শিক্ষকের অনিয়মের বিরুদ্ধে শিক্ষা অফিসার বরাবরে অভিযোগ

সুরমা টাইমস ডেস্ক : একই সাথে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা এবং কোচিং সেন্টার পরিচালনা সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও স্থানীয় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য গত বুধবার সিলেট সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (মাধ্যমিক) বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঐ শিক্ষকের নাম মোহাম্মদ সুলেমান (৩৪) বলে জানা গেছে। তিনি সিলেট সদর উপজেলার ধোপাগুল মহালদিকস্থ হাজী আব্দুস সামাদ মেমোরিয়্যাল একাডেমীর ইংরেজী শিক্ষক।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, মোহাম্মদ সুলেমান (৩৪) হাজী আব্দুস সামাদ মেমোরিয়্যাল একাডেমীর সরকারী এমপিও ভুক্ত ইংরেজী শিক্ষক। এপদে থাকায় তিনি সরকারী বেতন-ভাতা সুবিধাদি ভোগ করে আসছেন। কিন্তু তিনি কোন নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা না করে এর পাশাপাশি রহিমা ফরিদ কিন্ডারগার্টেন এর প্রধান শিক্ষক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করে আসছেন। শুধু তাই নয় ঐ শিক্ষক দুটি প্রতিষ্ঠানের খুব কাছেই বেনামে একটি কোচিং সেন্টারও পরিচালনা করছেন। এক শিক্ষকের এক সাথে তিনটি প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালনের ফলে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। ইংরেজীর মত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের শিক্ষক একই সময়ে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করলে নির্দিষ্ট সময়ে পাঠদান নিয়ে সংশয় থাকাটাই স্বাভাবিক। এ নিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় তা অভিভাবকমহল ও স্থানীয় এলাকাবাসীর দৃষ্টিগোচর হয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালীর সহায়তায় তিনি সকল অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছেন। ঐ শিক্ষক শ্রেনীকক্ষে সঠিক পাঠদান না করে শিক্ষার্থীদের কোচিং সেন্টারে ভর্তি হতে বাধ্য করছেন বলেও অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়। এর ফলে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় প্রতিষ্ঠানের ফলাফল বিপর্যয় ঘটছে। হাজী আব্দুস সামাদ মেমোরিয়্যাল একাডেমীতে ভর্তি ফি, রেজিঃ ফি, ফরম ফিলাপ ফি ও কোচিং ফি’র নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়ে প্রত্যক্ষভাবে মদদ দিয়ে আসছেন ঐ শিক্ষক। তদন্তপূর্বক ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার প্রতি আহ্বান জানান তারা।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, সারাদেশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক পালন করা হলেও ঐ বিদ্যালয় এবং কিন্ডার গার্টেন তা থেকে বিরত থাকে।
এব্যাপারে সিলেট সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (মাধ্যমিক) পুলিন রায় বলেন- তিনি ছুটিতে সিলেটের বাইরে থাকায় অভিযোগ পত্রটি দেখেন নি। যেহেতু অফিস রিসিভ করেছে সেহেতু আমি রবিবারে অফিস খুললেই বিষয়টি দেখবো।



from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2x0j6f7

August 19, 2017 at 08:05PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top