের দিকে তাকিয়ে ওনার সাথে ভালো ভাবে চলেছি। আমি কখনও ওনাকে ছোট করে কথা বলিনি। আমার মেয়ে সব সময় বাবার সাথে কথা বলে এবং মেয়ের সাথে তার বাবাও কথা বলে। আর/১৭:১৪/১০ আগষ্ট
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2vIJUCL
August 11, 2017 at 04:16AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন