ঢাকা, ২১ আগস্ট- আমাদের বাংলা সিনেমা জগতের নক্ষত্রসম প্রেমিকজুটি ছিলেন রাজ্জাক-কবরী। তাদের মুখের প্রেমময় সংলাপকে পর্দার এপাশের সব প্রেমিক প্রেমিকারা সবসময়ই নিজের বলে গ্রহণ করেছেন। নিজেদের জীবনের আবেগীয় মুহূর্তে সেসব সংলাপ প্রয়োগ করেছেন। এখনো করে থাকেন। পৌরুষদীপ্ত চেহারার অভিনেতা রাজ্জাক আর মিষ্টি হাসির মধু ছড়ানো কবরীর সিনেমাগুলোকে অনুসরণ করেই কাটিয়ে দেয়া যায় জীবনের বর্ণিল সব হলুদ বসন্ত। রাজ্জাক-কবরী জুটির প্রেমপর্যায়ের মাধুর্যময় ক্লাসিক সংলাপগুলো একসময় প্রেমিকদের মুখস্ত ছিল। আর প্রেমিকারা তো সবসময়ই পছন্দ করেন প্রিয় মানুষের কাছ থেকে ভালোবাসার প্রকাশ দেখতে। সুতরাং দুইয়ে দুইয়ে চার। প্রেমের সুখ অথবা খুঁনসুটি দুটোই দুর্দান্ত করে ফুটিয়ে তুলেছেন স্বর্ণযুগের দুই লিজেন্ডারি অভিনয় শিল্পী রাজ্জাক-কবরী। স্মৃতিটুকু থাক ছবির মনতো ছোঁয়া যাবে না অথবা আবির্ভাব ছবির আমি নিজের মনে নিজেই যেন গোপনে ধরা পড়েছি অথবা নীল আকাশের নীচে ছবির প্রেমের নাম বেদনা, সে কথা বুঝিনি আগে/দুটি প্রাণের সাধনা কেন যে বিধুর লাগে। এসব গান সময়ের সঙ্গে কি কখনো যায়নি আমাদের! আমরা সবসময় সময়ের আবেদন মেনে চলতে পছন্দ করি। কোন গানটা আপনার ভালো লাগবে আর কোনটা না সময়ই কিন্তু আপনার মনকে উসকে দেবে। মন ভালো থাকলে কতো রকম সুন্দর স্মৃতি মনের মাঝে লুটোপুটি খায় সেই আবেদন অন্য কোথাও থেকে ধার করবার কোনো প্রয়োজন হয়নি আমাদের সব প্রেমিকযুগলদের। সামনেই রাজ্জাক-কবরীর গানে তার অনবদ্য প্রকাশ। আবার মন খারাপের একেকটা দিন যখন নিকষ কালো মেঘলা লাগে তখনো হাত ধরে পথ দেখান রাজ্জাক-কবরী জুটি। বাঙালি মাত্রেই রাজ্জাক-কবরী জুটির অপূর্ব আবেদন থেকে বের হয়ে আসার কোনো পথ নেই। আমরা এখনো আটকে আছি ঐ এক জায়গাতেই। প্রেম শুধু কথার ফুলঝুরি নয়, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোনে কথাও নয়, ভার্চুয়াল জগতের চ্যাটিং প্যানপ্যানানি নয়। একটুখানি চোখের পলকেই প্রেমের অসাধারণ প্রকাশ সম্ভব। এক মিনিটেই অনেক কিছু বলা সম্ভব কিছু না বলেই। হৃদয়খানি তো চোখের মধ্যেই উছলে পড়ে! এসব মানসিক ব্যাপার স্যাপার রাজ্জাক-কবরী জুটির প্রেম থেকেই বাঙালিরা সব শিখে ফেলেছেন। বাঙালিরা কিন্তু বলতে গেলে মহাপ্রেমিক জাতি। যেটুকু সমস্যা আছে সেটা হলো প্রকাশহীনতায়। কাব্যিক মন কি আর সব প্রেমিকমাত্রেই থাকে! সুতরাং পথ হাতড়ে বারবার সেই একই পথে পা রাখতে হয়। সিনেমায় পথে চলতে চলতে রাজ্জাক-কবরী জুটি নিজেরাও একসময় নিজেদের ভেতরে হারিয়ে গিয়েছিলেন। সেসব খবর এখনো মানুষকে কৌতুহলী করে তোলে। হয়তো সেকারণেই সিনেমাতে এমন দ্বিধাহীনভাবে পুর্ণাঙ্গ আবেদন প্রকাশ করতে পেরেছেন যেটাকে তাদের একান্ত নিজের বলে ভেবে ভুল করেছেন অনেকেই। তারপরেও কথা তো থেকেই যায়। সবই কি আসলে অভিনয়ই ছিল! কিছুই কি তবে হৃদয়ের লেনাদেনা নয়! পাঠক সেসব উত্তর আপনারা খুঁজতে থাকুন। উত্তর খুঁজে না পেলেও আমরা পেয়েছি তাদের অনবদ্য কিছু কাজ। এর বেশি আমাদের আর কি চাই! এমএ/ ০৮:৩৪/ ২১ আগস্ট
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2v7vOqU
August 22, 2017 at 02:35AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন