নায়করাজ রাজ্জাক। ১৯৬৬ সালের ২৮ অক্টোবর বেহুলা চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে নায়ক হিসেবে রূপালি পর্দায় পা রাখেন তিনি। সম্প্রতি অভিনয় জীবনে ৫০ বছর পূর্ণ করলেন গুণী এই অভিনেতা। কথা হলো তার সঙ্গে- চলচ্চিত্রে ৫০ বছর পার করলেন। কেমন লাগছে? সত্যি বলতে আমি অভিনয়কে এত বেশি ভালোবাসতাম, অভিনয়ের ৫০ বছর কখন কেটে গেল তা টেরই পাইনি। আজ আমার সহকর্মীরা অনেকে নেই। তাদের কথা ভীষণভাবে মনে পড়ছে। তারা আমাকে সে সময় সহযোগিতা না করলে এত দূর আসা সম্ভব ছিল না। নায়করাজও হয়ে ওঠা হতো না। বিশেষভাবে আমার স্ত্রী লক্ষ্মী সংসার আগলে রেখেছিল বলেই আমি নায়করাজ রাজ্জাক হয়েছি। প্রত্যেক মানুষ স্বপ্ন দেখে। সময়ের সঙ্গে স্বপ্নের বদল হয়। আপনার... ক্লাস সেভেনে পড়ার সময় স্বপ্ন দেখতাম, ফুটবলার হবো। কারণ সেই সময় কলকাতায় ফুটবল খেলোয়াড় হওয়া বিরাট ব্যাপার ছিল। স্বপ্ন পূরণ করতে ফুটবল খেলা শুরু করলাম। গোলকিপার থেকে হঠাৎ করে অভিনয়ে এলাম। অভিনয়ে আসার পর ভাবনা ও স্বপ্নের পুরোটা জুড়েই ছিল অভিনয়। অভিনয় জীবনে কোটি মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন। পাঁচবার জাতীয় পুরস্কার ও আজীবন সম্মাননাও পেয়েছেন... সম্মাননা ও পুরস্কার পাওয়ার চেয়েও অনেক বড় বিষয় মানুষের ভালোবাসা। যা আমি পেয়েছি। কোথাও গেলে, এখনও মানুষ আমাকে দেখে ছুটে আসে। শ্রদ্ধও ভালোবাসা নিয়ে কথা বলে। আমার জীবনে এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কী হতে পারে? ক্যারিয়ারের শুরু থেকে এ পর্যন্ত কয়েক প্রজন্মের নির্মাতাদের সঙ্গে কাজ করেছেন। এই সময়ের চলচ্চিত্র নিয়ে আপনার অভিমত কী? এখন অনেকেই ভালো ভালো কাজ করছেন। কিন্তু কিছু কাজ দেখলে আমার নিজের কাছে মনে হয় যারা কাজ করছেন তারা চলচ্চিত্রের ভাষাটা ঠিকমতো রপ্ত করতে পারেননি। শুধু জানা-শোনা থাকলেই কিন্তু ভালো চলচ্চিত্র নির্মাণ করা যায় না। পাশাপাশি ভালো চলচ্চিত্রের জন্য দরকার একটি ভালো গল্পও। এখনকার চলচ্চিত্রগুলো দেখলে মনে হয় গল্পের অভাব। কিন্তু আমাদের দেশে কিন্তু গল্পকারের অভাব নেই। শুধু একটু চোখ-কান খোলা রাখলেই পাওয়া যায়। বি.দ্র: লেখাটি ২০১৬ সালের ৩১ অক্টোবরে প্রকাশিত। আর/১৭:১৪/২১ আগষ্ট
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2v7t7Wn
August 22, 2017 at 03:38AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন