বিশ্বনাথ ( সিলেট ) প্রতিনিধি :: চাচাতো বোনের সাথে প্রেম করে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহীক মিলনের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় কারান্তরীণ বিশ্বনাথের দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ইরন মিয়াকে চার দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৭সেপ্টেম্বর) সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল
ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে এই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণ ও মারামারির দুটি মামলায় ৫দিন করে রিমান্ড চায় থানা পুলিশ। আদালতের বিচারক কাকন দে দুটি মামলায় ২দিন করে ৪দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বিষয় নিশ্চিত করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বিনয় ভূষণ চক্রবর্তী।
উল্লেখ্য, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২০০৯ সাল থেকে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য ও পূর্ব নোয়াগাঁ গ্রামের মৃত আস্তফা মিয়ার ছেলে ইরন মিয়া তার চাচাতো বোন সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া সুমীর (ছদ্মনাম) সাথে শারীরিক সম্পর্ক চালিয়ে এসেছেন। এর মধ্যে ২০১৬ সালের শেষের দিকে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে সুমী। ইরনের চাপে গর্ভপাত করে সে।
এরপর ইরন বারবার বিয়ের আশ্বাস দিলেও নানা অজুহাতে সময় পার করতে থাকলে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সুমী। এ যাত্রায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় সে। দারস্থ হয় থানার। কিন্তু থানার এসআই রফিক উল্টো তাকে আটকের ভয় দেখিয়ে ফিরিয়ে দেন। সর্বশেষ, গত ১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিয়ের দাবীতে ইরনের ঘরে অনশন করেও তার কোনো সাড়া পায়নি সুমী। এদিকে, মঙ্গলবার সুমীর অনশনের খবর পেয়ে মেম্বারের বসত ঘর থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
এরপরই মেম্বারের বড়ভাই চন্দন মিয়া (৩৪) ও পাশের ঘরের অপর চাচা রফিক মিয়ার পুত্র ফখরুল মিয়া (২৫) মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। এসময় একে অপরের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হন দুজনই। এই দুই ঘটনায় ইরন মেম্বারের বিরুদ্ধে বিশ্বনাথ থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়। গত ২০ সেপ্টেম্বর বুধবার রাতে ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন তার চাচাতো বোন সুমী (ছদ্মনাম)। যার নং ১৪।
মারামারির অভিযোগে অপর মামলাটি দায়ের করেন ইরনের চাচাতো ভাই ফাহিম। যার নং ১৫। মামলা দুটির প্রেক্ষিতে ওইদিন মধ্যরাতে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের সামনে থেকে আলোচিত ইউপি সদস্য ইরন মিয়াকে আটক করে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ।
from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2fAZ7Qm
September 28, 2017 at 09:02PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন