কলকাতা, ২৬ সেপ্টেম্বর- প্রায় ২৮০ বছরের প্রাচীন কৃষ্ণনগর নাজিরা পাড়ার চ্যাটার্জি বাড়ির নীল দুর্গা। দেবী দুর্গার গায়ের রঙ নীল। কথিত আছে পূর্ব পুরুষদের আমলে পুজোর প্রচলন ঘটেছিল বাংলাদেশের বামরাইল গ্রামে৷ বর্তমানে কৃষ্ণনগরে তমাল চ্যাটার্জী কাজল চ্যাটার্জিরা দুই ভাই দুই বাড়িতে পূর্ব পুরুষদের প্রচলিত পুজো করে আসছেন। পুজোর পাঁচ দিনই আমিষ ভোগ হয়। বাংলাদেশে মহিষ বলি দেওয়া হতো। কৃষ্ণনগরেও পাঠা বলির প্রচলন থাকলেও রাজা কৃষ্ণ চন্দ্রের নির্দেশে পশু বলি বন্ধ হয়ে যায়। তবে পুরানো রীতি মেনেই আতপ চাল দিয়ে শত্রু বানিয়ে শত্রু বলি হয় নবমীর দিন। কিন্তু কেনও দুর্গার গায়ের রং আর পাঁচটা সাধারণ প্রতিমার সঙ্গে অমিল কেন? প্রশ্নের উত্তরে চ্যাটার্জি বাড়ির গৃহবধূ টুটুল চ্যাটার্জি বলেন, বাংলাদেশে যখন প্রতিমা তৈরির কারিগর ঠাকুর বানানোর পর দেবীর গায়ে রং করতে যায় ভুল করে নীল রং দিয়ে ফেলেন। পরে অবশ্য নীল রং পরিবর্তন করতে গেলে দেবী দুর্গা স্বপ্নাদেশ দেন তিনি নীল রূপেই পূজিত হতে চান আর সেই থেকেই নীল রঙের দুর্গা পুজো হয়ে আসছে কৃষ্ণনগর নাজিরা পাড়ায় চ্যাটার্জি বাড়িতে। পুজোর কটা দিন মহা ধুমধাম থাকলেও দশমীর দিনে দেবীকে পান্তা ভাত খাইয়ে বাপের বাড়ির উদ্দেশ্য বিদায় জানানো হয়। আর চ্যাটার্জি বাড়ির নীল দুর্গাকে ঘিরে মানুষের উন্মাদনার শেষ নেই। শুধুমাত্র কৃষ্ণনগর বা নদিয়া জেলায় নয় জেলার বাইরে থেকেও অসংখ্য মানুষ আসে নীল দুর্গা দর্শন পেতে। আর চ্যাটার্জি বাড়ির পুজোয় ঘটে পারিবারিক মেলবন্ধন। দেশ ও দেশের বাইরে থেকেও অসংখ্য আত্মীয় স্বজন চলে আসে পুজোর কটা দিন এক সঙ্গে কাটাতে। চলে উৎসবের আমেজ। বাড়িতে বসে জলসা যাত্রা প্রভৃতি। এ নিয়েই মেতে ওঠে কৃষ্ণনগরের চ্যাটার্জি পরিবার৷ এআর/২১:৩২/২৬ সেপ্টেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2y5btrB
September 27, 2017 at 03:29AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top