বিএনপির ৩৯তম প্রতিষ্টা বার্ষিকী উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য র্যালী নগরীর চৌহাট্টা পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে রিকাবীবাজার পয়েন্টে গিয়ে এক সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সিলেট মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি এডভোকেট হাবিবুর রহমান হাবিবের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজের পরিচালনায় অনুষ্টিত সমাবেশে মহানগর বিএনপির নির্বাচিত সাংগটনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী বলেন রাষ্ট্রকে রক্ষা করতে জনগণকেই সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলনে নামতে হবে।
আমরা আজ কঠিন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি , স্বাধিনতার পর থেকে এতো কঠিন সময় আমাদেরকে আর পার করতে হয় নি। রাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতির ভাষায় যদি বলতে হয় , রাষ্ট্রের প্রধান তিনটি অঙ্গের মধ্যে নির্বাহী বিভাগ ও আইন বিভাগ সম্পূর্ণ ধ্বংশপ্রাপ্ত ,বাকি বিচার বিভাগ ধুকছে । অর্থাৎ ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তস্নাত দেশ আজ ক্রমে অকার্য্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।
গুম,খুন,ধর্ষণ আজ নিত্যদিনের সঙ্গি , শান্তিতে নিঃশ্বাস ফেলার স্থান আজ এ জনপদে নাই। দেশের প্রতিটি লোক আজ অজানা আতঙ্কে দিনানিপাত করছে। দেশ যেনো এক ভয়াল মৃত্যুপূরী। এমনি অবস্হায় আর চলতে পারে না , চলতে দেয়া যায় না।
তিনি সরকারের সকল নির্যাতনমূলক অচরণের বিরুদ্ধে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিযার ডাকে ও দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে ভোটাধিকার ও বাকস্বাধিনতা ফিরিয়ে আনতে, একটি সুন্দর আগামীর প্রত্যাশায় , জনগণকে সরকারের সকল অন্যায় ও নির্যাতনের রিবুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে তিনি সকলকে মাঠে নামার জন্য আহ্বান জানান ।
সভাপতির বক্তব্যে জনাব এডঃ হাবিবুর রহমান বলেন ৭২-৭৫ সময়ে বাকশালী কায়দায় দেশে যে নগ্ন ত্রাসের রাজনীতি শুরু করেছিলো আওয়ামিলীগ ঠিক সেই একই কায়দায় আজ আবার সারাদেশে ওরা গুম, খুন, ধর্ষন ও লুঠের মহোৎসবে তারা মেতে উটেছে। মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা আজ চরম ভাবে ভুলন্টিত।
এই অবস্থায় শহীদ জিয়ার সূর্য সৈনিকরা আজ যেভাবে সকল ভয় ভীতির উর্দ্ধে ওটে রাজপথে নেমে এসেছে আজকের এই বিশাল সমাবেশই তার প্রমান। এবং র্যালী শেষে সভার শুরুতে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক, বি,এন,পি-র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দু’মিনিট নীরবত পালন করা হয় ।
সভা ও র্যালীতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির উপদেষ্টা সাইদুর রহমান বুদুড়ী, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস হামজা, মহানগর বিএনপি নেতা সেলিম আহমদ মাসুদ, সহ যুব সম্পাদক সুহেল মাহমুদ, বিএনপি নেতা রফিকুল বারী রোমান, আব্দুল্লাহ বারী শাহেদ, সুহেল আহমদ, মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, ছাত্রদল নেতা জাকির হোসেন, দেওয়ান রেজওয়ান, সাহেদ সিরাজ, নজরুল ইসলাম, আহমেদ টিপু, যুবদল নেতা বদরুল ইসলাম, ছাত্রদল নেতা ফয়েজ আহমদ, এনামুল ইসলাম লায়েছ, জুবায়ের আহমেদ জুবের, রায়হান উদ্দিন রাজু, মঞ্জু আহমদ, হাসনাতুল ঝুমন, শাকিলুর রহমান, কামরুল হাসান তুহিন, সাফওয়ান আহমদ, হুমায়ন আহমদ, রাজেক আহমদ, দিলওয়ার হোসেন, মীর সাইদুর রাহমান, সাইফুল আলম সোহান, রাফি আনোয়ার, সামাদ আহমেদ, নাসিম হোসেন, জিহাদ খান, সামাদ আহমেদ, জনি গাজি, কামরুল খান, তৌফিক আহমেদ, নাইম চৌধুরী, সাফি আহমেদ, রনি আহমেদ, সুস্মিত সিং রাশা, কাওসার হোসেন রকি, অববিত আহমেদ, রেজওয়ান আহমেদ, শাওন, রেজাউল হাসান, রেজু আহমদ, সাদ্দাম হোসেন, হারুন ইসলাম, সাজু রাহমান, রাজিব আহম্মদ, রাশেদ আহমদ, হোমায়ুল রব, আরমান আহমদ, মাহবুব আলম, হাসান আহমদ, এনাম আহমদ, জাহাঙ্গীর আলম, সুভাষ, মাহদী, ফাহাদ, সুরঞ্জিত, মো কাওসার আহমদ শিবলু, জুবেদ আহমদ, রুহুল আমিন, তুহিন আহমদ, হিমেল আহমদ, জসিম আহম্মদ, সাকিল আহমদ, মোঃ সামি, শাহিন খান, হাবিব আলম বিজয়, আল মামুন শুভ,জাবেদ আহমদ, সায়েম আহমদ এবং প্রমুখ। -বিজ্ঞপ্তি
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2wi0cSy
August 30, 2017 at 09:47PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন