ঢাকা, ০৭ আগস্ট- জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহ আত্মহত্যা করেননি, তাকে খুন করা হয়েছে এমন দাবি করে রাবেয়া সুলতানা রুবি নামে আমেরিকা প্রবাসী এক বাংলাদেশি অনলাইনে একটি ভিডিও বার্তা ছেড়েছেন। সোমবার তিনি ভিডিও বার্তাটি প্রকাশ করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই এটি ভাইরাল হয়ে যায়। রুবি দাবি করেছেন, সালমান শাহকে খুনে জড়িত ছিলেন তার স্বামী যিনি চীনা নাগরিক চ্যান লিং চ্যান ওরফে জন চ্যান নামে বাংলাদেশে পরিচিত। ধানমন্ডির সাংহাই রেস্টুরেন্টের মালিক তিনি। ভিডিও বার্তায় ওই নারি আরও দাবি করেছেন, চীনাদের দিয়ে এই খুন করানো হয়। এতে জড়িত ছিলেন সালমান শাহের স্ত্রী সামিরার পরিবারও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এরই মধ্যে এই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়। এতে তিনি সালমান শাহের মা নীলা চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে কাতর কণ্ঠে বলেন, এই খুনের বিষয়ে তিনি বিস্তারিত জানেন। বিষয়টি যেভাবেই হোক আবার যেন তদন্তের ব্যবস্থা করা হয়। তিনি যেভাবেই পারেন আদালতে সাক্ষী দেবেন। এ ভিডিওটি নজরে এসেছে সালমান শাহের মা নীলা চৌধুরীর। তিনি এখন লন্ডনে সালমানের ছোট ভাই শাহরানের কাছে। সেখান থেকেই সালমান শাহের মা নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাসে বলেন, প্রিয় দেশবাসী। আমাকে সাহায্য করুন। দেখুন, রুবি সুলতানার স্বীকারোক্তি। কীভাবে সালমানকে হত্যা করা হয়েছে। যেভাবে পারেন এফবিআইকে জানান, বাংলাদেশের সকল চ্যানেলকে অনুরোধ করছি রুবির স্বীকারোক্তিটা চালিয়ে দেন। তিনি আরও বলেন, প্রিয়জন, খেয়াল রাখবেন এই নিউজের পর অনেকে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করবে। শান্তভাবে কাজ করবে। এরপর তিনি সালমানের স্ত্রী সামিরা ও তার পরিবার যেন দেশ থেকে পালিয়ে যেতে না পারে সে দিকেও নজর দিতে অনুরোধ করেন। রুবি চৌধুরী এখন পেনসিলভানিয়ায়। ভিডিও বার্তায় তিনি জানান, জীবন হারানোর আশঙ্কায় আছেন তিনি। তিনিই নাকি একমাত্র জীবিত মানুষ যার কাছে প্রমাণ আছে সালমানকে খুন করা হয়েছে। তাই তাকেও মেরে ফেলা হতে পারে। কেন খুন করা হতে পারে রুবিকে? তার ভাষ্যে, কারণ আবার (সালমানের মৃত্যু রহস্য) কেস ওপেন হইছে। রুবির ভিডিও বার্তা দেখে তার কাছে ফোন নাম্বার চেয়ে নীলা চৌধুরী ফেসবুকে লেখেন, রুবি তুমি এতো কথা বলতে পারছ তাহলে এফবিআই বা আমেরিকার পুলিশকে জানাতে পারছ না কেন, তারা যাতে তোমাকে নিরাপদে রাখে। তোমার ফোন নাম্বার দাও। উল্লেখ্য, সালমান শাহ ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর পরলোক গমন করেন। রাজধানী ঢাকার ইস্কাটনে তার নিজ বাস ভবনে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়। ময়না তদন্ত রিপোর্টে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হলেও তার মৃত্যু নিয়ে রহস্য এখনো কাটেনি। অনেকেই সালমান শাহ-এর মৃত্যুর জন্য তার স্ত্রী সামরার দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন, এমনকি পরবর্তীকালে সালমানের পরিবারের পক্ষ থেকে স্ত্রী সামিরা ও আরো কয়েকজন কে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয় কিন্তু পরে এই মামলার আর কোন অগ্রগতি হয়নি ফলে সালমানের মৃত্যু নিয়ে রহস্য আর উদঘাটিত হয়নি।



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2ve3Qee
August 08, 2017 at 12:49AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top