আলিপুরদুয়ার, ০৬ আগস্ট- সোশ্যাল সাইটে বন্ধুত্বের বিপদ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন আলিপুরদুয়ারের রেলকর্মী সুরজিৎ ভট্ট। বন্ধুত্ব, আলাপ, কথাবার্তা এমনকী, সম্পর্ক প্রেম পর্যন্ত গড়িয়েছিল। কিন্তু স্বপ্নভঙ্গ হল, যখন জানতে পারলেন অপরপ্রান্তের বন্ধুটি বৃহন্নলা। সুরজিৎবাবু পিছুটান দেওয়ার চেষ্টা করলেও ছাড়ার পাত্র নন বৃহন্নলা। বিয়ে করার জন্য চাপ। এবং তা মেনে না নেওয়ায় বেধড়ক উত্তম-মধ্যম খেয়ে এখন রেল হাসপাতালে ভর্তি সুরজিৎবাবু। জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি হাসপাতাল পাড়ার বাসিন্দা সুরজিৎ ভট্ট উত্তরপূর্ব রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনে সহকারী চালক পদে কর্মরত। আলিপুরদুয়ার জংশনের শান্তি কলোনির এ-৩৩৫ নম্বর কোয়ার্টারে একাই থাকতেন অবিবাহিত সুরজিৎবাবু। মাসছয়েক আগে কলকাতার ওই বৃহন্নলার সঙ্গে ফেসবুকে বন্ধুত্ব হয় তাঁর। সেখান থেকে প্রেমের সম্পর্কও তৈরি হয়। এমনকী, ওই কোয়ার্টারে অভিযুক্ত বৃহন্নলার ঘন ঘন যাতায়াত ছিল। এর মধ্যেই শনিবার দুপুরে সুরজিতের কোয়ার্টারের ভিতর থেকে গোঙানির আওয়াজ পান প্রতিবেশীরা। পরে তাঁরা গিয়ে দেখেন ঘরের মেঝেয় রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে রয়েছেন সুরজিৎ। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। সেই সময় ঘরেই ছিল অভিযুক্ত বৃহন্নলা। পুলিশ এসে সুরজিৎকে উদ্ধার করে আলিপুরদুয়ার রেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সুরজিতের সারা শরীরে কামড়ের ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। তা থেকে রক্তক্ষরণও হয়েছে। এদিকে এই ঘটনার পর রেল হাসপাতালে নিজেই গিয়েই হাজির হন অভিযুক্ত বৃহন্নলা। তাঁরও হাতে আঘাত লেগেছে। এদিন আলিপুরদুয়ার হাসপাতালেও ছিলেন ওই বৃহন্নলা। তবে এ বিষয়ে তিনি কিছু বলতে চাননি। আলিপুরদুয়ার থানার আইসি প্রদীপ সরকার বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিল। আক্রান্ত যুবককে উদ্ধার করে আলিপুরদুয়ার রেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। থানায় কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। অভিযোগ জমা পড়লে ব্যাবস্থা নেবে পুলিশ। আক্রান্ত সুরজিৎ ভট্ট বলেন, তিনমাস আগে আমাদের ফেসবুকে বন্ধুত্ব হয়। সেও রেলের কর্মী বলে দাবি করেছিল। নিয়মিত আমার কোয়ার্টারে যাতায়াত ছিল। শনিবার আমাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেয়। আমি রাজি না হওয়ায় আমাকে আক্রমণ করে। আমি বিয়েতে রাজি ছিলাম। ওর পরিবারকে আনতে বলি। কিন্তু সে রাজি হয়নি।
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2vDVxeI
August 06, 2017 at 11:11PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন