বিদ্যা সিনহা মিম গ্রামের বাড়িতে পূজা করব, অন্যরকম আনন্দ হচ্ছে পূজায় ছোটবেলা থেকেই অন্য রকম দুর্বলতা। পূজার কটা দিন খুব আনন্দ করেই কাটাই। অভিনেত্রী হওয়ার আগে ইচ্ছামতো ঘুরতে পারতাম। এখন আর পারি না। ভক্তরা ঘিরে ধরে সেলফি তুলতে চায়। এটাতেও অন্য রকম মজা পাই। এর মধ্যেই পূজার কেনাকাটা শেষ হয়ে গেছে। কয় দিন আগে কাতার গিয়েছিলাম শো করতে। সেখান থেকে ছোট বোনের জন্য ১০ সেট জামা এনেছি। নিজের জন্যও কেনাকাটা করেছি। এক্সক্লুসিভ গয়না, প্রসাধন, জুতাসবই কিনেছি। বাবার জন্য পাঞ্জাবি, মা আর দিদার জন্য শাড়ি কিনেছি এখান থেকে। এবার পূজায় আমাদের গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় যাচ্ছি। অনেক দিন পর গ্রামের বাড়িতে পূজা করব, তাই অন্যরকম আনন্দ হচ্ছে। তবে সেখানে অনেক গরম, এ নিয়ে একটু ভয়ে আছি। গরম না থাকলে অষ্টমীতে বাবার দেওয়া গর্জিয়াস সাদা-লাল শাড়ি পরব। এ দিনের বিশেষত্ব হলো কুমারীপূজা। সবচেয়ে জমকালো উত্সবের দিন। নবমীর দিনেও এই বর্ণিল ব্যাপারটা থাকে। নবমীতে সালোয়ার-কামিজ পরে বেরোব। এদিন মা, ছোট বোন আর আমি ম্যাচিং করে হলুদ জর্জেটের কাজ করা থ্রি-পিস পরব। ভারী গয়না পরব। পায়ে আলতাও পরব। মাথায় ফুলের ব্যান্ড পরে চুল ছেড়ে দেব। শুধু সামনের চুল হালকা কার্ল থাকবে। দশমীতে লাল থ্রি-পিস পরব, যা কাতার থেকে কিনেছি। লাইট মেকআপ করে চুল খোঁপা বাঁধব। গলায় হালকা নেকলেস আর হাতে ব্রেসলেট, ঠোঁটে লাল ম্যাট লিপস্টিক। পূজার চার দিনের যেকোনো এক দিন দু-একটি পদ রান্না করার ইচ্ছা আছে। সেটা হতে পারে পায়েস আর সবজি কারি। উর্মিলা শ্রাবন্তি কর বাবা ২০টা তাঁতের শাড়ি কিনে দিয়েছিলেন আসলে মন খারাপের মধ্যে আছি। গত বছর দশমীর দিন বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার কিছু দিনের মধ্যেই তিনি পরলোক গমন করেন। সেই ধাক্কা এখনো সামলে উঠতে পারিনি। বিশেষ করে উত্সব-পার্বণ বাবা ছাড়া কল্পনাই করতে পারি না। ছোটবেলা বাবার হাত ধরেই মণ্ডপে যেতাম, গত বছরও গেছি। কিন্তু এবার বাবা ছাড়া পূজা হবে। কেমন হবে আমি কিছুই জানি না। বাবা ছিলেন সর্বজনীন পূজা কমিটির চেয়ারম্যান। ঢাকার প্রায় প্রতিটি মণ্ডপেই তাঁর সঙ্গে যাওয়া হতো। এবার খুব বেশি মনে পড়বে। গত বছর পূজায় একটা অন্য রকম অভিজ্ঞতা হয়েছে। এর আগে দশমীতে রং খেলার সময় আমাকে তেমন কেউ রং দিত না। কিন্তু গত বছর ছিল বিয়ের পর প্রথম পূজা। মণ্ডপে বাবার সঙ্গে দাঁড়িয়ে আছি। এমন সময় কয়েকজন আন্টি আমাকে প্রতিমার কাছে নিয়ে সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিল। খুব আনন্দ পেয়েছি। প্রতিবার পূজার অনেক দিন আগে থেকেই বাবার জন্য শপিংমল ঘুরে ঘুরে পাঞ্জাবি কিনতাম। এবার তাঁকে কোনো উপহার দিতে পারব না। আমিও তাঁর কাছ থেকে কোনো উপহার পাব না। মনে পড়ছে গতবারও পূজায় টাঙ্গাইলের তাঁতিবাড়ি থেকে ২০টি তাঁতের শাড়ি কিনে দিয়েছিলেন। সেই শাড়ি থেকে লাল-সাদা তাঁতের শাড়িটা পরব সপ্তমীর দিন। যেহেতু তাঁতের শাড়ি, সাজ থাকবে ছিমছাম। হাতভর্তি লাল কাচের চুড়ি, শাঁখা-পলা, সিঁথিতে সিঁদুরসবই থাকবে। শুটিংয়ের ফাঁকে মা ও শ্বশুরবাড়ির জন্য কেনাকাটা করছি। আমার বর শাড়ি উপহার দিয়েছেন। অষ্টমীতে পরব সেই সাদা-হলুদ শাড়ি। ভারী সাজে চুল কার্ল করে ছেড়ে দেব। সিঁথিতে সিঁদুর আর কুমকুমের টিপ সঙ্গে ভারী গয়না। নবমীতে অবশ্য সুতি সালোয়ার-কামিজ বেছে নেব। কোনো মেকআপই করব না। চোখে একটু কাজল আর ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক। চুল বেঁধে রাখব। গয়না বলতে সোনার চেইন আর কানে ছোট্ট পাথরের টপ। আরএস/১০:৫৩/২৫ সেপ্টেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2jWHoEv
September 25, 2017 at 06:43PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top