নিজস্ব প্রতিবেদক ● অপহরনকারীদের হামলায় প্রাণ গেল অপহৃতের এক প্রবাসী চাচার। শুক্রবার বিকালে মুরাদনগর উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের নোয়াখলা গ্রামে সফিকল ইসলামের বাড়ীতে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ইয়াসিন মুন্সী (৫৫) দেবিদ্বার উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মৃত লতিফ মুন্সীর ছেলে। এঘটনায় হত্যাকারী মনির খান (৩৩) সহ অপহরনকারী চক্রের অপর সদস্য কাউছার (৪০) কে স্থানীয়রা আটক করে দেবিদ্বার থানা পুলিশে সোপর্দ করেছে।
আটককৃত মনির খান দেবিদ্বার উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের হাসান খানের ছেলে, অপর আসামী কাউছার মিয়া একই গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে।
সুত্রে জানা যায়, দেবিদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের আনিছ মিয়ার মেয়ে শাহনাজ বেগম অপহরন হয়। অপহরনের পর শাহনাজের পিতা আনিছ মিয়া ৩০শে আগষ্ট কুমিল্লা আদালতে শ্রীপুর গ্রামের প্রভাবশালী কাউছার মিয়াকে প্রধান আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি অপহরন মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত দেবিদ্বার থানা পুলিশকে মামলাটি এফআইআর হিসেবে গন্যকরে অপহৃত শাহনাজকে উদ্ধারের প্রয়োজনীয় নির্দেশ প্রদান করেন।
আদালতের নির্দেশে দেবিদ্বার থানা পুলিশ ৪ই সেপ্টেম্বর মামলাটি এফআইআর করে এবং ২৬শে সেপ্টেম্বর রাতে দেবিদ্বার থানা পুলিশের একটি দল ঢাকা থেকে শাহনাজকে উদ্ধার করে।
অপহরনকারীদের কবল থেকে উদ্ধারের পর শাহনাজ বিজ্ঞ আদালতের কাছে তার অপহরনের ঘটনা ও তার উপর হওয়া নির্যাতনের ঘটনায় ১৬৪ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে।
মেয়েকে উদ্ধারের পর অপহরনকারীদের কাছ থেকে নিজেদের প্রাণ বাচাতে আনিছ মিয়া পার্শবর্তী মুরাদনগর উপজেলা ধামঘর ইউনিয়নের নোয়াখলা গ্রামের তার ভগ্নিপতি সফিকুল ইসলামের বাড়ীতে আশ্রয় নেন।
এদিকে আনিছ মিয়া তার মেয়েকে নিয়ে নোয়াখলা গ্রামে আছে জানতে পেরে অপহরন মামলার আসামী কাউছার মিয়া ও শ্রীপুর গ্রামের একাধিক মামলার আসামী মনির খানকে সাথে নিয়ে নোয়াখলা গ্রামে আসে এবং মামলাটি তুলে নেয়ার হুমকি দিতে থাকে এক পর্যায়ে আনিছ মিয়াকে তুলে নেয়ার চেষ্টা করে। তারপর স্থানীয়রা এর প্রতিবাদ করে এবং ঘটনাটি এলাহাবাদ ইউপির চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলামকে অবহিত করলে চেয়ারম্যান কাউছার ও মনিরকে দেবিদ্বার নিয়ে যাওয়ার জন্য শাহনাজের চাচা ইয়াসিন মুন্সীকে সহ কয়েকজন মানুষ পাঠায়।
কাউছার ও মনির খানকে দেবিদ্বার নিয়ে যেতে চাইলে মনির খান উপস্থিত ব্যাক্তিদের উপর এলোপাথারি কিল ঘুষি মেরে পালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় মনির খানের এলোপাথারি ঘুষির আঘাতে ইয়াছিন মুন্সী মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। স্থানীয়রা ইয়াসিন মুন্সীকে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। স্থানীয়রা মনির খান ও কাউছার মিয়াকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে।
মুরাদনগর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন আসামী দুজন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
The post কুমিল্লায় অপহরনকারীদের হামলায় প্রবাসী নিহত appeared first on Comillar Barta.
from Comillar Barta http://ift.tt/2hCOflu
September 29, 2017 at 10:42PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন