ঢাকা, ১২ আগষ্ট- শ্যামলী হলের প্রতারণার শিকার শাকিব-অপুর রাজনীতি। তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা বুলবুল বিশ্বাস পরিচালিত রাজনীতি ছবিটি গেল রোজার ঈদে মুক্তি পায়। শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস জুটির এ ছবিটি মুক্তির পর তুমুল দর্শকপ্রিয়তা পায়। গেল ঈদের সেরা ব্যবসাসফল ছবিও এটি। কিন্তু পরিতাপের বিষয় মৌলিক গল্প আর পরিচ্ছন্ন নির্মাণের রাজনীতি ছবিটি মুক্তির পর থেকেই হল দখলে নোংরা রাজনীতির শিকার হয়েছে। ঈদে মাত্র ৪০টি সিনেমা হলে মুক্তি পেলেও রাজধানীতে মুক্তি পেয়েছিল মাত্র একটি হলে (যমুনা ব্লকবাস্টার)। একটি পক্ষ আড়ালে থেকে রাজনীতিকে কোণঠাসা করতে চেষ্টা করেছেন বলে দাবি নির্মাতা বুলবুলের। সেই বাজে রাজনীতিতে এবার যুক্ত হলো শ্যামলী সিনেমা হল। শুক্রবার (১১ আগস্ট) থেকে রাজধানীর শ্যামলী সিনেমা হলে প্রদর্শিত হওয়ার কথা ছিল রাজনীতি। কিন্তু তার বদলে প্রদর্শিত হচ্ছে যৌথ প্রযোজনার ছবি নবাব। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন নির্মাতা বুলবুল বিশ্বাস। ফেসবুকে তিনি লেখেন, রাজনীতির বদলে প্রদর্শিত হচ্ছে নবাব শ্যামলী সিনেমা হলে। অথচ ১১আগষ্ট (শুক্রবার) থেকে রাজনীতি চলার কথা। কিন্তু কোনোও এক অজানা কারণে বা অজানা কারও হস্তক্ষেপে তার বদলে প্রদর্শিত হচ্ছে নবাব। আমি আমার দর্শক জনতার কাছে এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিবারের কাছে এর বিচার চাই। তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরেও আমার ছবির প্রযোজক শামলী হলে গেছেন। সেখানে তিন ঘণ্টা তিনি ছিলেন। ছবিটি চালানোর ব্যাপারে সবরকম আলোচনা শেষ করেছেন। কিন্তু আজ দেখা গেলো হলটি অন্য ছবি চালাচ্ছে। কার ইশারায় কেন শ্যামলী হল এই প্রতারণা করল তার জবাবদিহিতা প্রয়োজন। আমি চলচ্চিত্র পরিবারের ১৭টি সংগঠনের কাছে সহযোগিতা চাই। একজন নতুন নির্মাতা হিসেবে কেন বারবার আমাকে হল পলিটিক্সের শিকার হতে হবে। তিনি আরও বলেন, অনেক দর্শক পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শ্যামলীতে রাজনীতি দেখতে গিয়ে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। তারা আমাকে ফেসবুকে, ম্যাসেঞ্জারের ইনবক্সে এর কারণ জানতে চেয়েছেন। আমি কোনো জবাব দিতে পারিনি। লজ্জায় চুপ করে আছি। এদিকে রাজনীতির প্রদর্শনের কথা থাকলেও কেন নবাব চলছে? এই প্রশ্নের জবাবে শ্যামলী সিনেমা হলের ম্যানেজার আহসানউল্লাহ হাসান বলেন, রাজনীতি ছবি পাইরেসি হয়েছে। ইউটিউব খুঁজলেই পাওয়া যাচ্ছে। তাই দর্শকরা যদি হলে এসে না দেখে সেজন্য নবাব চালাচ্ছি। নবাব ছবিও পাইরেসি হয়েছে, ইউটিউবে পাওয়া যাচ্ছে। তাহলে এটা কেন চালাচ্ছেন? এমন প্রশ্ন করলে ম্যানেজার ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে ফোন কেটে দেন। পরে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। এমন প্রতারণার স্বীকার হয়ে রাজনীতি ছবির কর্তৃপক্ষ শ্যামলী সিনেমা হলের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে শোনা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, রাজনীতিতে শাকিব ও অপু বিশ্বাস ছাড়াও অভিনয় করেছেন আলী রাজ, সাদেক বাচ্চু, শিবা সানু, রেবেকা, ডিজে সোহেল প্রমুখ। প্রসঙ্গত, যৌথ প্রতারণার দায়ে সমালোচিত নবাব সিনেমা নিয়ে এর মুক্তি ও প্রচারে সক্রিয় ছিলেন শাকিব খান। ছবিতে নিজেকে বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিনিধি দাবি করে বিদেশে পুলিশ বিভাগের মুখ উজ্জ্বল হবে বলে মিথ্যাচারও করেন তিনি। কিন্তু দেশীয় প্রযোজনার রাজনীতি ছবি নিয়ে বরাবরই নিরবতা পালন করে গেছেন এই নায়ক। অনেকের দাবি, তার স্ত্রী অপু বিশ্বাসের সঙ্গে আর অভিনয় করতে চাইছেন না শাকিব। রাজনীতি ছবির নায়িকা অপু হওয়াতেই এ ছবি নিয়ে তার অনীহা। যদিও ঈদের পর এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন শাকি খান। আর/১২:১৪/১২ আগষ্ট
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2uvxEpE
August 12, 2017 at 06:43AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন