ঢাকা, ২৯ আগস্ট- ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনটা ছিল বাংলাদেশেরই। তামিম ইকবালের ফিফটিতে ভর করেই বড় লিডের এদিকে এগুচ্ছিল স্বাগতিকরা। মুশফিককে নিয়ে ৬৮ রানের জুটিও গড়েছিলেন। প্রতিরোধের এই দেওয়ালটা পোক্ত হওয়ার আগেই তা ভেঙে দিলেন প্যাট কামিন্স। তার লাফিয়ে উঠা বলে তালুবন্দী হন ম্যাথু ওয়েডের হাতে। অবশ্য তা ক্যাচ ছিল কিনা জানতে রিভিউ নেয় অসিরা। তার পরেই সাজঘরের পথ ধরেন ৭৮ রানে ব্যাট করতে থাকা তামিম। তার ১৫৫ বলের ইনিংসে ছিল ৮টি চার। আগের ইনিংসেও ফিরেছিলেন ৭১ রানে। এবারও পারলেন না ইনিংসকে বড় করতে। পরে নামা সাকিব আল হাসানও ছিলেন ব্যর্থ। থিতু হওয়ার বদলে ছিলেন আক্রমণাত্মক মেজাজে। মাত্র ৫ রানে লিওনকে উঠিয়ে মারতে গিয়েছিলেন। আর সেই বল লুফে নেন প্যাট কামিন্স। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও সাকিবের উইকেট নিলেন লিওন। মধ্যাহ্নভোজের পরেই ধীরে ধীরে রূপ পাল্টায় বাংলাদেশের ইনিংস। সাব্বির মুশফিক মিলে ৪৩ রানের জুটি গড়ে লিড সমৃদ্ধ করার চেষ্টায় ছিলেন। অথচ দুর্ভাগ্যের শিকার হয়ে রান আউট হন মুশফিক। বোলারের প্রান্ত থেকে ক্রিজ ছেড়ে আগেই বেরিয়ে এসেছিলেন মুশফিক। আর তখনই লিওনের হাত স্পর্শ করে বল লাগে স্টাম্পে। মুশফিক বিদায় নেন ৪১ রানে। এরপরেই ঝটপট বিদায় নেন নাসির হোসেন (০) ও সাব্বির রহমান (২২)। নাসিরকে ফেরান অ্যাগার আর সাব্বিরকে ফেরান লিওন। বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ১৯৯ রান। লিড দাঁড়িয়েছে ২৪২ রান। এর আগে প্রথম সেশনে দুই উইকেট হারালেও প্রাপ্তি হিসেবে ছিল মুশফিক ও তামিমের ৬৬ রানের জুটি। আর এই জুটিতে ভর করেই বড় লিডের দিকে ছিল স্বাগতিকরা। বিরতির পর ফিরে সেই জুটিকে আঘাত হানলেন কামিন্স। বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৬৬ রান। লিড দাঁড়িয়েছে ২০৯ রান। মুশফিক ব্যাট করছেন ৩১ রানে আর সাব্বির রহমান ১৬ রানে। দিনের শুরুটায় দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েই শুরু করেছিলেন ওপেনার তামিম। প্যাট কামিন্সের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে চার দিয়ে দিনের খেলা শুরু করেন। সঙ্গে ছিলেন নাইটওয়াচম্যান তাইজুল ইসলাম। প্রথম কয়েক ওভার ব্যাটসম্যানদের মতোই প্রতিরোধের দেওয়াল তৈরি করছিলেন। ২৮তম ওভারের শুরুতেই সেই দেওয়ালে আঘাত হানেন গোট খ্যাত নাথান লিওন। তাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন অসি এই স্পিনার। তাইজুল ২২ বলে ফেরেন ৪ রানে। যেখানে ছিল একটি চার। তাইজুল প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যান না হলেও এই কোটায় ছিলেন বামহাতি ইমরুল। অথচ প্রথম ইনিংসের মতো তিনিও ছিলেন ব্যর্থ। ২ রানে তাকে ওয়ার্নারের তালুবন্দী করান লিওন। এরপরই ফিফটি হাঁকান তামিম ইকবাল। প্রথম ইনিংসের মতো এবারও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন ক্যারিয়ারের ২৩তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে। ইমরুল বিদায় নেওয়ার পর মাঠে নামেন টেস্ট অধিনায়ক মুশফিক। আগের ইনিংসে ব্যর্থ ছিলেন ভালো ইনিংস খেলতে। এবার তামিমের সঙ্গী হয়ে ভালো ইনিংসের সেতু গড়ছেন দুজন। আগের দিন প্রথম ইনিংসের মতো ব্যাটিং দুর্দশার মুখোমুখি হতে হয়নি বাংলাদেশকে। বরং সম্ভাবনাময়ী জুটি গড়ার পথে ছিলেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। কিন্তু উঁচিয়ে মারতে গিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসেও ভালো কিছু করতে পারলেন না সৌম্য। অ্যাস্টন অ্যাগারের বলে অনেক উঁচু শট নিয়েছিলেন; লং অনে দাঁড়ানো উসমান খাজার হাত ফসকে দুইবার বল বেরিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত ধরা দেন তার হাতেই। ১৫ রানে বিদায় নেন সৌম্য। ৫৩ বলে সাজানো ছিল তার ৩ বাউন্ডারির ইনিংস। এর আগে দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে সাকিব-মিরাজের স্পিনে ১৪৪ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে বড় বিপদে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। তবে প্রতিরোধ গড়ে তারা অ্যাগার ও প্যাট কামিন্সের জুটিতে। তাদের ৪৯ রানের জুটিতে ৮ উইকেটে ১৯৩ রানে চা বিরতিতে যায় অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় সেশনে এসেই সাকিব এ জুটি ভাঙেন। কামিন্সকে (২৫) বোল্ড করে নিজের চতুর্থ উইকেট নেন এ স্পিনার। শেষ ব্যাটসম্যান জশ হ্যাজলউডকে ৫ রানে ইমরুল কায়েসের ক্যাচ বানান তিনি। ৭৪.৫ ওভারে অস্ট্রেলিয়া অলআউট হয় ২১৭ রানে। এমএ/ ১৪:৪৫/ ২৯ আগস্ট



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2xIHX6X
August 29, 2017 at 08:48PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top