ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটে সুদিন ফেরাতে দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ফেলেছে বোর্ড ও খেলোয়াড়রা। মাঠেও কিন্তু তার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে হেডিংলি টেস্টের পারফরম্যান্সে। ইংল্যান্ডকে ২৫৮ রানে অলআ্উট করে ক্যারিবিয়ানরা ব্যাট হাতে প্রথম ইনিংসে করে ৪২৭ রান। ইংলিশদের দ্বিতীয় ইনিংসেও চেপে ধরেছিল, তবে অভিজ্ঞতা ও ঘরের মাঠের সুবিধা কাজে লাগিয়ে চেনা ছন্দে ফিরেছে স্বাগতিকরা। পাঁচ হাফসেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে ৪৯০ রানে ইংলিশরা ঘোষণা করেছে তাদের দ্বিতীয় ইনিংস, তাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দিয়েছে ৩২২ রানের লক্ষ্য। যার জবাবে চতুর্থ দিন শেষে জেসন হোল্ডাররা কোনও উইকেট না হারিয়ে করেছে ৫ রান। তৃতীয় দিন ইংল্যান্ড শেষ করেছিল ৩ উইকেটে ১৭১ রানে। ব্যক্তিগত ৪৫ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করা জো রুট তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩১তম হাফসেঞ্চুরি। তবে বেশি দূর যেতে পারেননি, শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের বলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ৭২ রান করে। অধিনায়কের বিদায়ের ধাক্কা দারুণভাবে কাটিয়ে ওঠে ইংল্যান্ড ডেভিড মালান ও বেন স্টোকসের জুটিতে। পঞ্চম উইকেট জুটিতে তারা যোগ করেন ৯১ রান। দুজনই তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। তবে রুটের মতো তারাও হাফসেঞ্চুরিকে রূপ দিতে পারেননি সেঞ্চুরিতে। রোস্টন চেসের তাণ্ডবে গোছানো ইংল্যান্ড আবারও হয়ে যা এলোমেলো। ২৪ রানের মধ্যে স্বাগতিকরা হারায় গুরুত্বপূর্ণ ৩ উইকেট। শুরুটা স্টোকসকে দিয়ে, চেসের বলে ক্রেগ ব্র্যাথওয়েটের হাতে ধরা পড়েন তিনি ৫৮ রানে। খানিক পর মালান প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ৬১ রান করে। এই চেসের বলেই আউট হওয়া জনি বেয়ারস্টো করেন ১৮ রান। ৩২৭ রানে ৭ উইকেট হারানো ইংল্যান্ডের স্কোরটা যে শেষ পর্যন্ত অতদূর গেছে, তার পুরো কৃতিত্ব মঈন আলী ও ক্রিস ওকসের। অসাধারণ ব্যাটিংয়ে তারাও তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। মঈন খেলেন দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। শেষ পর্যন্ত দেবেন্দ্র বিশুর বলে আউট হওয়ার আগে করেন ৮৪ রান। ওকস অবশ্য আউট হননি, রুটের ইনিংস ঘোষণার সময় ইংলিশ অলরাউন্ডার অপরাজিত ছিলেন ৬১ রানে। ইংল্যান্ডের ইনিংস ঘোষণার পর শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোনও উইকেট না হারিয়ে করেছে ৫ রান। পঞ্চম দিন শুরু করবেন দুই ওপেনার ক্রেগ ব্র্যাথওয়েট (৪*) ও কিয়েরন পাওয়েল (১*)। -ক্রিকইনফো এমএ/ ০৮:৩০/ ২৯ আগস্ট



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2iFulXt
August 29, 2017 at 02:30PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top