সুরমা টাইমস ডেস্ক: সিলেট নগরীর সোবহানীঘাট এলাকায় জামায়ত-বিএনপি সরকারের শেষ দিকে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করার জন্য জামায়াতের কয়েকজন শীর্ষ নেতা মিলে ইউনিভার্সিটি করার লক্ষ্যে জালালাবাদ ইউনিভার্সিটি নাম দিয়ে কলেজ পর্যায়ের কার্যক্রম শুরু করেন।
কিন্তু পরে ইউজিসির একটি তদন্তকারী দল নানা ধরনের ত্রুটির কারণে পরিদর্শন শেষে মন্ত্রণালয়ে অনুমোদন না-দেয়ার সুপারিশ করে। পরে সেই জালালাবাদ ইউনিভার্সিটির নাম দেয়া হয় জালালাবাদ কলেজ।
জামায়াত-বিএনপি সরকারের আমল থেকেই জালালাবাদ কলেজ থেকে শুরু হয় জামায়াত-শিবিরের অপতৎপরতা। ওই সময় থেকে শিবির সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে নিজেদের বলয়ে না নিতে পারলেও তাদের ওপর হামলাও চালাতও শিবির। এমনকি জামায়াত-শিবিরের দুর্ধর্ষ ক্যাডারারও এই কলেজে শিক্ষকের ভূমিকায় রয়েছেন।
শিবিরের হাতে শুধু সাধারণ শিক্ষার্থী নয় কলেজে একাধিকবার হামলার শিকার হয়েছে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। জালালাবাদ কলেজে শিবিরের কার্যক্রম চলতে থাকলেও পুলিশ একেবারেই নীরব ভূমিকায় রয়েছে। যার কারণে শিবির দিনে দিনে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
কলেজের একজন শিক্ষক জানান- কলেজের মূল প্রতিষ্ঠাতা সিলেট জামায়াতের দায়িত্বশীল শীর্ষ নেতা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী। তার নেপথ্যেই চলছে কলেজটি। পূর্বে একাধিকবার কলেজে বেশ কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটিয়েছিল শিবির। আর যারা এসব ঘটনা ঘটিয়েছিল তারা কলেজের শিক্ষকদের আশির্বাদপুষ্ট শিক্ষার্থী। যার কারণে কলেজ কর্তৃপক্ষ ওইসব শিবিরের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোন ভূমিকাই নেয়নি।
তিনি জানান- কলেজ ভর্তি শুরু কার্যক্রমের সময় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদেরকে কলেজের একটি পরিচয়পত্র তুলে দেয়া হয়। ওই পরিচয় পত্রেও উল্লেখ আছে- জালালাবাদ কলেজ পুরোটাই একটি রাজনৈতিক মুক্ত কলেজ। আসলে এখানে শুধু শিবিরের লোকজনকে বেশি সুবিধা দেয়া হয়। পরিচয় পত্রে রাজনৈতিক মুক্ত কলেজ লেখার কারণ হল অন্য কোন দল যাতে কলেজে রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু না করতে পারে।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2vfOwiI
August 08, 2017 at 08:32PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন